প্রতি বছরের নভেম্বর মাসে ব্যাংক কিংবা পোস্ট অফিসে Life Certificate জমা করতে লাইন পড়ে যেত প্রবীণ নাগরিকদের। সরকারের এই নয়া সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন পেনশনগ্রহীতারা। তাঁদের সেই টেনশন মেটাতে আরও একধাপ এগিয়ে এল ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক।
পোস্ট অফিসে যাঁদের অ্যাকাউন্ট আছে, সেই পেনশনভোগীদের বাড়িতে পৌঁছে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট ( Life Certificate) করিয়ে নিয়ে আসার পরিষেবা আগেই শুরু করেছিল আইপিপিবি। এবার বাড়ল সেই কাজের পরিসর। ডাক বিভাগের আওতায় থাকা এই ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এখন অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারী, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের আওতায় থাকা কর্মচারী এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মীরা ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে পারবেন বাড়িতে বসেই।
এই তালিকায় থাকছেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীরাও। ফ্যামিলি পেনশনের ক্ষেত্রেও এই সুবিধা মিলবে। তার জন্য জিএসটি সমেত ৭০ টাকা খরচ করতে হবে। পেনশনভোগীদের সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট অন্য কোনও ব্যাঙ্কের আওতায় থাকলেও এই সুবিধা মিলবে বলে জানা গিয়েছে। পেনশনভোগীদের তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করছে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার। তাদের তথ্যভাণ্ডারে যে যে পেনশনভোগীর তথ্য রাখা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরে না গিয়েই তাঁরা ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট ( Life Certificate) জমার সুযোগ পাবেন।
দেশজুড়ে যখন ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্কের কাজকর্ম শুরু হয়, তখন তারা ডাক বিভাগের আওতায় থাকা বিভিন্ন পরিষেবা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিতে শুরু করেছিল। সেই পরিষেবা দিতেন ডাককর্মীরাই। পরবর্তীকালে ডাকঘরের বাইরের হরেক পরিষেবা দিতে শুরু করে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্ক। সেই তালিকায় ছিল আধার সম্পর্কিত পরিষেবাও। আধারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা পরিষেবাগুলি দিতে হাতের আঙুলের ছাপ প্রয়োজন। এর জন্য যে ‘ডিভাইস’ দরকার, তা দেওয়া হয় ডাককর্মীদের। যেহেতু ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট ( Life Certificate ) আধার বা বায়োমেট্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমেই দেওয়া সম্ভব, তাই সেই কাজ করতে শুরু করেছেন ডাক বিভাগের কর্মীরা।
বয়সজনিত কারণে যাঁরা বাড়ি থেকে বেরতে পারেন না, তাঁদের বাড়ি এসে লাইফ সার্টিফিকেট জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কই। কিন্তু তার নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠি আছে। এবার থেকে কেউ যদি ব্যাঙ্কে না যেতে চান, তাঁরাও বাড়ি বসে লাইফ সার্টিফিকেট জমার পরিষেবা পাবেন। আইপিপিবিকে তার জন্য আলাদা করে কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি দিতে হবে না। তবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যোগাযোগ করতে হবে নিকটবর্তী ডাকঘরে। সেখানে তাঁর সেভিংস অ্যাকাউন্ট না থাকলেও চলবে। ডাকঘরে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় যোগাযোগ করার কথা বলে আসতে পারেন পেনশনভোগীরা। আবার তাঁরা সরাসরি অ্যাপের মাধ্যমেও ডাককর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। পোস্ট ইনফো অ্যাপে সেই সুযোগ পাবেন তাঁরা। তবে যদি পেনশনভোগী চান, তিনি নিজেও ব্যাঙ্কের ভিড় এড়িয়ে ডাকঘরে গিয়ে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট ( Life Certificate ) জমা করতে পারেন। আধারের মাধ্যমে সেই কাজ করে দেবেন ডাককর্মীরা। এছাড়াও বাড়িতে বসে কিভাবে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেবেন এই লিঙ্ক থেকে ক্লিক করে দেখে নিন।