ভারতীয় ডাক বিভাগের (India Post Office) তরফে Post Office Savings Account নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করা হল। পোস্ট অফিসের বিভিন্ন সুবিধাজনক স্কিম (Post Office Scheme) সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। যে গুলোতে বিনিয়োগ করে সহজেই প্রচুর লাভ ওঠান গ্রাহকরা। পোস্ট অফিসে টাকা রাখলে একদিকে যেমন বেশি সুদ মেলে, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা ও পাওয়া যায়। অর্থাৎ বেশি সুদ ও তার সাথে টাকা মার যাওয়ার ও ভয় থাকে না। তাই অনেকেই ব্যাংকের তুলনায় পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করতে বেশি পছন্দ করেন। আর সেই জন্য পোস্ট অফিসে একাউন্ট (Post Office Savings Account) রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যাও কম নেই।
Post Office Rules for All Customers.
নতুন অর্থ বর্ষের শুরুতেই তাই পোস্ট অফিস গ্রাহকদের জন্য এবার একটি বিরাট ঘোষণা। ভারতীয় ডাক বিভাগ (Post Office) মে মাস থেকে তার বেশ কিছু নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। আগের চেয়ে আরো বেশি কড়াকড়ি মানতে হবে এখন পোস্ট অফিসে যে কোন ধরণের একাউন্ট থাকলে। না হলে পড়তে হবে সন্দেহের তালিকায়। কি কি নতুন নিয়ম এসেছে? দেখে নিয়ে সাবধান হয়ে যান। আর এই নিয়ম সকল গ্রাহকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
পোস্ট অফিস গ্রাহকদের জন্য নতুন নিয়ম
নতুন এই নিয়ম চালুর ফলে পোষ্ট অফিসের যে কোন স্কিমে (Post Office Scheme) বিনিয়োগ করতে গেলে প্যান কার্ড (PAN Card) দেখানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু এখন সেই নিয়মে আরো একটি সংশোধন করেছে ডাক বিভাগ। কোন গ্রাহক বিনিয়োগের সময় প্যান কার্ডের নথি জমা দিলে সেই নথিকে আয়কর দপ্তর (Income Tax Department) মারফত ক্রস চেক করা হবে। এই কথা জানিয়েছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। গ্রাহকের আধার কার্ড এবং প্যান কার্ডের তথ্য একই রকম কিনা তা যাচাই করে দেখবে আয়কর দপ্তর।
Post Office Savings Account PAN Card Link Online
সন্দেহজনক লেনদেন বা বেশি অংকের টাকা লেনদেন হলেই প্যান কার্ড ও আধার কার্ড মিল্যিয়ে দেখতে পারেন আধিকারিকেরা। যদি দেখা যায় তথ্যের মিল আছে তবেই তিনি তার ইচ্ছেমতো টাকা তিনি বিনিয়োগ করতে পারবেন। অন্যথায় নয়। উল্লেখ্য পহেলা এপ্রিল ২০২৩ থেকে প্যান কার্ড যাচাই বা লিংকের (PAN Card Link) এই নিয়মটি জারি করেছিল ডাক বিভাগ। কথা ছিল ৩০ এপ্রিল ২০২৪ তা বন্ধ করা হবে। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প যেমন PPF, NSC ইত্যাদিতে বিনিয়োগ বাড়ায় এই নিয়মকে আরো বেশি দিন বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাক বিভাগ। ৭ই মে তারিখে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন তারা।
পোস্ট অফিসে বেশি টাকা লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা
পোস্ট অফিসের নতুন নিয়ম (Post Office Rules) অনুযায়ী একজন গ্ৰাহকের নামে টাকার অংক যদি নির্দিষ্ট সীমা ছাড়িয়ে যায় তাহলে তা সন্দেহের চোখে দেখবে ডাক বিভাগ। যার কারনে সেই ব্যক্তির জরিমানা এমনকি আইনি সাজাও হতে পারে। দপ্তর জানিয়েছে হঠাৎ কোন ব্যক্তির একাউন্ট ব্যালেন্স যদি ৫০ হাজার টাকার বেশি হয়ে যায় তা সন্দেহজনক। এছাড়াও এক বছরে কারোর ক্রেডিট লিমিট যদি ১ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায় সেটাও সাধারণ নয় একেবারেই। এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির প্যান কার্ড যাচাই করা আবশ্যক। তবে আয়ের উৎস বা আয়কর দপ্তরের নিয়ম মেনে যত খুশি টাকা লেনদেন করতে পারবেন। এই বিষয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।
বেকার ছেলে মেয়েদের টাকা দিচ্ছে সরকার। টাকা পেতে MSME Loan প্রকল্পে অনলাইনে আবেদন করুন।
পোস্ট অফিসে বেশি টাকা তুললে সমস্যা?
বর্তমানে Post Office যে নিয়ম করেছে তাতে একজন ব্যক্তি যদি তার একাউন্ট থেকে বেশি টাকা তোলেন তিনিও সমস্যায় পড়বেন। যেমন কেউ যদি এক মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি অর্থ লেনদেন করেন তাহলে আয়কর এর নিয়ম মেনে চলতে হবে। টাকা তুলতে হলে, প্রথমে প্যান কার্ডের নথি দেখাতে হবে। তবেই হাতে টাকা দেওয়া হবে। তবে ১০ হাজার টাকার কম তোলার ক্ষেত্রে কোন বিধি নিষেধ নেই।
অর্থাৎ সহজ কথায় বলা যায়, ১০,০০০ টাকার বেশি লেনদেন হলে গ্রাহককে PAN Card দেখাতে হবে। এবং প্রতিবছর আয়কর তথা Income Tax এর নিয়ম মেনে উপযুক্ত নথি জমা দিতে হবে। নিয়মিত KYC Verification করতে হবে। কোনও সন্দেহজনল লেনদেন করা যাবে না। এই বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য নিকটস্থ Post Office Branch এ যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া এই বিষয়ে কোনও মতামত বা প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। এবং নিয়মিত অর্থনৈতিক পোস্ট পেতে EK24 News ফলো করুন।
Written by Nabadip Saha.