বালিগঞ্জের ব্যালকনিতে বসে বহরমপুরের ছানাবড়া! যখন তখন কে সি দাশের রসগোল্লা বা চন্দননগরের জলভরা কেন কৃষ্ণনগরের মনের খিদে মেটাবে না? এই চাওয়া পাওয়া মেলাতে একপ্রকার ভূতের রাজার বরের মতোই হাজির হচ্ছে রাজ্যের মিষ্টিওয়ালাদের অন্যতম সংগঠন মিষ্টি উদ্যোগ। অনলাইনে অর্ডার দিলেই এবার বাড়ি বসে মিলবে মিষ্টি। সবচেয়ে বড় কথা, এক ক্লিকে সেই পরিষেবা মিললেও তার জন্য চড়া দাম মোটেও গুনতে হবে না। দাবিটুকু শুধু ডেলিভারি চার্জের।করোনা বহু মানুষকে অনলাইন কেনাকাটায় হাতেখড়ি দিয়েছে। নিরাপদে বাড়িতে খাবার পৌঁছতে রেস্তরাঁগুলির সঙ্গে শামিল হয়েছে কিছু মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানও। কিন্তু তা সীমিত এবং এলাকাভিত্তিক। অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে বাড়ি বাড়ি মিষ্টি পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন অনেকেই। অভিযোগ, ওই সংস্থাগুলি ডেলিভারির জন্য ৩০ থেকে ৩২ শতাংশ কমিশন চাইছে। তাই মিষ্টির দামের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছেন না অনেকেই।মিষ্টি উদ্যোগের সদস্যরা চাইছিলেন এমন একটি উদ্যোগ, যেখানে গোটা বাংলার মিষ্টির আদানপ্রদান হতে পারে একই মঞ্চ থেকে। তাঁদের কথায়, একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হবে, যেখানে সাধারণ মানুষ তাঁর পছন্দের দোকানের মিষ্টির অর্ডার দেবেন | আলাদা করে ডেলিভারি পার্টনার রাখা হবে, যারা মিষ্টি পৌঁছে দেওয়ার খরচটুকু শুধু নেবে।এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০টি প্রতিষ্ঠান এই সংগঠনের আওতায় এসেছে, যারা কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন এলাকার নামজাদা মিষ্টান্ন বিক্রেতা। মিষ্টি উদ্যোগের সভাপতি ধীমান দাশ বলেন, মিষ্টি উদ্যোগ ডট কম নামে ওয়েবসাইটটি আসছে | শুধুমাত্র ক্রেতার সঙ্গে বিক্রেতার যোগাযোগ করিয়ে দেওয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। বাংলার মিষ্টির স্বাদ সবাই পাক, আমরা সেটাই চাই।