পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal) তার একাধিক দপ্তরের কর্মীদের জন্য Salary Increase ও ভাতা নিয়ে সম্প্রতি কয়েকটি ইতিবাচক ঘোষণা করেছে যা দীপাবলির আগে কর্মীদের মধ্যে খুশির পরিবেশ তৈরি করেছে। ICDS অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশা কর্মীদের মোবাইল কেনার জন্য ১০০০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। যা তাদের কাজের সুবিধা বাড়াবে। একই সঙ্গে, WBPDCL-এর চুক্তিভিত্তিক বিদ্যুৎ কর্মীদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির খবরও (Salary Increase) ছড়িয়ে পড়েছে। এই পদক্ষেপগুলো সরকারের কর্মীকল্যাণ নীতির অংশ, যা দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) নেতৃত্বে এই উদ্যোগগুলো মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়েছে। এই প্রতিবেদনে এই দুটি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো, যাতে পাঠকরা সহজে বুঝতে পারেন।
Salary Increase for WBPDCL Contractual Workers
পশ্চিমবঙ্গ WBPDCL কর্মী বেতন বৃদ্ধি নিয়ে দীপাবলির আগে সুখবর এসেছে যা হাজারো কর্মীর মুখে হাসি ফুটিয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের অধীনস্থ চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য এই ঘোষণা করা হয়েছে। ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে এই বৃদ্ধি চূড়ান্ত হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের দাবি মেটাবে। প্রায় ৫ হাজার কর্মী এতে উপকৃত হবেন এবং তাদের মাসিক আয় বাড়বে। এই পদক্ষেপ কর্মীদের মনোবল বাড়াবে এবং কাজের গুণমান উন্নত করবে। দীপাবলি উৎসবের আগে এই খবর তাদের জীবনে নতুন আলো জ্বালিয়েছে।
WBPDCL চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি
এই বেতন বৃদ্ধির (Salary Hike) চুক্তি নিগম, শ্রমিক ইউনিয়ন এবং শ্রম দপ্তরের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে। পুরনো চুক্তি ২০২৩-এ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুনটি দরকার হয়ে পড়েছিল। এখন নতুন চুক্তি ২০২৪-এর জানুয়ারি থেকে ২০২৭-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। কর্মীরা ১ বছর ৯ মাসের বকেয়া বেতনও পাবেন। মাসিক বেতন গড়ে ৩ হাজার টাকা করে বাড়বে এই চুক্তিতে। এতে অসন্তোষ দূর হয়ে কর্মীরা আরও উৎসাহিত হয়েছেন।
কর্মীদের প্রতিক্রিয়া
এই ঘোষণায় কর্মীরা খুব খুশি হয়েছেন এবং দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। দীপাবলির আগে এই সুখবর তাদের উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ করেছে। ইউনিয়ন নেতারা বলছেন যে এটি কর্মীদের মনোবল বাড়াবে। তারা আরও ভালো করে কাজ করতে প্রস্তুত হয়েছেন। এই বৃদ্ধি তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা উন্নত করবে। সামগ্রিকভাবে, এটি কর্মপরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
Rs 10000 for ICDS Anganwadi Asha Workers
পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গনওয়াড়ি আশা কর্মীদের (ICDS Anganwadi Asha Workers) মোবাইল টাকা নিয়ে সরকারের নতুন পদক্ষেপ অনেককে উপকৃত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে কর্মীদের স্মার্টফোন কেনার জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এখন সেই টাকা সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে, যা কাজের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এই সুবিধা পেয়ে কর্মীরা আরও উৎসাহিত হয়েছেন শিশু এবং মাতৃকল্যাণের কাজে। সরকারের এই উদ্যোগ গ্রামীণ এলাকায় ডিজিটাল সেবা প্রসারিত করবে। ফলে, কর্মীরা সরকারি অ্যাপ ব্যবহার করে আরও সহজে রিপোর্ট পাঠাতে পারবেন।
আরও পড়ুন, সাধারণ সরকারি কর্মীদের জন্য আরও সুখবর।
কিভাবে টাকা দেওয়া হবে?
প্রত্যেক অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশা কর্মীর অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল কেনার জন্য। এই সহায়তা সুষ্ঠু কাজ এবং উন্নত পরিষেবার লক্ষ্যে দেওয়া হয়েছে বলে সরকার জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তায় বলা হয়েছে যে এটি কর্মীদের দৈনন্দিন কাজে নতুন উদ্দীপনা যোগাবে। ভবিষ্যতে সরকার সবসময় কর্মীদের পাশে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বাজেটে ঘোষিত ২০০ কোটি টাকা এই উদ্দেশ্যে বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রায় ৭০ হাজার আশা এবং লক্ষাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এতে উপকৃত হবেন।
সুবিধা এবং প্রভাব
এই মোবাইল সহায়তা কর্মীদের কাজের সুবিধা বাড়াবে এবং ব্যক্তিগত ফোনের উপর নির্ভরতা কমাবে। সরকারি অ্যাপ ডাউনলোড করে তারা আরও দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন। এতে শিশু এবং মাতৃকল্যাণের প্রকল্পগুলো আরও কার্যকর হবে। কর্মীরা এখন থেকে ডিজিটালভাবে রেকর্ড রাখতে পারবেন, যা সময় বাঁচাবে। সরকারের এই পদক্ষেপ গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। দীপাবলির আগে এই খবর কর্মীদের পরিবারে আনন্দের পরিবেশ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন, রাজ্যের কর্মীদের গ্রাচুইটি ও বেতন বাড়ছে।
ভবিষ্যতের প্রভাব এবং উপসংহার
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই উদ্যোগ বিদ্যুৎ দপ্তরের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য সুবিধা জনক হবে। অন্যদিকে ডিএ মামলা ও বকেয়া ডিএ নিয়ে বড় ঘোষণার জন্য সাধারণ সরকারি কর্মীরা অপেক্ষায় আছেন। তাই অন্যান্য সেক্টরের কর্মীদের জন্যও এই ডিএ মামলার রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়তে চলেছে। অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়ি আশা কর্মীদের মোবাইল সহায়তা ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়াবে। বিদ্যুৎ দপ্তরের বেতন ভাতা বৃদ্ধি চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিরাপত্তা দেবে। এই পদক্ষেপগুলো সরকারের কর্মীকল্যাণ প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে। দীপাবলির সময় এই খবরগুলো রাজ্যের মানুষের মধ্যে আশা ছড়িয়েছে। সামনে আরও এমন উন্নয়নমূলক কাজ হবে বলে আশা করা যায়।