পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক সরকারি প্রকল্প চালু রয়েছে। আর এরই মধ্যে Paddy msp rate subsidy তথা ধানের সহায়ক মূল্য (Minimum Support Price) নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত নিলো কৃষি উন্নয়ন দপ্তর। যার জেরে কৃষকেরা এবার আরও সঠিক দামে ধান বিক্রয় করতে পারবেন। আগামী সোম বার থেকে রাজ্য জুড়ে ধান কেনা শুরু হচ্ছে। আত তার ঠিক আগেই বেড়ে গেল ধানের সহায়ক মূল্য। এছাড়া ধান বিক্রয় ও বভিন্ন নিয়ম পরিবর্তিত হয়েছে। তাই ধান বিক্রয়ের আগে সমস্ত কিছু জেনে নিন।
Govt Hikes Minimum Support Price of Paddy MSP rate subsidy
সোমবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু ধান কেনা। আর এরই মধ্যে ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য বেড়েছে, যা চাষিদের মুখে হাসি ফোটাবে! চাশির পরিশ্রমেই মাথে সোনার ফসল ফলে। কিন্তু তারাই বঞ্চিত হয়ে থাকেন বিভিন্ন ফসল ও গম ও ধানের সহায়ক মূল্য থেকে। স্থানীয় মজুদকারী ও রাজনৈতিক কারণে চাষিরা ফড়ে বা পাইকাড়দের কাছে নামমাত্র মূল্যে ধান ও অন্যান্য ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
এই সমস্যা নিরসনে এগিয়ে এলো সরকার। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা এবার সহায়ক মূল্যে নিজের এলাকা থেকেই সরকারি দামে ধান বিক্রি করতে পারবেন। তার জন্য ঘরে বসেই অনলাইন পোর্টালে আবেদন করা যাবে। এতে একদিকে যেমন লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা কমেছে, অন্যদিকে ঘরে বসে আবেদন করলে স্থানীয় ফড়ে দের কাছ থেকে এড়ানো যাবে।
বর্তমানে ধানের সহায়ক মূল্য
এবার ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য কুইন্টালপ্রতি ৬৯ টাকা বেড়েছে। গত বছর ছিল ২৩২০ টাকা, এবছর বেড়ে হয়েছে ২৩৮৯ টাকা। খাদ্য ও সরবরাহ দফতর (Food supply department) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্ষুদ্র চাষিরা এতে বেশি লাভবান হচ্ছেন। মূল্যবৃদ্ধি তাদের আয় বাড়িয়েছে। অনেকে এটাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ন্যূনতম ১৫ কুইন্টাল ধান বিক্রির সুযোগ
প্রতি চাষি এবার সর্বনিম্ন ১৫ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারবেন। আগে এই সীমা ছিল আরও কম। নতুন নিয়মে ক্ষুদ্র চাষিরা সুবিধা পাচ্ছেন। সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল পর্যন্ত বিক্রি করা যাবে। এতে বড় চাষিরাও উপকৃত হচ্ছেন। নিয়ম পরিবর্তন চাষিদের মধ্যে উৎসাহ বাড়িয়েছে।
অনলাইন বুকিংয়ের সুবিধা
৩ বছর ধরে পাইলট প্রজেক্ট চালানোর পর, গত বছর থেকে বিভিন্ন জেলার কৃষকেরা অনলাইনে ধান বিক্রি করছেন। এতে একদিকে যেমন লাইনে দাঁড়াতে হয় না, অন্যদিকে স্থানীয় মহাজনদের থেকে বাঁচা যায়।এই পদ্ধতিতে ধান মাঠে থাকলেও আগে থেকে বুকিং করা যায়। ধান কাটার পর সরাসরি কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয়। ধান বিক্রয়ের পর টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে আসে। এই পদ্ধতি চাষিদের জীবন সহজ করেছে।
ডিজিটাল পদ্ধতির সুবিধা
অনলাইন পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে সময় নির্ধারণ করা যায়। নির্দিষ্ট সময়ে ধান নিয়ে কেন্দ্রে যেতে হয়। লম্বা লাইনের ভোগান্তি আর নেই। টাকা সরাসরি ব্যাঙ্কে পৌঁছে যায়। এই ডিজিটাল ব্যবস্থা চাষিদের স্বাচ্ছন্দ্য দিয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগ প্রশংসা কুড়োচ্ছে।
আরও পড়ুন, কৃষকদের জন্য আরেকটি বড় খবর।
কৃষকদের প্রতিক্রিয়া
ক্ষুদ্র চাষিদের একাংশ বলছেন, মূল্যবৃদ্ধি ও নতুন পদ্ধতি দারুণ সাহায্য করছে। আগে বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হতো। এখন সরকারি সহায়ক মূল্য নিশ্চিত আয় দিচ্ছে। অনলাইন আবেদন সহজ ও দ্রুত। চাষিরা আরও বেশি ধান চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। এই পরিবর্তন কৃষি অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে।
আরও পড়ুন, ব্যবসা ও কৃষিকাজ করতে টাকার দরকার হলে এখানে দেখুন।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
সরকারি ধান ক্রয়ের এই নতুন ব্যবস্থা আরও জেলায় ছড়িয়ে পড়বে। কৃষকদের জন্য আরও সুবিধা আসতে পারে। মূল্যবৃদ্ধি চাষিদের আর্থিক স্থিতিশীলতা বাড়াবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আরও উন্নত হবে। কৃষি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বাড়ছে। এই উদ্যোগ কৃষক সমাজকে নতুন আশা দিচ্ছে।