অতিমারী পরিস্থিতির পর দেশ তথা বিভিন্ন ব্যাংকের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় (Bankrupt) একাধিক ব্যাংক অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছে। মানুষের রোজগার কমে যাওয়ায় লোন নিয়ে ও পরিশোধ করতে পারেনি। অন্যদিকে অসংখ্য টাকা লোন পরিশোধ না করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে বড় বড় ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে একাধিক ব্যাংকের NPA বেড়ে যাওয়ায় কার্যত, ব্যাংকে বাচিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
Bank Privatisation before Bankrupt:
যার ফলে কয়েকটি ব্যাংক মার্জ করা হয়। কয়েকটি ব্যাংক কে জরিমানা ও সতর্ক করা হয়। কয়েকটি ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। একাধিক ব্যাংক কে দেউলিয়া বা bankrupt ঘোষণা করা হয়। আর এরই মধ্যে আরেকটি ব্যাংকের অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নিলো রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI).
একের পর এক ব্যাংক এবং সরকারি সংস্থা বেসরকারীকরণের (Bankrupt or privatisation) দিকে এগোচ্ছে। ইতিমধ্যেই আইডিবিআই ব্যাংক (IDBI Bank) বেসরকারিকরন করা হয়েছে। এবার আরো একটি ব্যাংকের শেয়ারের হাত বদল হতে চলেছে। ফলে ওই ব্যাংকের যে অংশীদারিত্ব রয়েছে তা এবার বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক অফ বরোদার (Bank of Baroda) হাতে যে নৈনিতাল ব্যাংকের একটা বড় পরিমাণের শেয়ার রয়েছে তা এবার বিক্রি (Bankrupt) করে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্ক অফ বরোদার বোর্ড মিটিংয়ে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন যে, এই ব্যাংকের প্রচুর গ্রাহক রয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গে ও এর প্রচুর শাখা রয়েছে। ১৯৭৩ সালে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক ব্যাঙ্ক অফ বরোদাকে নৈনিতাল ব্যাংকের সমস্ত কিছু পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। এবার বরোদা ব্যাংক নৈনিতাল ব্যাংকের যে অংশীদারিত্ব নিয়েছিল এতদিন, তা বিক্রি (Bankrupt) করে দেওয়ার জন্য বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং অনুমোদিত হয়েছে।
এই 13 টি ব্যাংকে একাউন্ট থাকলেই মহা বিপদ, RBI এর শাস্তির ফলে চিন্তায় গ্রাহকেরা।
বরোদা ব্যাংকের হাতে নৈনিতাল ব্যাংকের ৯৮.৫৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে অর্থাৎ যথেষ্ট বেশি পরিমাণে অংশীদারিত্ব থাকার কারণে নৈনিতাল ব্যাংক একপ্রকার বিক্রি করে দিতে চলেছে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা। এই মুহূর্তে নৈনিতাল ব্যাংকের সম্পত্তি ৬০৭ কোটি টাকা। এই ব্যাংকের ১৬৪ টি শাখা রয়েছে। উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান সহ বিভিন্ন রাজ্যে নৈনিতাল ব্যাংকের সব শাখা মিলিয়ে কয়েক হাজার কর্মী রয়েছেন।
SBI, HDFC ও ICICI ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য সুখবর, অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে বিনামূল্যে ঝটপট সব হয়ে যাবে।
দীর্ঘদিন আগে নৈনিতালে বেশ কিছু সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি এই ব্যাংকের সূচনা করেন। তারপরে রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI Rules) নির্দেশে নৈনিতাল ব্যাংকের দায়িত্ব নেয় ব্যাঙ্ক অফ বরোদা। এবার তারাই ব্যাংকের মূল অংশীদারিত্ব বিক্রি করে দেওয়ার পথে হাঁটছে। যদিও রিজার্ভ ব্যাংক জানাচ্ছে, গ্রাহকদের টাকা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই, কিন্তু যতই অভয়বানী আসুক, ব্যাংকের পরিস্থিতি যে ভালো নয়, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
Written by Rajib Ghosh.