পেনশন হলো যেকোনো সংস্থার কর্মীদের সারা জীবন কাজের পর শেষ বয়সের অবলম্বন। তাই কর্মজীবন থেকেই একটু বেশি পেনশন (Pension Portal) পাওয়া যায়, তার জন্য সঞ্চয় ও ভেবে চিনতে করেন। আর পেনশন নীতি নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়েছে। সহজ ভাষায় বুঝে নিন।
পেনশন ফান্ড নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইপিএফও আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করছেন। জানা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি EPFO এর পক্ষ থেকে Pension Portal এ e pension নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হতে পারে। ইপিএফ আইন সেই সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মী ও সংগঠিত যেকোনো কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য রয়েছে, যেখানে ২০ বা তার বেশি সংখ্যক কর্মচারী রয়েছে। এই আইন কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়।
এমপ্লয়ীজ প্রভিডেন্ট ফান্ডস স্কিম ১৯৫২ (ইপিএফ স্কিম), এমপ্লয়িস ডিপোজিট লিঙ্কড ইন্সুরেন্স স্কিম ১৯৭৬ এবং এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম ১৯৯৫ (ইপিএস স্কিম)।
নিয়ম অনুযায়ী কর্মচারী এবং নিয়োগকারী কোম্পানী Pension Portal এর এই স্কিমের অধীনে প্রতিমাসে মূল বেতনের ১২ শতাংশ বা তার বেশি করে জমা করে থাকে। ২০১৪ সালে ইপিএস স্কিমে পরিবর্তন করে সর্বোচ্চ বেসিক স্যালারি contribution বা অবদানের জন্য প্রতি মাসে ১৫০০০ টাকা করে ঠিক করা হয়েছিল।
EPFO e Pension Portal New Rules
২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বরের পরে EPF- e Penson Portal এর নতুন সদস্যরা মাসিক ১৫ হাজার টাকার বেশি স্যালারি হিসেবে জমা রাখতে পারবেন। আর ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যারাই EPF- Pension Portal এর সদস্য হয়েছেন তারা বেতনের হিসাব অনুযায়ী জমা রাখতে পারবেন।
যাদের বেতন বেশি থাকবে তাদের EPS Scheme তে ও অবদানের জন্য বাধ্যবাধকতা থাকবে না। যে কেউ চাইলে স্বেচ্ছায় সেটা করতে পারেন।
তবে তাদের মাসিক ১৫ হাজার টাকার বেশি বেতনের অতিরিক্ত ১.১৬ শতাংশ অবদান হিসেবে দিতে হবে। সহজ ভাষায় যাদের ১৫ হাজার টাকার চেয়ে কম বেসিক বেতন তাদের ১২% জমা রাখলেই হবে। তবে যাদের তারচেয়ে বেশি বেসিক, তারা চাইলে অতিরিক্ত ১.১৬% পর্যন্ত অতিরিক্ত জমা রাখতে পারবেন। তবে সরকার বলছে, বেতন যাই হোক বেসিক ১৫০০০ ই ধরা হবে। যাতে লস হবে কর্মীদের। আর এরপরই এই নিয়ে মামলা হয়। আর সেই মামলায় আজ রায় দিলো আদালত। যদিও তিনটি হাইকোর্টে এই নিয়মের বিরুদ্ধে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রায় স্থগিত রাখা হয়েছে।
এবার সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় কিছুটা পরিবর্তন করে সরকারের সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে। একটা বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন, যেকোনো কর্মচারীর বেতন যাই হোক না কেন ১৫ হাজার টাকার হিসেবেই পেনশনের হিসাব হয়। নিজের বেতনের ১২ শতাংশ কর্মচারী জমা দেন। আবার সংস্থাও একই পরিমাণ টাকা ওই কর্মচারীর ইপিএফও অ্যাকাউন্টে জমা দেয়। যদি ১৫ হাজার টাকার এই নিয়ম তুলে দেওয়া হয় কারো বেতন যদি ২০ হাজার টাকা হয়ে যায় তাহলে পেনশন এর পরিমাণও বেড়ে যাবে।
কারা কিভাবে সুবিধা নিতে পারবেন:
যদি কেউ নতুন পেনশন স্কিমে তথা Pension Portal এ যোগ না দিয়ে থাকেন তাহলে যোগদান করার জন্য আর ৪ মাস সময় রয়েছে। কারো স্যালারি ১৫ হাজার টাকার বেশি যদি প্রতি মাসে হয়, তাহলে নতুন পেনশন স্কিমের আওতায় বেশি টাকা জমাতে পারবেন। ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইপিএফ এর সদস্য যারা হয়েছিলেন তারাই এই নতুন যোজনায় যোগ দিতে পারবেন। তবে আপনার বেশি লাভ করতে হলে বেশিরভাগ পেনশন কমিউট করে অন্য পেনশন যোজনায় ইনভেস্ট করে দিন।
আরো 10 লাখ রেশন কার্ড বদলের নির্দেশ, সময় থাকতে নিজের কার্ড বাঁচাতে এই কাজ করুন।
Pension Portal এর নতুন স্কিমে যোগ দেওয়ার নিয়ম:
এই নতুন স্কিমে যোগ দিতে চাইলে কর্মচারী এবং নিয়োগকারী কোম্পানিকে একসঙ্গে যোগ দেওয়া বা নাম নথিভুক্ত করার কথা ঘোষণা করতে হবে। যারা ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বরের পরে ইপিএফ এর সদস্য হয়েছেন তারা নতুন স্কিমে যোগ দিতে পারবেন না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোনো কর্মচারী কি পেনশনের জন্য বেতনের বেশি অংশ জমাতে পারবেন? জানা যাচ্ছে, বেতনের অতিরিক্ত অংশ রাখা অবৈধ। বেতনের জন্য ১.১৬ শতাংশ অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ছমাসের মধ্যেই সরকার আইন করতে চলেছে। যারা এই অতিরিক্ত টাকা দিয়েছেন সে ক্ষেত্রে কি হবে এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদিও কর্মী মহলের আশা অতিরিক্ত টাকা বৈধ না হলেও, নতুন নিয়ম কার্যকর হবার পর এই টাকা সুদ সমেত Pension Portal থেকে তুলে নিতে পারবেন।
আবার জমা দিতে হবে লাইফ সার্টিফিকেট, কাদের বাতিল হবে, এই 6 উপায় জেনে রাখুন।
তবে সুপ্রিম কোর্ট কর্মচারী পেনশন (সংশোধন) যোজনা (Employee Pension Portal Yojana) কে বহাল রেখেছে এবং Pension Portal এর পেনশন ফান্ডে যোগদান করার জন্য মাসিক বেতনের সীমা ১৫ হাজার টাকায় শেষ করেছে।
এই বিষয়ে সরকার ও আদালত চুড়ান্ত সুদ্ধান্ত কি নেয়, তার জন্য পরবর্তী নির্দেশিকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সেই খবর জানতে আমাদের EK24 News ওয়েবসাইট ফোলো করুন। আপনাদের কোনও প্রশ্ন থাকলে নিচে কমেন্ট করুন।
Written by Rajib Ghosh.