লটারি কেটে লাখপতি কোটিপতি হওয়ার আশা করেন সকলেই। কিন্তু সকলের দ্বারা সেই ভাগ্য হয়ে ওঠে না। অন্যদিকে সাধারণ কোনো চাকরি বাকরি বা ব্যবসা-বাণিজ্য করে কোটিপতি হওয়া সম্ভব নয়। বৃহৎ মাপের কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য যারা করেন তাদের ক্ষেত্রে কোটির ঘরে ব্যবসা হতে পারে। কিন্তু সেটা করতে গেলেও মোটা টাকার মূলধন ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে হয়।
একেবারে সাধারণ মানুষের পক্ষে কোটিপতি হওয়ার আশা স্বপ্নই থেকে যায়। সেই কারণে অনেকেই চেষ্টা করেন লটারির টিকিট (Lottery Ticket) কাটতে। একমাত্র লটারিতেই যে কোনো মানুষ কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন। এরকম বহু উদাহরণ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে টিকিট কাটার পর হঠাৎ কোনো একটি টিকিটে কোটি টাকা জিতে গিয়েছেন।
ফলে অন্যান্যরা এই খবর শোনার পর আশা নিয়ে লটারি টিকিট কাটেন। কিন্তু বর্তমানে এমন একটি সমস্যা তৈরি হয়েছে যাতে টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। লটারি কোম্পানির (Lottery Company) বিরুদ্ধে টিকিট বিক্রেতারা (Ticket Seller) আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।
লটারির টিকিট বিক্রি বন্ধ।
পশ্চিমবঙ্গের সর্বপ্রথম বারাসাত এলাকায় Lottery বিক্রি বন্ধ হয়েছিল। এরপর ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল ও কলকাতার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় টিকিট বিক্রয় বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল থেকে বীরভূমের সিউড়ি সংলগ্ন এলাকায় টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একাধিক অভিযোগ তুলে Lottery টিকিট বিক্রেতারা আন্দোলন শুরু করেছেন
Lottery Ticket Sellers Strike
টিকিট বিক্রেতাদের অভিযোগ, বর্তমানে Lottery কোম্পানিগুলি টিকিট বিক্রেতাদের ন্যায্য কমিশন দিচ্ছে না। কমিশনের অংক অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে তারা টিকিট বিক্রি করে সংসার চালাতে পারছেন না। লটারি কোম্পানিগুলি টিকিট বিক্রেতাদের ওপর জোরজলুম চালাচ্ছে। কমিশন (Commission) কমে যাওয়ায় উপার্জন কমে গিয়েছে। ফলে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন টিকিট বিক্রেতারা। তাই তারা আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।
এরপর যে অভিযোগ টি করেছে সেটি আরও গুরুতর। তাদের অভিযোগ, নিয়ম অনুযায়ী যে দোকানের টিকিটে পুরষ্কার ওঠে, সেই দোকান ও কমিশন পায়। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, প্রথম ও দ্বিতীয় পুরষ্কার মাঝে মাঝেই কে পেল, জানা যাচ্ছে না। কেউ না কেউ তো এই পুরষ্কার পাবে। কিন্তু সমস্ত লটারি বিক্রেতা সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ রেখেও সেই হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
আর তাদের অভিযোগ, মাঝে মাঝে কয়েকবার প্রথম পুরষ্কার পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু প্রত্যেকবার পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাৎ এক মাসে যদি ৮ টা ড্র হয়, তার ২ টিতে হয়তো প্রাইজ আসছে না। সেই টিকেট গুলো হয়তো অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে, নয়তো ওই টিকিটের অস্তিতই নেই। আর এই অভিযোগ প্রমানিত হলে, বড় সড় ধাক্কা খাবে ক্রেতারা।
ব্যবসায় লাখ টাকা আয় নিশ্চিত করতে, এই 3 টি মোক্ষম টিপস মেনে চলুন।
তাদের দাবি, আগে Lottery কোম্পানিগুলি যে হারে কমিশন দিত সেই কমিশন ফিরিয়ে দিতে হবে। বিক্রেতাদের ওপর নতুন নিয়মকানুন তৈরি করে সমস্যা তৈরি করা যাবে না। চাহিদা মত Lottery কোম্পানিগুলির কাছ থেকে টিকিট কিনে সেই টিকিট সম্পূর্ণ বিক্রি হয়ে যাওয়ার পরেই বিক্রেতারা পুনরায় আবার টিকিট কিনবেন। এক্ষেত্রে কোনো নতুন নিয়ম কানুন চলবে না। এই দাবিগুলি মানা না হলে টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে।
অনলাইনে মাত্র 75 টাকা রিচার্জেই প্রতিদিন 2GB ডেটা ও আনলিমিটেড কল, দিওয়ালীর নতুন অফার
যারা নিয়মিত Lottery টিকিট কেনেন তাদের অভিযোগ, লটারির টিকিটে মাঝেমধ্যেই পুরস্কার জেতা যায়। সেই জন্য তারাও লটারির টিকিট কাটতে আগ্রহী হন। কিন্তু প্রথম পুরষ্কার নিয়ে প্রতাড়না করলে কিসের জন্য তারা টিকেট কিনবেন? এছাড়াও বর্তমানে আন্দোলনের জন্য টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকায় তারা লটারির টিকিট কাটতে পারছেন না।
Written by Rajib Ghosh.