শিক্ষা দপ্তর এর নতুন নির্দেশিকায় সমস্যায় পড়েছে ছাত্র-শিক্ষক উভয়েই!
শিক্ষা দপ্তর এর উদ্যোগে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা (School) ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে এই বছরে। কারণ, বিদ্যালয়ের গতানুগতিক সিলেবাস ভিত্তিক পড়াশোনার থেকে অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছিল ছাত্র ছাত্রীরা। তারা অনেকেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন অনলাইন ক্লাস করার দিকে।
নতুন করে বিদ্যালয় খোলার পরে তড়িঘড়ি পড়াশোনার পেছনে বে জোড় দেওয়া হয় সিলেবাস শেষ করার দিকে। কারণ সামেটিভ পরিক্ষাগুলি এখন থেকে হবে অফলাইন মেথডে। সেই মতো প্রথম সামেটিভ পরীক্ষা সফলতার সাথেই সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষা দপ্তর এর নির্দেশ মতো দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষার রুটিনও ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে গেছে প্রায় ১০ দিন আগেই।
ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষার প্রস্তুতিও শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার শুধুমাত্র পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করে নাম্বার তুলে নেবার অপেক্ষা। কারণ বিগত ২ বছরের তারা যেন পড়াশোনার স্রোত থেকে ছিটকে গিয়েছিল অনেকটাই দূরে। এর মধ্যেই আবার শিক্ষা দপ্তর এর নির্দেশে কার্জত এক নতুন সমস্যায় পড়ে গেল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্ররা।
শিক্ষকেরা এবারে তার জবাব খুঁজে পাচ্ছেন না। যদি প্রশ্ন আসে নতুন রুটিনের? কি উত্তর দেবেন ছাত্র ছাত্রীদের? তারা এক্কেবারে নিরুপায়। কারণ, পূর্বের নির্দেশে বলা হয়েছিল যে, ২৯শে আগস্ট থেকে ৮ই সেপ্টেম্বর এর মধ্যে দ্বিতীয় সামেটিভ এর পরীক্ষা গুলি সব শেষ করে ফেলতে হবে স্কুলগুলোকে।
কিন্তু মাধ্যমিক স্তরের School গুলি ১লা সেপ্টেম্বর রুটিনে পরীক্ষা রাখতে পারেনি কারণ মুখ্যমন্ত্রীর স্বয়ং ঘোষণা করেছিলেন ওই দিন সারা রাজ্যব্যাপী পালিত হবে ইউনেস্কোকে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে র্যাটলি। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালীদের মহান উৎসব, এই দুর্গাপুজাকে UNESCO সম্মানিত করেছে এবং হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ হচ্ছে রবিবার, সেই কারনে আজ বিদ্যালয় বন্ধ থাকছে। ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস অর্থাৎ আগামীকাল ও কোন School এ পরীক্ষা রাখা যাচ্ছে না। ফলে পর্ষদের বেঁধে দেওয়া দিনের গণ্ডিতে বেশ কয়েক দিনই থাকছে ছুটি।
এরপরে আবার ২রা সেপ্টেম্বর শিক্ষা দপ্তর এর নতুন নির্দেশে বলা হল যে, ৬ই সেপ্টেম্বর তারিখেও কোনও পরীক্ষা রাখা যাবে না। কারণ সেদিন করম পূজা উপলক্ষ্যে সেকশনাল হলিডে রয়েছে। অর্থাৎ, ঐ দিন একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য সরকারি ছুটি থাকলেও বাকিদের তাদের করমদিবস পালন করতে হবে।
চলতি মাস থেকে বাড়ছে এই জিনিসগুলির মূল্য, না জানলে আপসোস করতে হবে।
ইতিমধ্যে অর্থ দফতরের তরফে ছুটি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির নম্বর- D.S(Aca)/377/A/25/3 তারিখ- 02.09.2022. সেই নির্দেশেকা অনুযায়ী, নবান্ন, মহাকরণের পাশাপাশি স্থানীয় রাজ্য প্রশাসন, বিধিবদ্ধ সংস্থা, পুরসভা, স্কুল, অধীনস্থ সংস্থায় আদিবাসী কর্মীরা এই ছুটি নিতে পারবেন। এটি সেকশোনাল ছুটি হিসাবে গণ্য হবে। যাঁরা করম পুজোয় অংশ গ্রহণ করবেন তাঁরা এই ছুটি পাবেন।
অর্থাৎ, সকলের জন্য ঐ দিন ছুটি নয়। পর্ষদ তথা শিক্ষা দপ্তর এর নোটিসে বলা হচ্ছে যে, ৬ই সেপ্টেম্বর কোন পরীক্ষা রাখা যাবে না। যদি পরীক্ষা রাখা হয়ে থাকে তাহলে সেটাকে বাতিল ঘোষণা করতে হবে। আর সেই বাতিল হওয়া পরীক্ষাটি ঐ সময়ের মধ্যেই অন্য একটি কর্মদিবসে পরীক্ষাটি সম্পন্ন করে নিতে হবে।
এখন যে পরিস্থিতির মধ্যে সম্পূর্ণ বিষয়টি দাঁড়িয়েছে, তাতে কি করে নবম-দশম শ্রেণির পরীক্ষা এবং তার সাথে সাথে অন্যান্য ক্লাস গুলির দ্বিতীয় সামেটিভের সব পরীক্ষাগুলি পর্ষদের নিয়ম মেনে বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে কিভাবে সম্পন্ন করবেন এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তেই পৌঁছতে পারছেন না।
পরীক্ষা সংক্রান্ত আরও কোন আপডেট পেলেই তা আমরা আপনাদের জন্য সঠিক ও নির্ভুলভাবে উপস্থাপনের জন্য সদাই চেষ্টা করে চলেছি। আপনাদের আগাম পূজার শুভ কামনা জানাই। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.