রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের (WBSSC) বড় আপডেট। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে হাইকোর্টে। তার মধ্যে একটি মামলা নিয়ে নির্দেশ জারি কোলকাতা হাইকোর্টের।
সংবাদসুত্রে জানা গেছে, রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে করা মামলায় এদিন সিদ্ধান্ত জানালো আদালত (Calcutta High Court)। তালিকায় থাকা আগেরজনকে উপেক্ষা করে পরের জনকে শিক্ষিকা পদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC)। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ ওঠে। এরপর নিয়োগ হয়ে যাওয়া ঐ শিক্ষিকার জন্য সুপারিশ বাতিল করে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC)। এরপর এই শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি অন্য মাত্রা পায়। কমিশনের এমন পদক্ষেপ বেআইনি বলে কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) অভিযোগ আনেন ওই শিক্ষিকা।
সুপারিশ বাতিল করতে কমিশনের জারি করার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শূন্য পদের তালিকা এবং তা পূরণ করা সংক্রান্ত নথি হাইকোর্টে তলব করেন। আগামী কুড়ি ডিসেম্বর এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মামলাকারী প্লাবনী হোসেন আদালতকে জানিয়েছেন 2016 সালে নবম ও দশম শ্রেণীর প্রথম SLST পরীক্ষায় তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। নির্বাচন প্রক্রিয়া এর শেষ ধাপে দেখা যায় WBSSC এর OBC A তালিকায় (List) তার নাম রয়েছে 22 নম্বরে।
ঘটনাক্রমে তিনি কিছুদিন পরে জানতে পারেন তারপরে থাকা অর্থাৎ 23 নম্বরে থাকা জনৈক চাকরিপ্রার্থী নাজেরা খাতুন কমিশনের সুপারিশ এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র পেয়ে একটি বিদ্যালয় ইতিমধ্যে চাকরিতে যোগদান করেছেন। এই মামলার প্রথম শুনানিতে কমিশন জানিয়েছিল যে কোথাও একটা ভুল হয়েছে তবে যিনি চাকরি পেয়েছেন তা বাতিল হলে মামলাকারী সেটা পেতে পারেন। কিন্তু এর পরবর্তী শুনানি পর্বে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) বক্তব্যে অসন্তুষ্ট হয়ে কলকাতা হাইকোর্ট কমিশনের চেয়ারম্যানকে তলব করে।
আরও পড়ুন, SSC নিয়োগ মামলায় নয়া মোড় ক্লিক করুন
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে গত 26 শে নভেম্বর এসএসসি চেয়ারম্যান এবং সেক্রেটারী আদালতে হাজির হয়ে জানান জানান যে নাজেরা খাতুন কে দেওয়া সুপারিশ পত্র বাতিল করা হয়েছে। আদালতের জিজ্ঞাসার জবাবে একই সঙ্গে জানানো হয় যে WBSSC এর ওয়েটিং লিস্টে ছিলো 55 জন চাকরিপ্রার্থী এবং শূন্য পদের (Vacancy) সংখ্যা ছিল মোট 22 টি। এই তথ্যের ভিত্তিতে প্লাবনী হোসেনের আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য আদালতে জানান যদি এই তথ্য সঠিক হয় তাহলে নিয়ম অনুযায়ী অনুপাতে চাকরিপ্রার্থীদের ডাকার কথা সে ক্ষেত্রে তার মক্কেলের সুপারিশপত্র অনেক আগেই পাওয়া উচিত ছিল। যা তার মক্কেল পাননি।
এদিন নাজিরা খাতুন এর আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন আইনি পদ্ধতি অনুসরণের নিউ প্রভা একজনের চাকরি বাতিল করার জন্য পদক্ষেপ করতে হলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো তারও বক্তব্য শোনা জরুরী। কিছুই না শুনে বা না জেনে কারো চাকরি বাতিল করা যায় না। এর ফলে শিক্ষক (WBSSC TET) নিয়োগের জটিলতা আরো বাড়ল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। পরবর্তী আপডেট আগামী ২০ ডিসেম্বর।