WBSSC Upper Primary – তিনমাস পিছিয়ে গেল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ

আপার প্রাইমারী নিয়োগ সম্পর্কে কলকাতা হাইকোর্টের সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ প্রাথমিকে (WBSSC Upper Primary) শিক্ষক নিয়োগে নিয়ে বিশেষ আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC)। নিয়োগ বিষয়ে CAN ফাইল করা হয়েছিল। নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে আরো গতি আসে সেজন্য কলকাতা হাইকোর্টে CAN ফাইল করেছে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC)।

কিন্তু সংবাদ সূত্রে জানা গেছে শুনানির জেরে পিছিয়ে গেল উচ্চ প্রাথমিকের (WBSSC Upper Primary) নিয়োগ। ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কাটঅফ স্কোরের উপরে নম্বর থাকা সত্ত্বেও বহু প্রার্থীর তালিকায় নাম নেই বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণে তাদের অনলাইন ভেরিফিকেশন ডকুমেন্টস আপলোড রিজেক্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও বহু চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করেছেন ভেরিফিকেশন করার পরেও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোনও তালিকাতেই তাঁদের নাম নেই।

সেই কারণে চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ জানানোর সময়সীমা ৩১ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। কিন্তু এত অভিযোগ জমা পড়ে যা স্ক্রুটিনি করে আদালত নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছেনা। আজ হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতির কাছে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম দ্রুত শুনানি শেষ করে নিয়োগের দাবি জানান। অন্যদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশন শুনানি শেষ করার জন্যে আরও সময় দাবি করে। (WBSSC Upper Primary)

এদিন পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন আদালতে জানায় অফলাইন ও অনলাইন মিলিয়ে প্রায় ২৬ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। যার মধ্যে মাত্র সাড়ে ছয় হাজারের মত আবেদনপত্রের শুনানি সম্ভব হয়েছে! এদিকে আদালতের নির্দেশর প্রতিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে কমিশনের অফিসে। যার ভিত্তিতে আবার অভিযোগকারীদের আলাদা আলাদা করে নাম তুলতে হবে আলাদা পোর্টালে। এবং ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতে তৈরি মেধাতালিকা হাই কোর্টে পেশ করতে হবে। সেই কারনেই আরও সময় চাই।

প্রসঙ্গত, আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় অনুযায়ী, ১০ জুলাই কমিশন দুই সপ্তাহ ধরে অভিযোগ গ্রহণ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু পরে ২০ জুলাই ডিভিশন বেঞ্চ চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ গ্রহণের সময়সীমা ৩১ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করার নির্দেশ দেয়। এছাড়াও রায়ে বলা হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া জারি থাকলেও উচ্চ প্রাথমিকে আদালতের অনুমতি ছাড়া নিয়োগ করা যাবে না কাউকে।

আরও পড়ুন,  রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে প্রায় ৪ হাজার স্টাফ নার্স নিয়োগ

অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ২০১৪ নন ইঙ্কলুডেড এবং ২০১৭ সালের টেট রেজাল্ট প্রকাশ নিয়ে প্রার্থীদের বিক্ষোভ চলছে, এবং গত সপ্তাহে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষক নিয়োগ সম্পর্কে বর্তমান আপডেট দিলেও ২০১৪ কিম্বা ২০১৭ এর কথা উল্লেখ করেন নি, তাহলে কি ধরেই নেওয়া যায় যে আপাতত সেই নিয়োগ ও শুরু হচ্ছে না। এদিকে সংসদের ঘোসনার অপেক্ষায় আছেন কয়েক লক্ষ চাকরী প্রার্থী। তবে সংসদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন কোর্ট কেসের মোত ১৭০০ প্রার্থী যাদের মধ্যে প্রতিভা মন্ডল ভুল প্রশ্ন মামলা এবং ডাই ইন হারনেস এর কিছু প্রার্থীর নিয়োগ শীঘ্রই শুরু হচ্ছে।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment