অবশেষে স্কুল খুলছে পশ্চিমবঙ্গে (School Opening West Bengal)। কিভাবে শুরু হবে, নির্দিষ্ট কিছু ক্লাস হবে, নাকি আগের মতনই নিয়মিত ক্লাস হবে, কি কি নিয়ম থাকছে, রইল বিস্তারিত বিবরণ।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো, ভাইফোঁটার পরদিন খুলবে স্কুল (যদি কোভিদ নিয়ন্ত্রনে থাকে)। আর সঙ্ক্রমণের গ্রাফ এখনো নিয়ন্ত্রনে। তাই সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে সেইমতে তোড়জোড় শুরু করেছে শিক্ষা দপ্তর। দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায়, স্কুলের আসবাবপত্র ঠিকঠাক আছে কিনা, প্রথমে সেই খবর নেয় শিক্ষাদপ্তর। শিক্ষকদের তা বাংলারশিক্ষা পোর্টালে (Banglarshiksha Portal) তথ্য, ও ছবি আপলোড করতে হয়। শুধু তাই নয় যদি কোনও রিপেয়ার এর প্রয়োজন হয় তার জন্য কত খরচ হবে সেটাও জানাতে হয়। এরপর সমস্ত পড়ুয়াদের স্কুল উনিফর্ম এর ছবি, ডিজাইন ও কোন স্কুলের কত সাইজ কত সেট করে লাগবে, সেই তথ্য জানতে চায়। প্রসঙ্গত প্রতি বছর দুই সেট স্কুল উনিফর্ম এর জন্য টাকা দেয় শিক্ষাদপ্তর। তবে এই পরিস্থিতিতে এবার সরকার নিজেই ড্রেস বানিয়ে তা পড়ুয়াদের সরাসরি স্কুলের মাধ্যমে দেবে।
এরপর নবম থেকে দ্বাদশ সমস্ত শ্রেণির পড়ুয়াদের আধার লিঙ্ক সঙ্ক্রান্ত অর্ডার দেয়। আর কোন কোন পড়ুয়াদের আধার নেই, তাদের নাম ও স্কুলে পাঠায়।যাদের আধার নেই তাদের ও আধার কার্ড করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ স্কুল খোলার আগে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে শিক্ষা দপ্তর। এবার দেখে নেওয়া যাক কি কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
স্কুল খোলার আগে কমপক্ষে দশ দিন আগে স্কুল খোলার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। এবং তারপর একাধিকবার স্কুল স্যানিটাইজ করা হবে। সংবাদসুত্রে জানা যাচ্ছে, প্রথমে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস শুরু হবে। ক্লাস হবে হাফ বেলা। এবং অর্ধেক পড়ুয়া নিয়ে। তবে কোনও ক্লাসে ৫০ এর নিচে পড়ুয়া থাকলে তাদের দুটো সেকশনে প্রতিদিনই ক্লাস হতে পারে। যেহেতু সমস্ত ক্লাস খুলছে না তাই শিক্ষক সঙ্কট হবার কথা নয়। প্রথম দুই সপ্তাহের রিপোর্ট দেখে বাকি ক্লাস খোলার চিন্তা নেওয়া হবে।
তবে স্কুলে কড়া বিধিনিষেধ মানতে হবে। যেমন স্কুলের গেটে কিম্বা সবাই দেখতে পারে এমন জায়গায় একটা বড় ফ্লেক্সে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম, কি করনীয় কি করনীয় নয়, প্রভৃতি লিখে রাখতে হবে। স্কুলে মাস্ক আনা বাধ্যতামুলক। মাস্ক ছাড়া স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কোনও পড়ুয়ার জ্বর সর্দি কাশি কিম্বা অন্য উপসর্গ থাকলে স্কুলে আশা যাবে না। স্কুলে সকলের জন্য স্যানিটাইজার রাখতে হবে। এছাড়াও জ্বর মাপার থার্মোমিটার প্রভৃতি রাখতে হবে। খাবার ও পানীয় জল নিয়ে বিধিনিষেধ থাকবে। তবে স্কুলে মিড ডে মিল রান্না ও স্কুলের থালায় খাওয়া প্রভৃতি নিয়ে ভাবাচ্ছে।