Die in Harness: কর্মচারীর মৃত্যুর পর সন্তানের চাকরি আর নয়। সহানুভুতির চাকরি নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

সরকারি কর্মচারীদের জন্য আবারও বড় ধাক্কা! সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এর তরফে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, এবার থেকে Die in Harness Job বা কর্মরত অবস্থায় কর্মীর মৃত্যু হলে আর উত্তরাধিকার সূত্রে বাধ্যতামূলক ভাবে সরকারি চাকরি মিলবে না। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া একাধিক অধিকার থাকলেও সরকারি চাকরি তার মধ্যে পড়ে না। সরকারি দপ্তরের কর্মচারীরা প্রাথমিকভাবে নিজেদের দক্ষতায় এবং যোগ্যতায় একটি উচ্চ পদস্থ স্তরে কর্মরত হয়ে থাকেন। তার মানে এটাই নয়, যে সেই ব্যক্তির কর্মজীবনের মধ্যে দেহাবশান ঘটলে তার ছেলে বা মেয়েকে ওই একই স্তরে চাকরি দেওয়া হবে। এই বিষয়টি আবার স্পষ্ট করে দিল শীর্ষ আদালত। স্বভাবতই, পরিবারের কোনো সদস্যের অবসর বা মৃত্যুর পর আরেকজন সেই চাকরি পাবেন, এমনটা আর হবে না।

Supreme Court order on Die in Harness Job

সম্প্রতি রাজস্থানের এক ব্যক্তির করা মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তথা শীর্ষ আদালত স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি চাকরি (Govt. Job) কোন উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া অধিকার নয়। সহানুভূতির ভিত্তিতে সাধারণত এই কাজ করা হলেও, সকলের জন্য এটি কোনভাবেই প্রযোজ্য নয়। ২০১৫ সালে রাজস্থানের এক বাসিন্দা শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) মামলা শুরু করেন। যেখানে সেন্ট্রাল এক্সাইজ বিভাগে কর্মরত এক আধিকারিকের দেহাবশান ঘটলে তার ছেলে ওই একই দপ্তরে সহানুভূতির চাকরির আবেদন জানান।

তবে সেই মুহূর্তেই আয়কর বিভাগের তরফে এই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এর পিছনে মূল কারণ ছিল- কর্মরত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলেও তার পারিবারিক অবস্থা যথেষ্ট পরিমাণে সচ্ছল। তাই এক্ষেত্রে সহানুভূতির ভিত্তিতে সরকারি চাকরি মিলবে না বলে জানানো হয়

খোয়া গেল এই ২ ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা। চিন্তায় কোটি কোটি গ্রাহক। কাদের ক্ষতি হয়ে গেল?

কারা পাবেন এই সহানুভূতির চাকরি?

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন ওই মৃত সরকারি কর্মীর ছেলে। এই ঘটনায় আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সহানুভূতির ওপর ভিত্তি করে যে সমস্ত চাকরি (govt. Job) দেওয়া হয় তা সম্পূর্ণরূপে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে বিবেচনা করে তবেই দেওয়া হয়ে থাকে। মূলত ওই কর্মচারীর মৃত্যুর পর সেই পরিবারের আর্থিক অবস্থা কেমন রয়েছে, তার উপর ভিত্তি করেই এই চাকরি পাওয়া যায়। এক কথায়, আর্থিক দুর্দশা কিংবা প্রয়োজন এই বিষয়গুলির উপর নির্ভর করেই সহানুভূতি ভিত্তিক চাকরি প্রদান করা হয়। এই মামলার সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, কর্মরত অবস্থায় সরকারি কর্মীর মৃত্যুর জেড়ে তাঁর পরিবারে আর্থিক সংকট তৈরি হচ্ছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।

সহানুভুতির চাকরিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়

শীর্ষ আদালতের মামলা অনুসারে, মামলাকারী ব্যক্তির দুটি বাংলো, ৩৩ একর জমি এবং বাবার মৃত্যুর পর মাসিক ৮৫ হাজার টাকা পেনশনের ব্যবস্থা রয়েছে। এই ক্ষেত্রে সহানুভূতির ভিত্তিতে কোনভাবেই চাকরি দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করে না। এরপরে ওই সরকারি কর্মচারীর ছেলে আদালতে আবেদন জানালেও, আদালতের তরফে এই একই রায় ঘোষণা হয়। শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা স্পর্শভাবে জানিয়েছেন, এটি কোন উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জিনিস নয়। এরকম কোন নিয়ম বা অধিকারের উল্লেখ নেই ভারতীয় নিয়মবিধিতে।

একের বেশি Bank Account থাকলেই 10,000 টাকা জরিমানা

উপসংহার

এছাড়াও কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, একমাত্র সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুর পর তার পরিবারে আর্থিক সংকট দেখা দিলে তবেই সেটি বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে। কিন্তু ওই পরিবারের স্থায়ী কোন আয়ের সুযোগ থাকলে সেই ক্ষেত্রে পরিবারের কোন সদস্যকেই সরকারি চাকরি দেওয়া হবে না। এটিকে শীর্ষ আদালতের একটি ঐতিহাসিক রায় হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। অনেক সময় এই উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া চাকরির কারণে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হন। এই রায়ে সেই সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে এবং ভবিষ্যতেও এটি অনেকের সহায়তা করবে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!