রেশন কার্ডে ফ্রি রেশন পেতে হলে এই কাজ তাড়াতাড়ি করুন। শেষ তারিখ 25 জুন।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে আবারো রেশন ব্যবস্থায় আসতে চলেছে বড়সড়ো পরিবর্তন! বিগত কয়েক বছরেই রেশন কার্ড নিয়ে একাধিক পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়েছে রাজ্যের আমজনতা। তবে এবারে আবারো রেশন ব্যবস্থা (Ration System) নিয়ে নতুন নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রেশন ব্যবস্থায় এর আগেও দুয়ারে রেশনের মতো একাধিক জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এবার কোন নির্দেশ সামনে এলো? এমন নির্দেশের কারণ কী? কাদের জন্য এই নির্দেশ লাভদায়ক হবে? এই বিষয়ে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে এই প্রতিবেদনটি।

রাজ্যের রেশন কার্ড গ্রাহকদের জরুরী নির্দেশ

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের তরফে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে রাজ্যের প্রতিটি রেশন দোকানে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই খাদ্যদ্রব্য মজুদ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার (Ration Rule 2025)। অর্থাৎ পরবর্তী মাসের প্রয়োজনীয় রেশন সামগ্রী তার আগের মাস শেষ হওয়ার আগেই মজুদ রাখতে হবে রেশন দোকানে।

চাল, গম থেকে শুরু করে রেশন বিতরণের প্রয়োজনীয় সমস্ত সামগ্রী আগে থেকেই দোকানে এনে মজুদ রাখতে হবে। এমনকি প্রতিটি সামগ্রীর ঠিক কতটা শতাংশ রেশন দোকানে রাখতে হবে, সেই বিষয়েও নির্দেশিকা দিয়েছে খাদ্য দপ্তর।

ফ্রি রেশন পেতে হলে মানতে হবে

সরকারি নির্দেশ অনুসারে, পরবর্তী মাসের জন্য বরাদ্দ চাল ও গম রেশন ডিলারদের কাছে তার আগের মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে। এক্ষেত্রে বরাদ্দ আটার ৭০% আগের মাসের শেষ তারিখের মধ্যে মজুদ রাখতে হবে রেশন দোকানে। বাকি ৩০% আটা পাঠাতে হবে নতুন মাসের ৫ তারিখের মধ্যেই। শুধুমাত্র আটার ক্ষেত্রেই নয়, বরং বেশ কয়েকটি সামগ্রীর বিষয়ে এই একই রকম নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য দপ্তর (Ration Rule 2025)।

রেশন ব্যবস্থায় এই পরিবর্তনের কারণ কী?

এর আগে বিভিন্ন সময়ে রেশনিং ব্যবস্থা সহ রাজ্যের একাধিক প্রকল্পে দুর্নীতির খবর উঠে এসেছে সর্বসম্মুখে। সেই কারণেই এবারে রেশন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। সরকারি রেশন দোকানে পর্যাপ্ত রেশন মজুদ রাখা এবং স্বচ্ছতার সাথে সেই রাশন বন্টন করার দিকে দৃষ্টিপাত করেছে রাজ্যর খাদ্য দপ্তর। তবে এ ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন রেশন ডিলাররা।

আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গে স্মার্ট মিটার নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত। অবশ্যই জেনে নিন।

রেশন ব্যবস্থার নয়া পরিবর্তনে সুবিধা এবং অসুবিধার সম্মুখীন কারা?

পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দপ্তর এর তরফে রেশন ব্যবস্থায় নিয়ে আসা এই নয়া পদক্ষেপে অবশ্যই আগামী দিনে সাধারণ আমজনতার একাধিক সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত রেশন পরিষেবায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধির ফলে সঠিক উপভোক্তার কাছে সঠিক পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন, প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা করে ভাতা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। আধার কার্ড দিয়ে আবেদন করুন

উপসংহার

তবে এক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে রেশন ডিলাররা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ছোটখাটো ফেয়ার প্রাইস শপগুলিতে মাস শুরুর আগে থেকেই আগাম রেশন দ্রব্য পাঠিয়ে দিলে সেটি সঞ্চয় করে রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। রেশন দোকানের সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যে গোটা মাসের রেশন সামগ্রী সঞ্চয় করে রাখা অনেক সময় সমস্যার জনক। এই বিষয়ে খাদ্য দপ্তরের কাছে সমাধান চাওয়া হয়েছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের তরফে।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!