WB Primary TET 2014 Case – তবে কি সত্যি সত্যি বদলাতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষকদের ভাগ্য!
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে ওঠা প্রাথমিক টেটের (WB Primary TET 2014 Case) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়। এই মামলার দায়িত্বে ছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় দরখাস্ত হওয়ার শিক্ষকদের ফিরিয়ে দিতে হবে প্রাপ্ত বেতনের অর্থ, এমনটাই নির্দেশ দেন তিনি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একক বেঞ্চের রায়কে (WB Primary TET 2014 Case) রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হয় রাজ্য। আর এবার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। গতকাল মঙ্গলবার অর্থাৎ ১২ জুলাই সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি যাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের তরফে থাকা আইনজীবীরা একাধিক প্রশ্ন তোলেন আদালতে।
এদিন চাকরি যাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের হয়ে প্রশ্ন করেন আইনজীবী মিলন ভট্টাচার্য এবং একরামুল বারি। এদিন তাদের করা প্রথম প্রশ্ন ছিল, প্রথম শুনানিতেই (WB Primary TET 2014 Case) সিঙ্গেল বেঞ্চ কিভাবে চাকরি বাতিল করে। তারা আরো বলেন, আদালত কি স্কুল চালায় নাকি শিক্ষক নিয়োগ করে। সিবিআই বা কি করে প্রথম দিনেই চলে এলো সেখানে।
শুধু তাই নয় আইনজীবী একরামুল বারি বলেন, যে সমস্ত শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে তারা সকলেই প্রশিক্ষিত। তবে মামলাকারী সম্ভবত প্রশিক্ষিত পরীক্ষার্থী নন। কোন যৌক্তিকতা নেই মামলাকারীর আবেদনের। অপরদিকে শিক্ষকদের তরফে থাকা আইনজীবী মিলন ভট্টাচার্য বলেন, প্রথম শুনানিতেই (WB Primary TET 2014 Case) চাকরি বাতিল করার আইনি ক্ষমতা নেই সিঙ্গেল বেঞ্চের।
আরও পড়ুন, ডিএ দিতে অর্থদপ্তরের জরুরী বৈঠক, ডাক পড়লো সমস্ত দপ্তরের আর্থিক উপদেষ্টাদের।
কারণ এটা কোন জনস্বার্থ মামলা নয়। কোন যুক্তিতে তার মক্কেলের শিক্ষকতা করার অধিকার আদালত (WB Primary TET 2014 Case) কেড়ে নেয়। তিনি আরো বলেন, তার মনে হয়েছে তার মক্কেলকে হুমকি দিয়েছে আদালত। গত ৫ বছর ধরে তার মক্কেল শিক্ষকতা করলেও এক কথায় থাকে আদালত বহিষ্কার করতে পারেনা, এমনটাই তার বক্তব্য।
এতো গেল প্রাথমিক শিক্ষকদের কথা। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের আইনজীবী জয়দীপ করও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। তার বক্তব্য সিবিআই তদন্ত নির্দেশ জারি হওয়ার পর আদালত মানিক বাবুকে আদালতে ডাকে।
তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই মামলার (WB Primary TET 2014 Case) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। উপরন্ত চেয়ারম্যানকে হলফনামা জমা দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে শুধুমাত্র একটি রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে অপসারণ। এমনটাই বক্তব্য উঠে এসেছে আইনজীবী জয়দীপ করের তরফে।
তবে সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, এখনো লঙ্ঘন ঘটেনি স্বাভাবিক ন্যায় বিচারের। সুতরাং বরখাস্ত হওয়া প্রার্থীরা একক বেঞ্চে গেলে সেখানে সুবিচার পাবেন। এখন নতুন কোন মোর আসতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতি মামলা (WB Primary TET 2014 Case) সেটাই দেখার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।
প্রতিদিন আরো নিত্য নতুন খবরের আপডেট পেতে ফলো করতে ভুলবেন না এই ওয়েব পোর্টালটি।
Written by Manisha Basak.