RBI Suspend Bank – ঋণের ভারে ডুবলো আরেকটি ব্যাংক।
বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন ব্যাংকের NPA সম্পদের পরিমাণ (RBI Suspend Bank) বাড়ছে। আর ব্যাংক ও ঋণের টাকা তুলতে পারছে না, সুদ বাড়ছে, আর ব্যাংকের খরচ ও বাড়ছে। যার ফলে দেউলিয়া হওয়ার পথে হেটেছে বিভিন্ন ব্যাংক। আর তেমনি অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের আরেকটি ব্যাংকের।
সম্প্রতি রাজ্যের এক কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পরিচালনাগত (RBI Suspend Bank) সমস্যা সকলের নজরে এসেছে। ব্যাংকের তরফে সরাসরি অভিযোগ তোলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার দুই পুরসভার বিরুদ্ধে। বৈদ্যবাটী-শেওড়াফুলি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে পরিষেবা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে অনেক গ্ৰাহককে। গত তিরিশ বছর ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি।
তাই নেই কোনো পরিচালন কমিটি। দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রশাসক। অব্যবস্থা সামাল দিতে ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষের দাবি, এতে সাধারণ গ্রাহকদের কোনো অসুবিধা হবে না। সমস্ত গ্রাহকরা প্রয়োজন অনুযায়ী গচ্ছিত টাকা ও সুদের টাকা পাবেন। (RBI Suspend Bank)
সূত্রের খবর, বাম জমানায় সংশ্লিষ্ট বৈদ্যবাটী এবং চাঁপদানি পুরসভার বেশ কিছু কর্মী এই ব্যাংক থেকে বেশ অনেক টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। পুরসভার পক্ষ থেকে দায়িত্ব নেওয়া হয়েছিল সময় অনুযায়ী সেই ঋণ শোধ করার। সেই ঋণ শোধের দায়িত্ব নেয় সংশ্লিষ্ট পুরসভা। আর তাই পুরসভার কর্মীদের থেকে মাসিক কিস্তিতে টাকা কেটে নিত পুরসভা। কিন্তু আজ অবধি সেই ঋণের আসল তো দূর সুদের টাকাও জমা পড়েনি।
গত সেপ্টেম্বর মাসে বাধ্য হয়ে ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে চিঠি পাঠায় ঋণের টাকা ফেরতের জন্য। সরকারি দপ্তর থেকে দুই পুরসভায় জানানো হয় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে, এমন কি চিঠি দেওয়া হয়। তার পরেও পুরসভার তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এভাবে দিনের পর দিন সময়মতো টাকা জমা না করায় মোট টাকার অংক যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। (RBI Suspend Bank)
আবেদন করুন ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী স্কলারশীপে, আর পেয়ে যান পড়াশোনার সব খরচ।
২০০৩ সালে যখন ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৫ লক্ষ টাকা সেখানে বর্তমানে সেই সংখ্যাটা গিয়ে পৌঁছেছে সাড়ে তিন কোটি টাকায়। ওই পুরসভা-কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাঙ্কের পাওয়া ছিল প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা। যেটা বর্তমানে প্রায় ২ কোটিতে পৌঁছেছে। (RBI Suspend Bank)
ব্যাঙ্কের স্পেশাল অফিসার জিতেন্দ্র সিংহ জানান, ‘‘আবার পুরমন্ত্রী এবং সমবায়মন্ত্রীকে জানানো হবে। তাতে না হলে আইনের পথে যেতে হবে নইলে ব্যাংক বাঁচানো যাবে না।’’ তবে এর আগে অল্প কিছু টাকা আদায় করা গেলেও এখনও প্রায় ৩৭ কোটি টাকা (RBI Suspend Bank) অনাদায়ী রয়ে গেছে।
দিনে মাত্র 30 টাকা জমিয়ে, পান 4 লাখ টাকা, বাম্পার পলিসি এলআইসির।
এ বিষয়ে বৈদ্যবাটী পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় , তিনিও ওই ব্যাঙ্ক থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তবে তা শোধ হয়নি শুনে অবাক হন। কারণ, প্রতি মাসে বেতন থেকে ঋণের পুরো টাকাই অনেক আগেই পুরসভাকে তিনি দিয়েছিলেন। অন্যদিকে চাঁপদানি পুরসভার সাফাই বিভাগের এক কর্মী বলেন, ‘‘১৯৮৯ সালে আমার মেয়ের বিয়ের জন্য প্রায় ৩২ হাজার টাকার ঋণ নিয়েছিলাম। কিন্তু পুরসভা সুদ বাবদ ১৩৬৫ টাকা মায়না থেকে কেটে নিত। ২০০৫ সালেই আমার টাকা শোধ হয়ে গেছে। এখন শুনছি টাকা জমা পড়েনি। পুরসভা বুঝবে এবার”।
তাঁদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নিয়ে বৈদ্যবাটীর পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো বলেন, ‘‘আমরা তো কোনো চিঠি পাইনি।” অন্যদিকে চাঁপদানির পুরপ্রধান সুরেশ মিশ্র জানান, “ঋণ জমা সংক্রান্ত কোনও চিঠি পাইনি। তবে ২০০৫ সালে পুরপ্রধান হওয়ার পরে যা টাকা বকেয়া ছিল তা প্রায় অনেকটাই মিটিয়েছি। এরপরে ব্যাঙ্কের টাকা মেটানোর ব্যাপারে ভেবে দেখবো।” (RBI Suspend Bank)
তিনি আরও বলেন, “পুরসভাকে না বলে বরং আরও যারা কোটি কোটি ঋণ নিয়েছে তাঁদের কেউ বলা হোক”। এ প্রসঙ্গে ব্যাঙ্কের এক কর্মী জানান, ‘‘ যে যে ক্ষেত্রে অনাদায়ী পাওনা আছে, সেই সব ক্ষেত্রেই টাকা আদায় করার পরিকল্পনা রয়েছে।প্রয়োজনে সরাসরি টাকা দিতে না পারলে তাদের সম্পত্তি নিলাম করা হবে”।
Written by Rupa Dutta.
পোষ্ট অফিসের নতুন স্কীমে এককালীন মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মিলবে সারাজীবন পেন্শন