Loan Repayment: লোন নেওয়ার পর ঋণগ্রহীতা মারা গেলে কাকে দিতে হবে EMI? নাকি লোন মাফ হয়ে যাবে? EMI না দিলে কি ক্ষতি হবে?

হঠাৎ করে টাকার প্রয়োজনের জন্য অনেকেই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ বা Personal Loan, Home Loan প্রভৃতি নেন। আর Loan Repayment বা ঋণ পরিশোধের জন্য প্রতি মাসে নির্ধারিত পরিমাণে টাকা EMI বা মাসে মাসে কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়। তবে, EMI চলতে চলতে এবং লোন শোধ হওয়ার আগে আকস্মিকভাবে যদি ঋণগ্রহীতার মৃত্যু হয়, সেই পরিস্থিতিতে লোন কে পরিশোধ করবে? নাকি লোন মকুব হবে? আর ঋণ পরিশোধ না করলে কী হবে, তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।

RBI Guidelines on Loan Repayment after Death

EMI কাকে দিতে হবে?
ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পর EMI কাকে দিতে হবে তা নির্ভর করে ঋণের ধরণ এবং ঋণগ্রহীতার সাথে ব্যাংকের চুক্তির উপর।

Home Loan Repayment

১. গৃহঋণঃ
হোম লোনের ক্ষেত্রে, সাধারণত ঋণ পরিশোধের জন্য ঋণগ্রহীতা একটি বন্ধক রাখেন। ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পর, ঋণের বকেয়া অংশ ঋণগ্রহীতার যৌথ ঋণগ্রহীতা (যদি থাকে) অথবা উত্তরাধিকারীদের দ্বারা পরিশোধ করা উচিত। যদি ঋণগ্রহীতার কোন যৌথ ঋণগ্রহীতা বা উত্তরাধিকারী না থাকে, ব্যাংক ঋণ পরিশোধের (Loan Repayment) জন্য বন্ধকী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে।

Car Loan Repayment

২. গাড়ি ঋণঃ
গাড়ি ঋণের ক্ষেত্রেও, ঋণ পরিশোধের জন্য গাড়িটি বন্ধক রাখা হয়। ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পর, ঋণের বকেয়া অংশ ঋণগ্রহীতার যৌথ ঋণগ্রহীতা (যদি থাকে) অথবা উত্তরাধিকারীদের দ্বারা পরিশোধ করা উচিত। ঋণ পরিশোধ না করা হলে, ব্যাংক গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করতে পারে।

আরও পড়ুন, আজ থেকে সারা দেশে কার্যকর হলো নতুন আইন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। সাধারণ জীবনে কি কি প্রভাব ফেলবে দেখুন

Personal Loan

৩. ব্যক্তিগত ঋণঃ
ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে, ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর সাথে সাথেই ঋণের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। ঋণগ্রহীতার পরিবারের উপর কোন ঋণের বোঝা থাকে না। তবে, ঋণদাতা ঋণের বকেয়া অংশ ঋণগ্রহীতার সম্পত্তি থেকে আদায় করার চেষ্টা করতে পারে। তবে সেটা পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করে।

ঋণ পরিশোধ না করলে কি হবে?

ঋণ পরিশোধ না করা হলে, ঋণদাতা নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে পারে:
১. বকেয়া ঋণের জন্য সুদের হার বৃদ্ধিঃ
ঋণদাতা ঋণের উপর বকেয়া সুদের জন্য অতিরিক্ত সুদ আরোপ করতে পারে।

২. আইনি পদক্ষেপঃ
ঋণদাতা ঋণ আদায়ের জন্য আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে। যেমন মামলা করা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, এবং ঋণগ্রহীতার বেতন থেকে টাকা আদায় করা।

৩. ক্রেডিট রিপোর্টে ক্ষতিঃ
ঋণ পরিশোধ না করলে ঋণগ্রহীতার ক্রেডিট রিপোর্টে (CIBIL Score) নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এর ফলে ভবিষ্যতে ঋণ নেওয়া কঠিন হতে পারে।

আরও পড়ুন, চাকরিজীবীদের কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার কি হয়? নমিনি কিভাবে টাকা তুলবেন? নমিনি না থাকলে কি হবে?

কিভাবে ক্ষতি আটকানো যায়?

১. ঋণ নেওয়ার আগে, ঋণের নিয়মাবলী এবং শর্তাবলী সাবধানে পড়ুন।
২. যদি আপনি ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম হন তবে দ্রুত ঋণদাতার সাথে যোগাযোগ করুন।
৩. ঋণ পরিশোধের জন্য আপনার বাজেট তৈরি করুন এবং ঋণ পরিশোধের জন্য নিয়মিত টাকা সঞ্চয় করুন।
৪. আপনার যদি ঋণ পরিশোধে সমস্যা হয় তবে আর্থিক পরামর্শের জন্য একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
Written by Nabadip Saha.

আরও পড়ুন, হোয়াটসঅ্যাপের নতুন আপডেট মেটা এআই, কী সুবিধা, সব গোপন তথ্য ফাঁস হচ্ছে না তো?

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment