Primary Court Case – প্রাথমিকের মামলায় নয়া মোড়।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্টের (Primary Court Case) বিচারপতির তরফে ইতিমধ্যেই 269 জন প্রাইমারি শিক্ষককে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনলাইন-এ প্রকাশিত জেলা অনুযায়ী সেই তালিকায় রয়েছে 269 শিক্ষকের নাম, যাদের বেতন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিভাবে সাদা খাতা জমা দেওয়া সত্ত্বেও তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল এনিয়ে এখনও চলছে সিবিআই তদন্ত।
চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের পক্ষ থেকে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের মামলা (Primary Court Case) দায়ের করা হয়। সেখানে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন কেন ঐ 269 জনকে বিশেষভাবে পরীক্ষায় অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়েছিল। কোর্টে পেশ করা রিপোর্টে পর্ষদের তরফে জানানো হয়, “২৬৯ নয়, বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল আরও অনেককেই।”
কারণ হিসেবে পর্ষদ উল্লেখ করে “প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল, তাই নম্বর বাড়ানোর দাবিতে ২,৭৮৭ টি আবেদন জমা পড়ে। তার ভিত্তিতেই ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল।” কিন্তু বাকি প্রার্থীরা কেন সেই বাড়তি নম্বর পাননি, তা জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Primary Court Case).
প্রসঙ্গত, 2014 সালে হওয়া প্রাথমিক টেট পরীক্ষার পর নিয়োগের প্রথম প্যানেল প্রকাশিত হয় 2016 সালে। এরপর 2017 সালে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশিত হয়। সেখানে ঐ 269 জন প্রার্থীর নাম ছিল। পর্ষদের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, 2014 সালের টেট পরীক্ষার অকৃতকার্য প্রার্থীদের তালিকা পর্ষদ এর কাছে নেই। Primary Court Case
এবার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের (Primary Court Case) করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মাননীয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ পর্ষদ। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি রয়েছে। এছাড়াও এখনও অবধি 16500 শূন্য পদের মধ্যে মাত্র 9600 টি পদে প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন, টেট কেলেঙ্কারীর পর, এবার সর্ষের মধ্যেই ভূত, আরো বড় প্রমান পাওয়া গেল,
তাই মামলাকারী প্রার্থীদের দাবি যাতে খুব শীঘ্রই সেই শূন্যপদ পূরণ করা হয় এবং এ নিয়ে তারাও আদালতে মামলা (Primary Court Case) দায়ের করেছে ইতিমধ্যে। আর এই মামলায় জয় পেলে আরো ৭০০০ শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ হতে পারে। কিম্বা ১৬৫০০ বলা স্বত্তেও কেন ৯৬০০ টি পদে নিয়োগ করে হয়েছে, এর জবাব চাইতে পারে আদালত।
মাধ্যমিক পাশে বিনা পরীক্ষায় রাজ্যে নিয়োগ হতে চলেছে প্রায় 2600
এরই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মত কাজ শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশে প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে গতি আনতে গতকালই সিবিআই আধিকারিকরা প্রাইমারি বোর্ডের অফিসে হানা দেন। প্রাইমারি বোর্ড অফিসের সার্ভার রুমে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক তথ্য আছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই গতকাল হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা।
Written by Rupa Dutta.
বাড়িতে বসে অনলাইনে মাত্র এক ঘন্টা কাজ করে আয় করুন প্রতিদিন 3 হাজার টাকা।