ব্যাংকিং সেক্টর ও Bank Account বর্তমানে বহু মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকেরই এখন একটি না একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অনেকে আবার একটির বেশিও Bank Account খুলে রাখেন বিভিন্ন উদ্দেশ্যে। যেমন, একটি অ্যাকাউন্ট থাকে স্যালারি অ্যাকাউন্ট হিসেবে, আবার অন্যটি সেভিংস বা ডিজিটাল লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, সর্বোচ্চ কটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রাখা যেতে পারে? এই বিষয়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) এর কোনো বিশেষ নিয়ম কি আছে?
ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রকারভেদ
বিভিন্ন প্রয়োজন মেটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে।
১. সাধারণত, ব্যক্তিগত লেনদেন বা সঞ্চয়ের জন্য সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এই ধরনের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা জমা এবং তোলার সুবিধা পাওয়া যায়।
২. অন্যদিকে, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট (Current Account) সাধারণত ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হয়। এখানে প্রচুর পরিমাণে লেনদেন করা সম্ভব, কিন্তু সেভিংস অ্যাকাউন্টের মতো সুদ পাওয়া যায় না।
৩. এছাড়া, যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তি মিলে একটি ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনা করতে চান, তবে তারা জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি একই অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন এবং প্রয়োজনমতো লেনদেন করতে পারেন।
৪. এছাড়াও কিছু ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ধরনের জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্টও অফার (Zero Balance Bank Account) করে থাকে। প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার (PMJDY) অধীনে খোলা অ্যাকাউন্টগুলো এই তালিকায় আসে।
How many Bank Accounts can a person have in india
একজন ব্যক্তির সর্বোচ্চ কটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে?
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) অনুযায়ী, একজন ভারতীয় নাগরিক কটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন তার ওপর কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। অর্থাৎ, একজন নাগরিক চাইলে একাধিক ব্যাংকে বা একাধিক ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সিঙ্গেল সেভিংস অ্যাকাউন্ট, জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি সব ধরনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন তিনি। সুতরাং, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংখ্যার ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি RBI।
ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নূন্যতম ব্যালেন্সের নিয়ম
যদিও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংখ্যার ওপর কোনো সীমা নেই, তবে প্রত্যেকটি অ্যাকাউন্টের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন, ব্যাংকিং সংস্থাগুলি সাধারণত অ্যাকাউন্টে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ নূন্যতম ব্যালেন্স বজায় রাখার শর্ত দেয়। আর নূন্যতম ব্যালেন্সের পরিমাণ নির্ভর করে গ্রাহকের বাসস্থান বা ব্যাংকের শাখার অবস্থানের ওপর। মেট্রো শহর, শহরতলি বা গ্রামীণ এলাকার ওপর ভিত্তি করে নূন্যতম ব্যালেন্সের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।
আরও পড়ুন, এলআইসি নতুন পলিসি। এককালীন বিনিয়োগে সারাজীবন প্রতিমাসে ১ লাখ টাকা করে পাবেন
যদি কোনো গ্রাহক তার অ্যাকাউন্টে এই নূন্যতম ব্যালেন্স বজায় রাখতে ব্যর্থ হন, তবে ব্যাংক সেই গ্রাহককে জরিমানা (fine) আরোপ করতে পারে। সেভিংস এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্টে এই ব্যালেন্স বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। স্যালারি অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে অবশ্য এই নূন্যতম ব্যালেন্স রাখার নিয়ম থাকে না। আবার যাদের জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট তাদের এইধরনের নূন্যতম ব্যালেন্স রাখার কোনো প্রয়োজন হয়না।