৩৫ এর নিচে বয়স হলেই সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ, হোম গার্ডদের পুলিশ কনস্টেবল পদে পার্মানেন্ট চাকরির সুযোগ

প্রথমবারের মতো সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer), ভিলেজ পুলিশ এবং অন্যান্য সহযোগী পুলিশ কর্মীরা পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় (Police Constable Recruitment Exam) অংশ নিতে পারবেন। নবান্ন এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে, যা রাজ্য পুলিসের ওয়েলফেয়ার কমিটি উত্থাপন করেছিল। তাঁদের জন্য ১৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা তাঁদের ক্যারিয়ারে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। এই সিদ্ধান্ত সহযোগী পুলিস কর্মীদের দীর্ঘদিনের অসন্তোষ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষায় প্রায় পাঁচ হাজার সহযোগী কর্মী অংশ নেবেন। এই উদ্যোগ তাঁদের পেশাগত উন্নতির পথে একটি বড় পদক্ষেপ।

সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ, হোম গার্ডদের সুখবর

পশ্চিমবঙ্গের সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer), ভিলেজ পুলিশ এবং সহযোগী পুলিশ কর্মীরা পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা বাড়তি সুবিধা পাবেন। এর ফলে তাদের স্থায়ী সরকারি চাকরি পাওয়ার সুযোগ থাকছে। শুধু তাই নয়। তারা বয়স ও একাধিক কোটায় ছাড় পাবেন। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।

বয়সসীমা ও কোটার সুবিধা

পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal) সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করেছে, যা তাঁদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ বাড়িয়েছে। এই নতুন নিয়মে তাঁদের জন্য ১৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে অনেক উচ্চশিক্ষিত সহযোগী কর্মী, যাঁরা এতদিন সুযোগের অভাবে হতাশ ছিলেন, তাঁরা এখন নতুন উদ্যমে প্রস্তুতি শুরু করেছেন। ওয়েলফেয়ার কমিটির প্রস্তাবে এই বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হয়েছে। রাজ্য পুলিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এটি সহযোগী কর্মীদের জন্য একটি ন্যায্য সুযোগ তৈরি করবে।

অনলাইন প্রশিক্ষণ: প্রস্তুতির নতুন পথ

সহযোগী পুলিস কর্মীদের বেশিরভাগই থানার কাজ বা ট্রাফিকের দায়িত্বে ব্যস্ত থাকেন, তাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যাওয়া তাঁদের পক্ষে কঠিন। এই সমস্যা সমাধানে রাজ্য পুলিসের ওয়েলফেয়ার কমিটি অনলাইন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। আগামী সোমবার থেকে এই ক্লাস শুরু হবে, যেখানে অঙ্ক, সাধারণ জ্ঞান এবং আইন সংক্রান্ত বিষয় পড়ানো হবে।

আরও পড়ুন, প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা করে পাবেন। আজই আবেদন করুন।

প্রশিক্ষিত পুলিশ প্রশিক্ষকেরা এই ক্লাস পরিচালনা করবেন, যাতে পরীক্ষার্থীরা সঠিক দিকনির্দেশনা পান। যাঁরা লাইভ ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন না, তাঁরা ফেসবুকে নির্দিষ্ট লিঙ্কের মাধ্যমে পড়াশোনা করতে পারবেন। এছাড়া, ডাউট ক্লিয়ার সেশনের মাধ্যমে তাঁদের প্রশ্নের সমাধানও করা হবে।

অসন্তোষ দূরীকরণ ও নতুন সম্ভাবনা

এতদিন সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) ও হোমগার্ডরা কনস্টেবল পরীক্ষায় (Police Constable Recruitment Exam) অংশ নিতে পারতেন না, যা তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছিল। সম্প্রতি উচ্চশিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা এই পদে যোগ দিয়েছেন, কিন্তু সুযোগের অভাবে তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। অনেকে এই চাকরি ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ঝুঁকছিলেন। ওয়েলফেয়ার কমিটি তাঁদের এই সমস্যার কথা স্বরাষ্ট্র দপ্তরে তুলে ধরে। তাঁদের প্রস্তাবে কোটা এবং বয়সের ছাড়ের বিষয়টি গুরুত্ব পায়। এই সিদ্ধান্ত তাঁদের ক্যারিয়ারে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।

আরও পড়ুন, কাজের ফাকে অতিরিক্ত আয় করতে এখানে দেখুন।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও প্রভাব

এই উদ্যোগ রাজ্য পুলিশের সহযোগী কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। অনলাইন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাঁরা সীমিত সময়ের মধ্যেও কার্যকরভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবেন। এই প্রক্রিয়া তাঁদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। নবান্নের এই সিদ্ধান্ত অন্যান্য রাজ্যের জন্যও একটি উদাহরণ হতে পারে। পরীক্ষায় সফল হলে অনেকে স্থায়ী পুলিস কনস্টেবল পদে নিয়োগ পাবেন। এটি তাঁদের জীবনে স্থিতিশীলতা ও সম্মান বয়ে আনবে।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!