সদ্য শেষ হয়েছে একমাসব্যাপী পুজোর ছুটি। তবে এখনও ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোর ছুটি রয়েছ। আর এর মধ্যেই রাজ্যের স্কুলের ছুটি বাতিল করলো পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তর। যা নিয়ে কার্যত তোলপাড় স্যোশাল মিডিয়া। তাই বিভ্রান্ত না হয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
কবে ছুটি বাতিল?
ইতিমধ্যেই বাড়তি দায়িত্ব চাপানো হলো শিক্ষকদের উপর। সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্ত পূরণ করলেই স্কুলে স্থাপিত করতে হবে কিচেন গার্ডেন! কিন্তু কী এই কিচেন গার্ডেন? দায়িত্বেই বা কারা থাকতে চলেছেন?
আসুন জেনে নিই বিশদে।
সম্প্রতিককালে ব্লকে ব্লকে প্রশাসনের সাথে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহ শিক্ষক এবং মিড-ডে-মিল এর রাঁধুনিদের মিটিং অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মূলত রবিবারে দিনটিকে সরকারি ছুটি হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু এই মিটিং গুলি রবিবারেই করা হচ্ছে, বলে কার্যত শিক্ষকদের ছুটি বাতিল।
মিটিং এ ঠিক করা হয়েছে, যে সকল বিদ্যালয়ে কিচেন গার্ডেন করা হবে, সেখানে প্রধান দায়িত্বে থাকবেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাকে সহযোগিতা করবেন একজন নোডাল টিচার। আর স্কুলের রাঁধুনিরা থাকবেন সারা বছরের দায়িত্বে।
গার্ডেন অর্থাৎ বাগানের পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি করতে হবে রাঁধুনিরাই। বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদেরও এক্ষেত্রে নিযুক্ত থাকতে হবে।
এবারে প্যান কার্ড নিয়ে কেন্দ্রের লাল সতর্কতা। গুরুত্ব না দিলে ব্যাংক একাউন্ট ফাঁকা।
অর্থাৎ, কিচেন যারা সামলান, তারাই বাগান বানাবেন স্কুলে। পরিচর্যাও করবেন তারা। তাদের সহায়তা করবেন পড়ুয়ারা।
এখন প্রশ্ন এই নতুন মডেলে পড়ুয়ারা কীভাবে লাভবান হবে? সবুজায়নের প্রকল্পে নিজেদের যুক্ত করলেঃ
১. পড়ুয়াদের মোটর দক্ষতা এবং জ্ঞান বিকাশ হবে।
২. টিম স্পিরিট এবং সাহচর্য বৃদ্ধি হবে।
৩. স্বাস্থ্যকর এবং পরিষ্কার খাওয়া দাওয়াকে উৎসাহিত করবে।
৪. একটি ইতিবাচক, কঠোর পরিশ্রমী মনোভাব তৈরি হবে।
৫. যৌক্তিকতা এবং বৈজ্ঞানিক মানসিকতা তৈরি করতে সহায়তা করবে।
৬. আত্মসম্মান ও শ্রমের মর্যাদা অনুপ্রাণিত করবে।
এই মডেল তৈরীর জন্য বিদ্যালয় গুলিতে 10/15 বর্গফুটের জমি বা বেড বানাতে হবে। পরবর্তীতে জমির পরিমাণ আরও বাড়ানো যাবে।
মিড-ডে-মিল প্রকল্পের যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, তাই প্রাথমিকভাবে রবিবার এবং সরকারি ছুটির দিনেই এই প্রকল্প চালু করার কথা ভাবছে সরকার। (ছুটি বাতিল)
Written by Antara Banerjee.