Madhyamik HS Exam – মাধ্যমিক ও HS পরীক্ষার খাতা দেখতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ শিক্ষকদের। এমন কি ঘটনা ঘটল?

গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik HS Exam) পালা শেষ হয়েছে। তারপর থেকে প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেছে। এই দিকে আগামী মে মাসে রেজাল্ট বেরোনোর কথা। তাই এই মুহূর্তে খাতা দেখা দ্রুত শেষ করে শিক্ষকদের নম্বর বসাতে নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদ। ইতিমধ্যেই ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ খাতা দেখা শেষ করেছেন শিক্ষকরা। তবে এই বছরের খাতা দেখতে গিয়ে যে সমস্ত অভিজ্ঞতা শিক্ষকদের হয়েছে তাতে বেশ চমকে উঠেছেন তারা।

Madhyamik HS Exam Answer Sheet Update.

এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) কানে পৌঁছানোর পর যথেষ্ট হতাশ তারাও। খাতার মধ্যে কেউ টুকে দিয়েছে প্রশ্ন, কেউ বা জমা দিয়েছে সাদা খাতা, আবার কেউ পাস করানোর জন্য ঢুকিয়ে দিয়েছে টাকা, এই রকম আরো অনভিপ্রেত বিষয় ধরা পড়েছে এই বছরের পরীক্ষায় (Madhyamik HS Exam). যাতে বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। এই সবের জেরে কিংকর্তব্যবিমূঢ় এবারে শিক্ষকরা। তবে কি এবারে কমবে পাশের হার?

করোনা অতিমারীর পর থেকে পড়াশোনার প্রতি অনীহা দেখা দিয়েছে ছাত্র ছাত্রীদের একাংশের। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার এবং অনলাইনে পড়াশোনার কারণে লেখাপড়া থেকে ছিটকে গেছে বহু শিক্ষার্থী (Madhyamik HS Exam). তাদেরকে আবার পড়াশোনায় ফিরিয়ে আনা যথেষ্ট কঠিন। শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ জানিয়েছেন, এরকম পরিস্থিতি আগেও হয়েছে অনেক। খাতা ব্ল্যাংক জমা দেওয়া, খাতার মধ্যে টাকা গুঁজে রাখা!

পরীক্ষককে ভয় দেখিয়ে পাস করে যাওয়া অনেক কিছুর সম্মুখীন হয়েছেন তারা এর আগে। কিন্তু দিনকে দিন যেন এই গুলো ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এর পেছনে একমাত্র দায়ী হলো ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি অনাগ্রহ। কি দেখা যাচ্ছে এবারের Madhyamik HS Exam? কেউ কেউ যে প্রশ্ন এসেছে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে না পেয়ে অবান্তর কথা লিখে চলে এসেছে পরীক্ষার খাতায়।

এক গণিতের শিক্ষক বলেছেন, পরীক্ষায় যে উপপাদ্য এসেছিল তা না জানা থাকায় সম্পূর্ণ অন্য একটি উপপাদ্য করে দিয়ে চলে এসেছে একজন। কেউবা কোন উত্তরই খুঁজে না পেয়ে জমা দিয়ে এসেছে সাদা খাতা। এখানেই শেষ নয়, আগে বহু অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন পরীক্ষকরা। একজন প্রধান শিক্ষক জানান, একজন পরীক্ষার খাতাতে লিখে দিয়ে এসেছে যদি সে পরীক্ষায় (Madhyamik HS Exam) পাস না করে তার বিয়ে হয়ে যাবে।

আবার কিছু শারীরিক অক্ষমতা সম্পন্ন পরীক্ষার্থী অসুস্থতার দোহাই দিয়ে পাস করানোর জন্য Madhyamik HS Exam খাতায় ডিসাবিলিটি সার্টিফিকেট (Disability Certificate) ঢুকিয়ে দিয়েছে। পরীক্ষার খাতায় টাকা রেখে দিয়ে সরাসরি ঘুষের মাধ্যমে পাস করারও আর্জি জানিয়েছে অনেকে। এই সব দুর্নীতি দেখে নাকাল হয়েছে শিক্ষক শিক্ষিকারা। অন্যায় মেনে না নিয়ে তার যোগ্য শাস্তি পরীক্ষার্থীদের দেওয়ার জন্য তারা আবেদন করেছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে।

Ishan Uday Scholarship (ঈশান উদয় স্কলারশিপ)

এই দিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য বলেছেন, শিক্ষক শিক্ষিকারা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ খাতা দেখা শেষ করে ফেলেছেন। আর খাতা দেখতে গিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে থেকে উঠে এসেছে বিভিন্ন অভিযোগ ছাত্র ছাত্রীদের বিরুদ্ধে। এই সব অন্যায় কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা নির্দেশ দেবো এই Madhyamik HS Exam খাতা গুলিকে আর.এ বা বাতিল করে দেওয়ার জন্য।

বেকার ছেলে মেয়েদের চাকরি অথবা বেকার ভাতা দেওয়ার ঘোষণা। এই প্রকল্প কাদের জন্য ও কিভাবে আবেদন করবেন?

তবে কি সত্যিই এবার বাতিল হয়ে যেতে চলেছে এই সব Madhyamik HS Exam খাতা? তাহলে তো প্রচুর পরীক্ষার্থী ফেল করবে এবারে, এই সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে। গত বছর আমরা দেখেছি পরীক্ষায় পাশ করাতে গ্রেস নম্বর চালু করা হয়েছিল। এবারও যদি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সেটি করে তবে আরেকটি সুযোগ পাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। নয়তো পাশের হার সত্যিই কম হতে পারে এবারে।
Written by Nabadip Saha.

প্রতিদিন 2 ঘণ্টা কাজ করে, সৎ পথে সন্মানের সাথে রোজগার করুন। কারোর অর্ডার শুনতে হবে না।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment