Punishment at School – স্কুলে শিক্ষকদের শাস্তি দেওয়া অপরাধ নয়, মধুর শাসন পড়ুয়াদের চরিত্র গঠন করে, আদালতের রায়।

School Corporal Punishment or Punishment at School:

একটা সময় ছিলো প্রত্যেক স্কুলে দুই একজন রাশভারী শিক্ষক থাকতেন, লম্বা বেত নিয়ে স্কুলের (Punishment at School or School Corporal Punishment) বারান্দা বা ব্যালকনি দিয়ে হেটে গেলেই, সারা স্কুল চুপ হয়ে যেত, কিম্বা স্কুলে ঢোকা মাত্রই সমস্ত ছাত্র ছাত্রী ক্লাসে ঢুকে যেত। পড়া না হলে কিম্বা দুস্টুমি করলে গুনে গুনে বেত্রাঘাত খেতে হতো। যদিও সেই সময়কার ছাত্র শিক্ষক সম্পর্কটা যথেষ্ট আবেগের ছিলো। আর অভিভাবকদের কাছ থেকে ও পারমিশন ছিলো, মাস্টারমশাই শুধু হাড় টা যেন অক্ষত থাকে।

তবে দিন বদলেছে। আইন করে সমস্ত শাস্তির অধিকার তুলে নিয়েছে প্রশাসন। এখন আর বেত তো দুরের কথা শারীরিক বা মানসিক কোনও টাই শিক্ষকদের (Punishment at School) হাতে নেই। সে পড়ুয়া গোল্লায় যাক! যদিও মাঝে মাঝে শিক্ষকদের অমানষিক নির্যাতনের কথা খবরে প্রকাশিত হয়, সে তো এক বস্তা আলুতে দুই একটা কানা আলু থাকতেই পারে। বিতর্কিত বিষয় হলেও ঠাণ্ডা ঘরে বসে আইন করা নয়, ক্লাসের মধ্যে যারা পড়ান তাঁরাই জানেন, শাস্তির অধিকার তুলে নেওয়ায় সামগ্রিক শিক্ষা কিম্বা পড়ুয়াদের চরিত্র গঠনে কতটা অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে। আর সেই রকমই ইঙ্গিত মিলল আদালত থেকে।

ছাত্রের গায়ে শিক্ষক হাত তুলতে পারে! এমন রায় শুনে অবাক হচ্ছেন তো। ঘটনার সূত্রপাত গোয়ার বম্বে হাইকোর্ট। দেশে আইন এনে শিক্ষকের ছাত্রদের গায়ে হাত তোলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। এনিয়ে একের পর এক আন্দোলন চলেছে দেশে। ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে দেশের অনেক শিক্ষাবিদই এর পক্ষে সওয়াল করেছিল। সেই আইনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক ছাত্র সম্পর্কের অনেক পরিবর্তন এসেছে।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৪ সালে গোয়াতে। সেখানে মারধর করার (Punishment at School) জন্য শিক্ষক কে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং এক রাত জেলে থাকারও আদেশ দেয় কোর্ট। গোয়ার এক প্রাইমারি স্কুলে একটি পাঁচ বছরের বাচ্চাকে কেন্দ্র করে। জল তেষ্টা পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। তার আট বছরের দিদি ঘটনাটি পর্যবেক্ষন করতে ক্লাসে আসে। তখন প্রহারই স্বীকার হয় দুই বোন বলে দাবি করা হয়।

বাজেটে মিড ডে মিলের বরাদ্দ কমালো কেন্দ্র, তাহলে কি কমে যাবে খাবারের মান।

কিন্তু মারের কোনো চিহ্ণ প্রমাণিত হয়নি। সেই ঘটনাকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর ডিভিশনে যায় সেই শিক্ষক। ভারত দেশে পান্ডের ডিভিশনে বেঞ্চে রায় আসে সেই শিক্ষকের অধিকার আছে ছাত্রদের শাসন করার। একজন ছাত্র শুধুমাত্র স্কুলে পুঁথিগত শিক্ষা নিতেই আসে না। জীবনের বোধ, নিয়ম শৃংখলা কিন্তু একজন ছাত্র স্কুলেও শিখতে আসে। একজন শিক্ষক কিন্তু অভিভাবক একজন ছাত্রের। এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। বরং প্রয়োজনে শিক্ষক বকুনি বা শাস্তি (Punishment at School) দিতে পারেন। শাস্তি দেওয়ার অধিকার ফের শিক্ষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয় বম্বে হাইকোর্টে।

মাসিক বেতন/পেনশন কত টাকা হলে ইনকাম টাক্স দিতে হবে, নতুন বাজেটের হিসাব জেনে নিন।

যদিও এই নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। আর সত্যিই যদি শাস্তি (School Corporal Punishment or Punishment at School) ফিরে আসে তবে শিক্ষকদেরও মানবিক দিকটা মাথায় রাখা উচিত।
স্কুলে কি শাস্তি ফেরা উচিত? এই বিষয়ে আপনার মতামত নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment