Primary Teacher Case: হাইস্কুলের পর এবার ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বাতিল মামলায় সর্বনাশ! ৩ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত রায়

৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বাতিল মামলায় (WBBPE Primary Teacher Case) নয়া মোড়। দীর্ঘদিন ধরেই এই মামলা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা চলছে। সম্প্রতি সেই মামলার শুনানিতে নয়া মোড় উপস্থিত। প্রকাশ্যে এল শিক্ষক নিয়োগের অর্ডার কপি। আর তাতেই যা লেখা আছে সেটি অবাক করার মতোই। এদিকে মামলাকারী আইনজীবীরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সতর্ক করছেন, হাইস্কুলের মতো নাকি প্রাইমারী নিয়োগ ও পুরো প্যানেল বাতিল হবে! এই মামলার যা গতি প্রকৃতি তাতে প্যানেল বাতিল হওয়ার ও সম্ভাবনা কতটা সেই নিয়েও এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হবে।

32000 WBBPE TET 2014 Primary Teacher Case in West Bengal

পশ্চিমবঙ্গের ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলা (WBBPE Primary Teacher Case) চলছে হাইকোর্টে। সেই মামলা এখন এক নতুন মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি ছিল সেই মামলার শুনানি। বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা উঠেছে আদালতে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি উঠেছে।

৩২,০০০ শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের মামলাটি শুধু একটি মামলা নয় বরং এর সাথে জড়িয়ে ৮২টি ভিন্ন ভিন্ন আবেদন জড়িয়ে আছে। রাজ্যের চাকরি হারানো শিক্ষকদের পাশাপাশি এই মামলায় পক্ষ নিয়ে আছেন প্যারা-টিচার ও অন্যান্য সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীরাও। তবে মূল মামলাটি পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বনাম প্রিয়াঙ্কা নস্করের। চলতি মাসে ৭ই জুলাই ছিল এই মামলার শুনানি। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১৪ জুলাই, ২০২৫, দুপুর ২টোয়। অর্থাৎ আগামী ২ দিনের মধ্যেই এই মামলায় বড় আপডেট আসতে চলেছে। আর মামলাকারী আইনজীবীদের মতে, SSC এর নিয়োগ বাতিলের মতোই এই নিয়োগে ও চাকরি নিয়ে টানা টানি পড়তে চলেছে।

মামলার গত শুনানিতে কী হয়েছিল?

যদিও মামলার গত শুনানিতে, চাকরি হারানো প্রার্থীদের আইনজীবীরা তাঁদের পক্ষ থেকে বক্তব্য পেশ করেছেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন পক্ষের আইনজীবীরাও তাঁদের নিজেদের মতো করে নিজ নিজ যুক্তি তুলে ধরেছেন। ফলত মামলাটি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। প্যারা-শিক্ষকদের আইনজীবী, শ্রী জয়ন্ত মিত্র, এই মামলায় বলেছেন যে, ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুযায়ী তাদের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল না অ্যাপটিটিউড টেস্ট। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে, যেহেতু শূন্যপদের তুলনায় প্রার্থী সংখ্যা কম, তাই যদি অ্যাপটিটিউড টেস্টে কেউ শূন্য পায় তবে তাদেরও নিয়োগ পাওয়ার কথা।

আরও পড়ুন, সরকারি কর্মীদের স্যালারি একাউন্টে বাড়তি টাকা দিচ্ছে, সুখবর সুখবর।

যদিও এরপর Primary Teacher Case মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী শ্রী অশোক ব্যানার্জী। তিনি আবেদন খারিজ করার আর্জি জানান। পাশাপশি, NIOS D.El.Ed ডিগ্রিধারীদের পক্ষেও সওয়াল ওঠে। বলা হয়েছে যে, যে সকল প্রার্থীরা ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ হওয়া সকল প্রার্থীদের গণ্য করা হবে প্রশিক্ষিতদের তালিকায়। ২০২৩ সালে তাদের ‘অপ্রশিক্ষিত’ বলাটা অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।

SSC এর মতো Primary TET 2014 প্যানেল বাতিল হবে?

Primary TET 2014 মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন তাই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে হাইস্কুলের অর্থাৎ SSC মামলায় OMR শিট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু প্রাইমারী (Primary Teacher Case) এর ক্ষেত্রে মূলত এপ্টিটিউড টেস্ট ও পার্সোনাল ইন্টারভিউ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। তাই এই মামলায় রাজ্য সরকার বা পর্ষদ হারলেও হয়তো শিক্ষক শিক্ষিকাদের ইন্টারভিউ ও এপ্টিটিউড টেস্ট পুনরায় দিতে হতে পারে। সেই সাথে এর আগে যারা ভাইভা দিয়েছিলেন, তাদের ও ইন্টারভিউ নেওয়া হতে পারে।

তবে পুরো প্যানেল বাতিলের সম্ভাবনা কম দেখছেন শিক্ষকদের একাংশ। যদিও মামলা চলাকালীন এইরূপ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তাই আদালতের রায়ের উপর সম্পূর্ণ সম্মান ও আস্থা রেখে, এই বিবৃতি শুধুমাত্র কিছু শিক্ষকদের একান্তই ব্যাক্তিগত মত বা আশা বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন, বাড়ি বসে প্রতিদিন ১ ঘন্টা কাজ করে ১৫০০০ টাকা মাসে আয় করতে হলে দেখুন।

উপসংহার

শিক্ষক নিয়োগ মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য হয়েছে আগামী ১৪ই জুলাই, ২০২৫। যা বোঝা যাচ্ছে, এই শুনানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। খুব সম্ভবত ওই দিন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক এর ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে। আর সেই পথে দিশা পাওয়া যাবে। এখন দেখা যাক মামলার শুনানিতে কি হয়।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!