আগামী বছর জানুয়ারীতে কর্মহীন হবেন প্রায় ১০০০ শিক্ষক (West Bengal NFQS Teacher)। NSQF বৃত্তিমূলক শিক্ষক, শিক্ষিকারা দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী চাকরির দাবী জানিয়ে আসছে রাজ্য সরকারের কাছে। শিক্ষক দিবসে বাটি হাতে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে হাওড়ার চাঁদমারি গঙ্গার ঘাটে শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধে অভিনব তর্পণ। সবই করেছেন তাঁরা। চলছে প্রতিনিয়ত আন্দোলন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁদের সেই দাবিকে মান্যতা দেননি মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে চলতি বছরের এদিন আচমকাই কয়েকশো NSQF শিক্ষক, শিক্ষিকারা আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ীর সামনে উপস্থিত হন।
জানাতে থাকেন তাঁদের দাবি। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে নিরাপত্তারক্ষীদেরকে তাঁরা আবেদন জানিয়েছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা একবার বলতে চান তাঁদের অসহায় অবস্থার কথা। জানাতে চান, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বলেছিলেন এ রাজ্যে কেউ কর্মহীন অবস্থায় কেউ থাকবে না, সবার খাওয়ার জোগাড় হবে। সেখানে NSQF বৃত্তিমূলক শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন স্থায়ীত্বের দাবীতে এবং সরকারীকরণের দাবীতে, কিন্তু সরকার তাঁদের দাবিতে কর্নপাত করছে না। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে পারেননি তাঁরা। বলা হয়নি দাবী, দুর্দশার কথা।
শিক্ষকদের বক্তব্য, সারা কোলকাতা সহ রাজ্যের মানুষ যখন উৎসবে আনন্দে ব্যস্ত, তখন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রাম, গঞ্জ থেকে অনেকটা পথ পেরিয়ে এসে তাঁরা জমায়েত হয় কালিঘাটে। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের আবেদন জানাতে গিয়েছিলেন কিন্তু পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। অথচ তাঁরা শুধুমাত্র তাঁদের অসহায় অবস্থার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে গিয়েছিলেন। (West Bengal NFQS Teacher)
NSQF শিক্ষক পরিবার সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক শুভদীপ ভৌমিক জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকারী ও সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলিতে ২০১৩ সাল থেকে বৃত্তিমূলক শিক্ষা দিয়ে আসছি, মূলত আমাদের ৩৪০ টি স্কুলে নতুনভাবে আবার শিক্ষক নিয়োগ হবে, নতুন টেন্ডার প্রকাশিত হয়েছে, আবার এই সরকারী স্কুলগুলিকে বেসরকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আগে অনেকজন কর্মহারা হয়েছেন, আগামী জানুয়ারীতে কর্মহীন হবেন প্রায় ১০০০ শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ল্যাব কর্মীরা কর্মহীন হতে চলেছেন। (West Bengal NFQS Teacher)
আরো পড়ুন, ভাইফোঁটার পর স্কুল খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরী হলো, কারন কি?
তাঁর কথায়, অনেকবার দিদির কাছে এসেছি, দিদিকে আর্জি জানিয়েছি, দপ্তরকে জানিয়েছি। আমাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, তাঁর সুরাহা এখনও অবধি মেলেনি, পুরোনো শিক্ষকদের কাজে পুনর্বহালের দাবীতে এবং কোম্পানীর থেকে আমাদের মুক্ত করা। আজকে শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দেওয়ার জন্য গেছিলাম। করোনা পরিস্থিতিতে স্কুলের যাবতীয় কাজ আমাদের করতে হচ্ছে।একজন সহকারী শিক্ষক যে কাজ করেন,তাঁর থেকেও বেশী কাজ আমাদের করতে হয়, যেহেতু এখন বেশিরভাগ বা সবটাই ডিজিটাল করতে হয় স্কুলে, আমরাই একমাত্র টেকনিক্যাল শিক্ষক। সেগুলোও আমাদের করতে হচ্ছে স্কুলের কাজের পাশাপাশি,কিন্তু তা স্বত্বেও আমরা আজ কর্মহারা, অবহেলিত ও বঞ্চিত।