মহার্ঘ রান্নার গ্যাসের খরচ (LPG Cooking Gas Price) থেকে এবার স্বস্তি পেল পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবিত্ত মানুষ। এবার Green Hydrogen গ্যাসে রান্না হবে। যার জেরে রান্নার গ্যাসের খরচ কমে যাবে। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
West Bengal Government will use Green Hydrogen for cooking at cheap rate
বর্তমানে রান্নার গ্যাস বর্তমানে LPG রান্নার গ্যাস ব্যবহার করেন না এমন ঘর খুঁজলে খুব কম মিলবে। কিন্তু এই গ্যাসের দাম এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যাতে যারা সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ তাদের এর দাম যোগাতে গিয়েই হিমশিম খেতে হয়। তাদের জন্য সুখবর এবার। আর দিতে হবে না রান্নার গ্যাসের দাম। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এবার রান্নার গ্যাসের বিকল্প চালু হতে চলেছে শীঘ্রই। বাড়তি খরচ থেকে রেহাই পাবেন সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে ধন্য ধন্য করছে সকলে।
Green Hydrogen Plant
বাংলার ঘরে ঘরে পাইপলাইনের মাধ্যমে হাইড্রোজেন গ্যাস সরবরাহের (Green Hydrogen Production & Distribution) পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। পরিবেশ দূষণ কমানো ও পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যে (Green Hydrogen Plant) এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে রাজ্যের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে স্বচ্ছ জ্বালানি ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে উঠবে।
পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে রাজ্য সরকার গ্রিন হাইড্রোজেন সংক্রান্ত একটি নীতি গ্রহণ করেছিল। সেই নীতির আওতায় এবার রাজ্যের ঘরে ঘরে হাইড্রোজেন গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, এই প্রকল্প সফল হলে বাংলার পরিবেশবান্ধব শিল্প খাত আরও এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি, বিনিয়োগকারীদের জন্য একাধিক সুবিধাও থাকছে।
আরও পড়ুন, ব্যাংক একাউন্ট থাকলে এবার গৃহবধূদেরও টাকা দেবে। কিভাবে পাবেন, নিয়ম কানুন জেনে নিন
ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘উর্জা গঙ্গা’ প্রকল্পের অধীনে পাইপলাইনের মাধ্যমে রান্নার গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। দুর্গাপুরে প্রথম এই পরিষেবা শুরু হয় এবং বর্তমানে সোনারপুরে পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছে। বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি এই প্রকল্পের মূল দায়িত্বে রয়েছে। নতুন এই ব্যবস্থায় প্রতিটি বাড়িতে গ্যাসের মিটার বসানো হবে এবং ব্যবহার অনুযায়ী বিল পরিশোধের ব্যবস্থা থাকবে।
গ্রিন হাইড্রোজেন গ্যাস কিভাবে পাবেন?
এই পরিষেবা পেতে গ্রাহকদের প্রথমে ৭১১৮ টাকা জমা দিতে হবে, যার মধ্যে ৭০০০ টাকা ফেরতযোগ্য। এরপর ব্যবহৃত গ্যাসের পরিমাণ অনুযায়ী মাসিক বিল পরিশোধ করতে হবে। এটি সাধারণ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশবান্ধব বিকল্প হবে।
শিল্পমন্ত্রী আরও জানান, বিষ্ণুপুরের বয়নশিল্পের কারিগররাও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন, আধার কার্ড থাকলেই পাবেন 50,000 টাকা। নতুন উদ্যোগ সরকারের। টাকা পেতে হলে কী করতে হবে?
তাঁরা বয়নের বর্জ্য পদার্থ পুনর্ব্যবহার করে শৌখিন জিনিসপত্র তৈরি করছেন, যা রাজ্যের শিল্প উন্নয়নে নতুন দিশা দেখাবে। গ্রিন হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ কমবে, পাশাপাশি জ্বালানি খরচও নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এটি শুধু জ্বালানির ক্ষেত্রে নয়, বরং শিল্প ও অর্থনীতিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই প্রজেক্ট সবে শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই যে সকলের ঘরে ঘরে এই গ্যাস পৌছাবে, তেমন কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই পরিষেবা চালু হলে রান্নার গ্যাসের খরচ কমে যাবে, এবং পেট্রোলিয়াম পণ্যের প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের উপর নির্ভরশীলতা কমে যাবে।
Written by Nabadip Saha.