হাইকোর্টের নির্দেশে এবার ঘুম উড়লো স্কুল শিক্ষকদের (WBSSC). অভিযোগ ছিল অনেক শিক্ষক নাকি চাকরিতে ঢোকার সঠিক নিয়োগপত্র না দেখিয়ে চাকরি পেয়েছেন। তাই এবার সেই পুরো নিয়োগ প্যানেল (Teacher Recruitment Panel) ধরে সকল শিক্ষকের নিয়োগ পত্র যাচাই করবে উচ্চ আদালত। তারপর যাদেরকে এমন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে পাওয়া যাবে তাদের চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
WBSSC Teacher Recruitment Case Update.
এই ঘটনার জেরে চাকরি (WBSSC) হারাতে চলেছেন অনেক কর্মরত শিক্ষকরা, এমনটাই আশঙ্কা করছেন তারা মনে মনে। কাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তি? চূড়ান্ত রায়ে কি জানালো আদালত? দেখে নিন। গত দশ বছরে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court). কিছুর রায় ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে আদালত, আর কিছু এখনো বিচারাধীন।
এই রকমই একটি মামলা উঠে আসে গত মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাটি করেছিলেন সোমা রায়। সোমা ২০১৬ সালের আগের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) একজন চাকরিপ্রার্থী। তিনি থাকেন মুর্শিদাবাদের গোঠা এলাকায়। সেই এলাকার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিশ তিওয়ারির ছেলে অনিমেষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন তিনি।
অনিমেষ নাকি স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) নিয়োগের নথিপত্র না দেখিয়েই চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছেন এবং দিব্যি চাকরি করে চলেছেন এখনো। সোমার এই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত থেকে পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে দোষী বাবা ও ছেলেকে। এরপরই কেসটি নিয়ে জল ঘোলা শুরু হয় আদালতে। হাইকোর্ট সিআইডি (CID) দপ্তরকে নির্দেশ দেয় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।
২০১১ সাল থেকে শুরু করে ১৬ সাল পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) সমস্ত নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের নথি যাচাই করতে বলা হয় তাদের। সূত্রের খবর রাজ্যে বর্তমানে মোট ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাধ্যমিক শিক্ষক নিযুক্ত রয়েছে। তাদের সবার নিয়োগ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) সুপারিশ পত্র এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) নিয়োগ পত্র দেখিয়ে হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে নির্দেশ পেয়েছে সিআইডি।
কোথায় কোথায় আর এই রকম দুর্নীতি (WBSSC Scam) ঘটেছে, ভুয়ো নথি দেখিয়ে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন সেই সব তথ্য আদালতে জমা করতে হবে তাদেরকে। আর তারপরেই কার চাকরি থাকবে আর কার যাবে সেই বিচার নেবে আদালত। শুধু তাই নয়, স্কুল শিক্ষা দপ্তর কে আদালত জেলাভিত্তিকভাবে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষকদের একটি অনলাইন তথ্য ভান্ডারও তৈরি করতে বলেছে।
উল্লেখ্য, সোমার তরফ থেকে মামলাটি লড়ছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামীম। এই দিন আদালতে ফেরদৌস জানিয়েছেন, এই রকম ৬ টি তথ্য ভাণ্ডার বর্তমানে সিআইডি দিয়েছে। সোমার আইনজীবী হিসেবে সেই গুলিকে আদালতে তুলে ধরার জন্য বলা হয় ফিরদৌসকে। আর বাকি তথ্য ভান্ডার গুলিও যত শীঘ্র সম্ভব কোর্টে নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে। এর উপর ভিত্তি করেই আগামী দিনে মামলার (WBSSC) চূড়ান্ত রায় দেবে কোর্ট।
উচ্চ মাধ্যমিক পাশে স্টাফ সিলেকশন কমিশনের মাধ্যমে 5000 শূন্যপদে সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
আর এই শিক্ষক নিয়োগ (WBSSC) মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের ফলে রাজ্যের শিক্ষকেরা ফের চরম চিন্তার সম্মুখীন হয়েছেন। এর আগেও রাজ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকস্তরের শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment) নিয়ে অনেক বড় বড় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টের তরফে। কিন্তু এবারীই মামলা নিয়ে কি নির্দেশ দেওয়া হবে সেই দিকেই নজর সকলের।
Written by Nabadip Saha.
পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়। আদালতের নির্দেশে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।