উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (HS Exam) নিয়ে বিরাট আপডেট জারি সংসদের। সম্পূর্ণ বদলে দেওয়া হল প্রশ্নপত্রের ধাঁচ। ডেসক্রিপ্টিভ প্রশ্নের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হলো। যার ফলে এরপর থেকে মুখস্ত করে আর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা। এদিকে বাড়িয়ে দেওয়া হল অ্যানালিটিকাল প্রশ্ন। যেখানে তাদের বানিয়ে পুরো উত্তর লিখতে হবে পরীক্ষার খাতায় (West Bengal Council For Higher Secondary Education).
WBCHSE HS Exam Pattern Change.
সংসদ জানিয়েছে যে গতানুগতিক পদ্ধতিতে একই রকম ভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকে (HS Exam). বড় প্রশ্নের মধ্যে সমস্ত থাকে ডেস্ক্রিপটিভ প্রশ্ন। ছাত্র ছাত্রীরা বাড়ি থেকে সে সব প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করে এসে পরীক্ষার খাতায় লিখে দিয়ে চলে যায়। এতে তাদের নম্বর বাড়লেও জ্ঞান তৈরি হয় না। সে ক্ষেত্রে যদি প্রশ্নের প্যাটার্ন (HS Exam Pattern) বদলে দেওয়া যায় তাহলে নিজে ভাবনা চিন্তা করে উত্তর লিখবে পরীক্ষার্থীরা।
আর এর জন্য বই পত্র ভালোভাবে খুঁটিয়ে পড়তে হবে তাদের। যাতে জ্ঞান বাড়বে। পরে ভবিষ্যতে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতেও সুবিধা হবে। বহুদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গে নতুন শিক্ষানীতি (New Education Policy) আনার পরিকল্পনা করছিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর। দীর্ঘ আলোচনা এবং জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষ (HS Exam) থেকেই একে চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন শিক্ষানীতিতে।
HS Exam New Pattern Details For Students
১. এখন থেকে স্কুলেও চালু হতে চলেছে কলেজ ও ইউনিভার্সিটি গুলোর মত সেমিস্টার সিস্টেম।
২. নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল ছাত্র ছাত্রীদের এই সেমিস্টার নিয়মেই পড়াশোনা করতে হবে।
৩. সেমিস্টার সিস্টেমে এবার থেকে এক বছরে ২ ভাগে হতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (HS Exam).
৪. এই নিয়ম অনুযায়ী বছরে যে দুটি পরীক্ষা হবে সেই দুটি পরীক্ষায় ছাত্র ছাত্রীদের প্রাপ্ত নম্বরের গড় মানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হবে ফাইনাল পরীক্ষার মার্কশিট।
৫. প্রথম পরীক্ষাটি হবে নভেম্বর মাসে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষাটি হবে পরের বছরের মার্চ মাসে।
৬. ভবিষ্যতে সরকারি চাকরির পরীক্ষা (Government Job Exam) দেওয়ার সময় যাতে কোন অসুবিধায় না পড়তে হয় সেই জন্যে স্কুল পর্ব থেকেই ছাত্র ছাত্রীদের বিশেষভাবে প্রস্তুত করবে এবার সংসদ।
৭. এই জন্যে নতুন শিক্ষানীতিতে (Education Policy) বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৮. প্রথমেই বলা হয়েছে ক্লাস 9 থেকে 12 পর্যন্ত সিলেবাসে ভাষার ক্ষেত্রে বিশেষ জোর আনা হবে।
৯. নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের দেশীয় ভাষা সহ দুই থেকে তিনটি ভাষা অবশ্যই পড়তে হবে।
১০. এছাড়াও ছাত্র ছাত্রীদের মুখস্ত করার প্রবণতা কমিয়ে জ্ঞান বাড়ানোর জন্য প্রশ্নপত্রের (HS Exam) প্যাটার্নেও পরিবর্তন করা হচ্ছে।
১১. বছরে প্রথম যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাটি (WBCHSE HS Exam) হবে সেটি সম্পূর্ণ অবজেক্টিভ টাইপের প্রশ্নের উপর ভিত্তি করে করা হবে।
১২. পরীক্ষার মোট নম্বর এর ৫০ শতাংশ কভার করবে এই পেপারটি।
১৩. যেখানে সমস্ত প্রশ্নই মাল্টিপেল চয়েস, উৎসভিত্তিক এবং কেস স্টাডি মূলক হবে।
১৪. যা চাকরি পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে এখন থেকেই পরিচিত হতে সাহায্য করবে ছাত্র ছাত্রীদের।
১৫. দ্বিতীয় পেপারটিতে সব প্রশ্নই হবে বড় ধরনের।
১৬. তবে সংসদ জানিয়েছে গতানুগতির সংক্ষিপ্ত ও বর্ণনাত্মক প্রশ্নের সংখ্যা এই পেপারটিতে কমানো হবে।
১৭. পরিবর্তে বাড়ানো হবে এনালিটিক্যাল বা বিশ্লেষণাত্মক প্রশ্নের সংখ্যা।
১৮. যেখানে পুরো বই খুঁটিয়ে পড়লে তবেই উত্তর লিখতে পারবে ছাত্র ছাত্রীরা।
১৯. সংসদের মত, বেশির ভাগই বই পড়ে মুখস্ত করে এসে প্রশ্নের উত্তর লিখে দেয়।
২০. এতে নম্বর পাওয়া হয়, কিন্তু কিছু শিখতে পারেনা তারা।
২১. ফলে চাকরির পরীক্ষা দিতে গেলে বেশিরভাগই অসুবিধায় পড়ে।
২২. তাই এখন থেকেই যদি ছাত্র ছাত্রীদের বানিয়ে উত্তর লেখা অভ্যেস থাকে তাহলে বইয়ের প্রত্যেকটি পাতা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়বে তারা। ফলে আরো বেশি শিখবে, যা তাদের চাকরির পরীক্ষা দেওয়াকে (HS Exam) সহজ করবে।
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) তরফে এই HS Exam বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই ধরণের পরিবর্তন করা হয়েছে রাজ্যের সকল পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে। কিন্তু এবারে দেখার অপেক্ষা যে আগামীদিনে এই নিয়মে পরীক্ষা নেওয়া শুরু হলে পড়ুয়াদের কতটা সুবিধা হতে চলেছে। এই সম্পর্কে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
Written by Nabadip Saha.
ওয়েসিস স্কলারশিপের টাকা কবে একাউন্টে ঢুকবে? বড় আপডেট পাওয়া গেল।