মাধ্যমিক পরীক্ষায় নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ WBBSE চলতি বছর থেকেই চালু হবে, এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik Examination 2023) দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে পর্ষদ। পরীক্ষার্থীরা তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।
মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ও স্কুলের পরীক্ষায় এই নিয়ম প্রযোজ্য।
মাধ্যমিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে একাধিক নির্দেশ জারি করা হয়েছে পর্ষদের পক্ষ থেকে। সেখানে স্পষ্টভাবে সমস্ত স্কুল কর্তৃপক্ষকে পর্ষদের তরফে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্ষদের এই নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়েছে শিক্ষা মহল। এর ফলে নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীরা যথেষ্ট সুবিধা পেতে পারেন। এই বাড়তি সুবিধা কিরকম?
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (CWSN) যে সমস্ত পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলেছেন তাদের পরীক্ষার জন্য যে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা রয়েছে তার থেকে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। সাধারণ পরীক্ষার্থীরা যে সময় পাবেন তার থেকে কিছুটা অতিরিক্ত সময় পাবেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা।
শুধু তাই নয়, বোর্ড পরীক্ষায় এই পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র লেখার জন্য বিশেষ ধরনের স্কেচ পেন, ম্যাগনিফাইং গ্লাস ব্যবহার করার সুবিধা এবং ইন্টারপ্রেটর বা রাইটারের সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। তবে এবার থেকে শুধু মাধ্যমিক পরীক্ষায় নয়, সমস্ত স্কুলেই ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য নির্দেশ জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
এই বিষয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী সমিতির পক্ষ থেকে, স্বপন মণ্ডল বলেন, এটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। তবে এটা বাস্তবায়িত করা যথেষ্ট কঠিন। তার কারণ গত ১০ বছরের মধ্যে স্কুলগুলিতে শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে গেলে পরিকাঠামো তৈরি করার প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বোর্ড এই পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু প্রতিটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের বাড়তি সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন স্কুলগুলিতে সেগুলো নেই।
LPG গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে নতুন নিয়মে বেশ সমস্যায় গ্রাহকেরা। বিস্তারিত দেখুন।
পর্ষদের তরফে সরকারি এবং সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সমস্ত স্কুলেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়াদের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে অনেক আগেই এই নির্দেশ জারি করেছিল পর্ষদ। এবার সমস্ত স্কুলেও একই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
Written by Rajib Ghosh.