ছাত্রজীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক। এই মাধ্যমিকে অংক বিষয়ে একটু চেষ্টা করলেই পূর্ণমান পাওয়া সম্ভব, তবে এর জন্য মাধ্যমিক অংক প্রশ্নপত্রের কোন দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন, সেই বিষয়ে আলোচনা করা হল এই প্রতিবেদনে।
মাধ্যমিক অংকে ভালো করার উপায়ঃ
মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংক প্রশ্নপত্রে মোট ১৫ টি প্রশ্নের ক্রম থাকে। এর মধ্যে ১ এর দাগের প্রশ্নগুলোর মধ্যে, ৬টি সঠিক উত্তর নির্বাচনের সবগুলো লিখে আসতে হবে। কারণ এক নম্বরের উত্তর গুলোতে রাফ ওয়ার্ক না থাকলেও কেবলমাত্র সঠিক উত্তর থাকলেই পুরো ১ নম্বর পাওয়া যায়।
২ এর দাগে থাকে, শূন্যস্থান পূরণ। এখানে ৬টির মধ্যে যে কোনও ৫টি করতে বলা হয়। তবে এখানে সব ক’টি প্রশ্নের উত্তর করে দেওয়াই ভাল। কারণ এখানে উত্তরের প্রথম দিকে ভুল হলেও অতিরিক্ত সঠিক উত্তরের নম্বর গ্রহণ করে যোগ করা হয়।
৩ নম্বর দাগে থাকে, সত্য/মিথ্যা। এখানেও সব ক’টি প্রশ্নের উত্তর করে আসাই ভালো।
৪ নম্বর দাগে থাকে, বারোটি সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন। এখানে প্রতিটি দু’নম্বর করে প্রশ্নের মধ্যে দশটি করতে বলা থাকলেও বারোটিই করার চেষ্টা করতে হবে। এতে, একটি ভুল হলেও পরের সঠিক উত্তর গুলি ধরা হয়। তবে এই ক্ষেত্রে দুইয়ে দুই পেতে হলে প্রতি প্রশ্নের উত্তরের সাথে প্রয়োজনীয় রাফ ওয়ার্ক/চিত্র আবশ্যিক।
৫ নম্বর দাগে থাকে পাটিগণিত। এখানে ৫ নম্বরের পাটিগণিত থেকে দু’টি অঙ্কের মধ্যে একটি করতে হয়। সরল/চক্রবৃদ্ধি সুদ/সমহার বৃদ্ধি বা হ্রাসের অঙ্কে সঠিক সূত্র লেখার জন্য ১-২ নম্বর দেওয়া হয়। তাই অঙ্ক করতে সমস্যা হলেও সূত্র লিখে নেওয়া জরুরি।
ক্লিক করুনঃ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2023
৬ নম্বর দাগে, দু’টি ৩ নম্বরের দ্বিঘাত সমীকরণ থেকে প্রশ্নের মধ্যে একটি করতে বলা হয়। এখানে দ্বিঘাত এবং সমীকরণ আকারে প্রকাশ করার জন্য বা দু’টির একটির সমাধান বের করার জন্য আংশিক নম্বর থাকে।
৭ নম্বর দাগে থাকে একটি দ্বিঘাত করণী ও একটি ভেদের অঙ্ক। এখান থেকে মোট দু’টির মধ্যে একটি অঙ্ক করতে হয়। তবে মনে রাখা দরকার, এখানে অশূন্য ভেদ ধ্রুবক না লেখার জন্য ১ নম্বর কাটা যায়।
8 নম্বর দাগে, অনুপাত ও সমানুপাত থেকে দু’টি প্রশ্নের মধ্যে একটি করতে বলা হয়। এখানে অশূন্য সমানুপাত ধ্রুবক না লেখার জন্য এক নম্বর কাটা হয়ে থাকে।
৯ নম্বর দাগে থাকে জ্যামিতি। এই পর্যায়ে পাঁচ নম্বরের দুটি উপপাদ্যের মধ্যে একটি করতে বলা হয়। উপপাদ্য, উপপাদ্যের প্রয়োগ, উচ্চতা ও দূরত্বের অঙ্কে ভুল ছবি বা ছবিহীন উত্তরের জন্য (উত্তর সঠিক হলেও) পুরোপুরি শূন্য নম্বর দেওয়া হয়।
১০ নম্বর দাগেও থাকে উপপাদ্য। এখানে দুটি তিন নম্বরের উপপাদ্যের প্রয়োগে (একটি করতে হয়) নির্দিষ্ট নামকরণ দেওয়া থাকলে প্রদত্ত নাম দিয়েই ছবি ও প্রমাণ করতে হবে।
১১ নম্বর দাগে থাকে সম্পাদ্য। এখানে দুটি সম্পাদ্যের মধ্যে একটি ৫ নম্বরের সম্পাদ্য অঙ্কন করতে হয়। লম্বভ্রমের কারণে দৈর্ঘ্য ছোট বড়ো না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। জ্যামিতিক পদ্ধতিতে ৩৫ বর্গমূল নির্ণয় অঙ্কে ৫.৯ (প্রায়) লিখতে হবে। ৫.৯ সেমি. লিখলে ১ নম্বর কাটা যাবে।
১২ নম্বর দাগে ত্রিকোণমিতির অঙ্ক থাকে। এখানে ৩ নম্বরের তিনটি অঙ্কের মধ্যে দু’টি করতে হয়। আদর্শ কোণের ত্রিকোণমিতিক অনুপাতের সঠিক মান বসাতে পারলেই ১ নম্বর দেওয়া হয়।
১৩ নম্বর দাগে, উচ্চতা ও দূরত্বের পাঁচ নম্বরের দু’টির মধ্যে একটি করতে হবে। এখানে সঠিক চিত্র অবশ্যই আঁকতে হবে। উন্নতি কোণ ও অবনতি কোণ সঠিক ভাবে দেখাতে হবে। বিশেষত অবনতি কোণ না দেখানো/ভুল দেখানোর জন্য নম্বর কাটা যাবে।
১৪ নম্বর দাগে, ৪ নম্বরের তিনটি পরিমিতির অঙ্কের মধ্যে দু’টি অঙ্ক করতে হয়। উত্তরে সঠিক একক লেখা খুব দরকারী এখানে, সঠিক একক না থাকলে ১ নম্বর কাটা হয়।
১৫ নম্বর দাগে, রাশিবিজ্ঞানের গড়, মধ্যমা, ওজাইভ ও সংখ্যাগুরুমান থেকে চার নম্বরের তিনটি প্রশ্নের মধ্যে দু’টির উত্তর দিতে হয়। এখানেও গড়, মধ্যমা ও সংখ্যাগুরুমানের সঠিক সূত্র লেখার জন্য এক করে আংশিক নম্বর দেওয়া হয়। তবে, পরিসংখ্যা বিভাজনের শ্রেণির যদি একক থাকে তবে উত্তরেও একক লিখতে হয়, নাহলে নম্বর কাটা যাবে।
বাংলার ছেলে মেয়েদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নতুন স্কলারশিপ, আবেদন করলেই নগদ টাকা।
এই ভাবে প্রতিটি পার্ট খেয়াল করে অঙ্ক করলে খুব সহজেই পূর্ণমান পাওয়া সম্ভব অঙ্কে। প্রসঙ্গত, এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ফেব্রুয়ারি মাসে।
Written by Antara Banerjee.