পশ্চিমবঙ্গে SSC নিয়ে চাপানউতোরের মাঝেই Primary TET নিয়ে এক মামলায় সুখবর জানালো সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court Of India). ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০২০ সালে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু মোট শূন্য পদের বেশিরভাগটাই পূরণ করা হলেও ৩৯২৯ জনের নাম বাদ পড়ে যায় তালিকা থেকে। পরবর্তীকালে হাইকোর্ট বিচার দেয় যে এই সব প্রার্থীদের মেধার ভিত্তিতে পরবর্তীতে নিয়োগ করা হবে।
WBBPE Primary TET 3929 Vacancy Recruitment Update.
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীরা (Primary TET 2017) সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। তারই রায় দেওয়া হয়েছে বর্তমানে সর্বোচ্চ আদালতের তরফ থেকে। যাতে এই ৩৯২৯ জনের চাকরি দেওয়া নিয়ে সুখবর ঘোষণা করেছে আদালত। ২০১৬ র স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) এর পুরো নিয়োগ প্যানেল বাতিল হয়েছে গত ২২ এপ্রিল তারিখেই আর এরপর কমিশন কে সাময়িক স্বস্তি দিয়ে সেই রায়ের অন্তর্বর্তীকালীন স্টে দিয়েছে, সুপ্রীম কোর্ট। আর এবার প্রাথমিক টেট এর মামলা নিয়েও বড় আপডেট এলো।
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে চাকরি হারিয়ে পথে বসেছেন ২৫ হাজার ৭২৩ জন কর্মরত শিক্ষক শিক্ষিকা এবং গ্রুপ সি ও ডি কর্মী। তবে যারা যোগ্য ছিলেন তারা সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। ইতিমধ্যেই এক রায় মারফত সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে সেই সালের কেবল ৮০০০ জনের নিয়োগই অবৈধ। বাকিরা সব যোগ্যতার মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। এবারে Primary TET নিয়ে কি জানা যাচ্ছে দেখুন।
কিন্তু SSC নিয়ে গোলযোগ আরও বাড়ায় বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের সমস্ত অভিযুক্তদের চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তবে এরই মাঝে Primary TET নিয়ে সুখবর দেওয়ায় খুশি হয়েছেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী। ২০১৪ এর প্রাইমারি টেট পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করা হয় ২০১৬, ২০১৭, ২০২০ এবং ২০২২ সালে। ২০২০ সালের টেটে মোট ১৬৫০০ পদ পূরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board Of Primary Education).
তবে অভিযোগ ছিল যে সেই শূন্য পদ নাকি পুরোটা পূরণ করা হয়নি তখন। ৩৯২৯ জনের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল তালিকা থেকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা মামলা করেন উচ্চ আদালতে (Primary TET). হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয় যে এই সব প্রার্থীদের পরবর্তীকালে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে পর্ষদকে।
হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরোধিতা করেন 2017 সালের টেট পরীক্ষার্থীরা। তাদের বক্তব্য ছিল ২০২০ সালের নিয়োগ (Primary TET 2020 Recruitment) ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন প্রক্রিয়া শুরু করতেই হবে ওই প্রার্থীদের নিয়োগ করার জন্য। কিন্তু সেই নতুন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুধু ২০১৪ সালেরই নয়, বরং ২০১৭ সালের প্রার্থীদেরও নিয়োগ দিতে হবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এক শুনানি মারফত হাইকোর্ট বলে যে সেই শূন্য পদ গুলির যোগ্য অধিকারী একমাত্র ২০১৪ সালের প্রার্থীরাই। তাই ১৭ সালের প্রার্থীরা সেখানে নিয়োগ (Primary TET Recruitment) হওয়ার যোগ্য নয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীরা যান সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলার শুনানি ঘোষণা করেছে গতকাল বৃহস্পতিবার। বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং প্রশান্ত কুমার মিশ্র ডিভিশন বেঞ্চে স্থান পায় এই মামলাটি।
Primary TET 2014 প্যানেল ও বিপদে। এবার প্রাথমিক শিক্ষকদেরও চাকরি বাতিল?
তাদের তরফে জানানো হয় যে ভবিষ্যতে নতুন করে যখন টেটের বিজ্ঞপ্তি (New Primary TET Notification) বেরোবে সেই ৩৯২৯ জনের নাম যুক্ত করে দেওয়া হবে তার মধ্যে। সেখানে নতুন করে আবেদন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসতে পারবেন তারা। আর এখন কলকাতা হাইকোর্টেও এই নিয়ে মামলা চলছে এবং ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার ভবিষ্যৎ কি হবে সেই দিকে নজর সকলের।
Written by Nabadip Saha.
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য নতুন ছুটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নবান্নের!