স্মার্টফোন ছাড়া বর্তমানে জীবন অচল, এই কথা ঠিকই। কিন্তু এবারে School Teacher বা পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষকদের এই স্মার্টফোন ব্যবহার করা নিয়ে এক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের (WB Education Department) তরফে। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে মোবাইল যদি নেশা হয়ে দাঁড়ায় তা হতে পারে অত্যন্ত ক্ষতিকর। আজকাল বাড়ি, অফিস, পাড়ার চায়ের দোকান সবখানেই মানুষ মুখ গুঁজে রয়েছে স্মার্টফোনে।
WB Education Department New Guidelines On School Teacher.
শুধু তাই নয় স্কুলে ক্লাস চলাকালীন ছাত্র ছাত্রীরা ব্যবহার করছে স্মার্টফোন। School Teacher বিরত থাকছেন না এর থেকে। কিন্তু তা দেখেও কেউ কিছু বলছে না। এটা কি শিক্ষা ব্যবস্থা হতে পারে? যদিও পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দফতর গত বছর ডিসেম্বর মাসে এই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল। এখানে শিক্ষকদের একাধিক বিষয় সম্পর্কে সচেতন করা হয়। যেমন ক্লাসে মোবাইল ফোন না ব্যবহার করা।
স্কুলে সময়ের আগে এসে পৌঁছানো এবং আরো অনেক। কিন্তু পর্যবেক্ষণ কমিটির রিপোর্ট বলে রাজ্যে সর্বত্র সঠিকভাবে এখনো সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না। যার ফলে নষ্ট হচ্ছে স্কুলের পরিবেশ। ক্ষতি হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনায়। সে কারণেই আরো একবার শিক্ষকদের (School Teacher) কড়াভাবে সতর্ক করলো স্কুল শিক্ষা দপ্তর। এবার না মানলে হবে চরম বিপদ।
সম্প্রতি জলপাইগুড়ির একটি স্কুলে সারপ্রাইজ ভিজিট করেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আর সেখানে ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকদের ক্লাসরুমে এমন দুর্নীতির পরিবেশ দেখে অত্যন্ত হতাশ হন তিনি। এরপরে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কানে পৌঁছায় সেই কথা। তারপর থেকেই শিক্ষকদের (School Teacher) জন্য নতুন গাইডলাইন নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে শিক্ষা দপ্তর। এই দিকে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শেষ হয়ে গেছে।
স্কুলে খুব শীঘ্রই নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে। আর তার আগেই শিক্ষকদেরকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। নতুন শিক্ষাবর্ষে যারা ক্লাস নেবেন তাদের সকলকে এই গাইডলাইন মেনে চলতে হবে এই ব্যাপারে কড়া ভাবে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। গত ডিসেম্বর মাসে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার (Academic Calendar) তৈরি করার সময় স্কুল শিক্ষা দপ্তর শিক্ষকদের (School Teacher) কতক গুলি গাইডলাইন গিয়েছিল।
New Guidelines For School Teachers
১. স্কুলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে পৌঁছে যেতে হবে শিক্ষকদের। এতদিন স্কুল শুরু হতো এগারোটা থেকে। প্রত্যেককে উপস্থিত হতে হতো ১০:৫০ এর মধ্যে। কিন্তু সেই সময় আরো এগিয়ে এনে ১০:৪০ করা হয়।
২. স্কুল চলাকালীন ব্যবহার করা যাবে না মোবাইল ফোন বা কোন ইলেকট্রনিক গেজেট।
৩. প্রতিদিন School Teacher কটা ক্লাস নিচ্ছেন বা কতক্ষণ ক্লাস নিচ্ছেন সে বিষয়েও রিপোর্ট করতে হবে প্রধান শিক্ষকের কাছে।
৪. School Teacher রা নিজেদের ইচ্ছামত স্কুল থেকে ছুটি নিতে পারবেন না। প্রধান শিক্ষকের (Head Teacher) কাছে আগে তা জানাতে হবে। এছাড়াও আরো বেশ কিছু কর্তব্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় শিক্ষকদের জন্য। কিন্তু অনেক জায়গাতেই নিয়মের খেলাফি লক্ষ্য করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal) যার জন্য আবারও নির্দেশিকা।
স্কুল চত্বরে এখনো ছাত্র ছাত্রীরা মোবাইল ফোন নিয়ে আসছে। এমনকি ক্লাস রুমের ভেতর বসে মোবাইল ঘাঁটছে। এদিকে শিক্ষক রাও পড়ানো কালীন মোবাইল ফোন বের করে দেখছেন। এতে ছাত্র ছাত্রীদের মন অন্যদিকে চলে যাচ্ছে বলে মনে করেছে শিক্ষা দপ্তর। যাতে ক্ষতি হচ্ছে তাদের পড়াশোনায়। বস্তুত স্কুলে শিক্ষণের উপাদান হিসেবে মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক গেজেট অবশ্যই ব্যবহার করা যেতে পারে ক্লাসরুমে।
তবে এই জন্য আগে School Teacher দের কে Teaching Aids ব্যবহার করার অনুমতি নিতে হবে উপর মহলের কাছ থেকে। তবেই ক্লাসরুমে তার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। আর এই কারণের জন্য শিক্ষকদের এই সকল তথ্য সম্পর্কে জেনে নিয়ে এবং সকল নিয়ম পালন করে চলা উচিত বলেই মনে করছেন অনেকে। আর এই সম্পর্কে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
Written by Nabadip Saha.
পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া DA মামলা নিয়ে বড় আপডেট। রাজ্য সরকারি কর্মীরা অবশ্যই জানুন।