Primary Teacher Salary – প্রাথমিক শিক্ষক পদে বেতন কত, TET নিয়ে কেন এত চাহিদা, যোগ্যতা ও সহজে চাকরি পাওয়ার উপায়।

পশ্চিমবঙ্গে আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হচ্ছে Primary TET Exam এর আবেদন প্রক্রিয়া। তার আগে জেনে নিন Primary Teacher Salary বা প্রাথমিক শিক্ষক পদের বেতন কত, যোগ্যতা কি লাগে, কেন এই চাকরি করার জন্য এত উৎসাহ? শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগ নিয়েই কেন এত মামলা?

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে যে, অবশেষে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবার প্রাথমিকে টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে রাজ্যে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১১ ডিসেম্বর পরীক্ষা হবে টেটের। অর্থাৎ,দুর্গাপূজা মিটলেই অনলাইনে টেটের ফর্ম ফিলাপ ও শুরু হয়ে যাবে।

Primary Teacher Salary

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যারা পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাবেন, তারা ঠিক কত বেতন পাবেন?
পশ্চিমবঙ্গে ষষ্ঠ বেতন কমিশন শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে সরকারি বা অর্ধ সরকারি, যেকোনও চাকরির ক্ষেত্রেই মাসিক মাইনে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এই বছর পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক পদে যে বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছে, সেখান থেকে যারা চাকরি পাবেন সেই ব্যক্তিদের শুরুর মাইনের বেসিক পে হবে ২৮,৯০০/- টাকা।

এর সাথে, সরকারি চাকরির সুবিধা বাবদ বিভিন্ন ভাতাও (Primary Teacher Salary) থাকবে। যেমন, হাউস রেন্ট বা বাড়ি ভাড়া বাবদ বেসিক পে’র উপর প্রতি মাসে আরও ১২% করে অর্থ পাবেন। সাথে আছে চিকিৎসা ভাতা।
শুধু তাই নয়, রাজ্যের অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মতো শিক্ষকদেরকেও দেওয়া ৩% শতাংশ হারে ডিএ (DA) বা Dearness Allowance দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে চাকরি জয়েন করেই তারা প্রতি মাসে বেতন (Primary Teacher Salary) পাবেন ৩৩,০০০/- টাকা।

মূলত বলা যেতে পারে রাজ্যে প্রাইমারি শিক্ষকদের বেতন (Primary Teacher Salary) শুরুতেই এত বেশি হওয়ার কারনে অনেকেই শিক্ষক বা স্কুল মাস্টার হবার স্বপ্ন দেখেন।
সেই কারনেই পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি SSC এর চরম দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, শুধু সাদা খাতা জমা দিয়েও অনেকে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন। এই দুর্নীতি নিয়ে বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে কেসও চলছে। ফলাফলের দিকে অধীর আগ্রহে চেয়ে রয়েছেন টেট পাশ (Primary TET) করা হবু শিক্ষকরা।

এবার প্রশ্ন হচ্ছে, শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগ নিয়েই কেন এত বিতর্ক?
কারন এই নিয়োগে প্রচুর শূন্যপদে এক সাথে নিয়োগ হয়। এবং আবেদনকারী ও কয়েক লক্ষ হয়। এছাড়া আমাদের সমাজে শিক্ষককতা পেশাকেই সম্মানীয় পেশা হিসাবে ধরা হয়। এছাড়া স্কুল কলেজে অন্য চাকরীর চেয়ে ছুটি বেশি থাকে, কাজের সময় কম। গরমকাল, পুজা ও শীতের সময় একটানা ছুটি থাকে। এসব কারনেই এই চাকরিতে চাহিদা অনেক বেশি।

অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এই মামলার নিষ্পত্তি শেষে যদি রাজ্যকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ আসে, তাহলে বলা যায়, প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি জীবনের প্রারম্ভিক বেতন (Primary Teacher Salary) আরও অনেকটাই বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। কারণ, সেক্ষেত্রে ৩% ডিএ বেড়ে যাবে অনেকটাই।

অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি কাড়তে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী, আদালতের নির্দেশ

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কমিশন থেকে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে সেখানে বাংলা সহ আরও বেশ কয়েকটি ভাষায় শিক্ষক নিয়োগের করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলা, হিন্দি, নেপালি, উর্দু, সাঁওতালি, তেলেগু ও ওড়িয়া ভাষায় শিক্ষক নিয়োগ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রসঙ্গত এই চাকরিতে এবার শিক্ষক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামুলক, এবং একাডেমিক স্কোর ভালো থাকলে, টেট পাশ করে দক্ষতার সাথে ইন্টারভিউ দিলে সহজেই এই চাকরী পাওয়া সম্ভব, সেই প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী

মাত্র 15,000 টাকায় নতুন ল্যাপটপ, পুজোর অফারে পাবেন 10,000 টাকায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এইসব ভাষাগুলি প্রথম ভাষা হিসেবে যারা স্কুলে পড়াশোনা করেছেন একমাত্র তারাই এবছর প্রাথমিক শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারবেন। সেই সঙ্গে পর্ষদ আরোও জানিয়েছে, আবেদনকারীদের প্রত্যেকেরই দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজি হতে হবে।
Written By Antara Banerjee.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment