উচ্চমাধ্যমিক যোগ্যতায় চাকরী করেও মাধ্যমিক যোগ্যতার বেতন পাচ্ছিলেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকেরা (WB Primary Teacher), এই দাবীতে দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর ২৩০০ ও ২৬০০ গ্রেডপে থেকে যথাক্রমে ২৯০০ ও ৩৬০০ টাকা গ্রেড পে তে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন রাজ্যের ১ লক্ষ ৮৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। কিন্তু হিসাব করে দেখা যায় ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত যোগদান করা সমস্ত শিক্ষকের বেতন এক হয়ে গেছে, এছাড়াও সিনিয়র জুনিয়রের বেতন ও এক হয়ে গেছে অনেকের ক্ষেত্রে, সেক্ষেত্রে প্রতি বছর একটু একটু করে বাড়তে থাকা ইঙ্ক্রিমেন্ট কার্যত নীল হয়ে গেছে।
দীর্ঘ ২৯ দিনের অনশনের পর কার্যত প্রাথমিক শিক্ষকদের (WB Primary Teacher) দাবী মেনে নেয় সরকার। কিন্তু সিনিয়র জুনিয়রের এই বেতন ঠিক করতে নোশনাল ইফেক্ট দাবী তোলা হয়, এবং সেক্ষেত্রেও ততকালীন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ বাবু আশ্বাস দিয়েছিলেন নোশনাল ইফেক্ট ও ফিটমেন্ট ফ্যক্টর দিয়ে পে প্রটেকশন দেওয়ার ব্যাপারটি দেখা হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর কার্যত সেই দাবীও হিমঘরে চলে গিয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্যের বহু স্কুলে প্রধান শিক্ষকপদ শূন্য। কয়েকবার প্রাথমিক লিস্ট প্রকাশিত হলেও প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ নেই। এমনিতেই প্রধান শিক্ষকদের যাবতীয় সমস্ত হিসাব ও অন্যন্ন কাজ করতে হয়। আর তার সাথে তো ক্লাস করা আছেই। এমনকি ২০১৭ সালের নব নিযুক্ত বহু শিক্ষক ও আছেন যারা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাজ সামলাচ্ছেন। (WB Primary Teacher)
শিক্ষকদের দাবী স্কুল খুলছে এই মাসেই, তাই নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই প্রত্যেক স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে, এবং প্রাথমিক শিক্ষকদের পে প্রটেকশন দিয়ে বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক ট্রেন্ড টিচার্স এসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের পিআরটি স্কেল চালু করার জন্য ইতিমধ্যেই মামলা চলছে হাইকোর্টে। স্কুল চালু হলেই পিআরটি স্কেল চালু ও প্রত্যেক স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করার দাবী নিয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হবো। আমাদের আন্দোলন রাস্তা ও আদালত দুই পথেই চলবে। (WB Primary Teacher)