DA Case Update – রাজ্য সরকারী কর্মীদের ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত আদালত নয়, বিধানসভা নেয়, ডিএ মামলা সমাপ্ত, Breaking News.

DA Case Update – ডিএ মামলা শেষ হলো।

গত ২০১৬ সাল থেকে রাজ্য সরকারী কর্মীদের জাতীয় মুল্য সুচক হারে মহার্ঘভাতা না পাওয়ার অভিযোগে মামলা চলছে (DA Case Update). দীর্ঘদিন মামলা চলার পর আদালত রায় দেয় ডিএ কর্মীদের অধিকার। আর তা কেন্দ্রীয় মূল্যসূচক হারে অর্থাৎ দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির হারেই দিতে হবে।

এরপরও সময় অতিবাহিত হলেও ডিএ দেয়না রাজ্য, উপরোন্ত ডিএ দেওয়া একদম বন্ধ করে দিয়ে পে কমিশন চালু করে। এরপর আদালত অবমাননার মামলা হয়। রাজ্য ও পাল্টা রিভিউ এর আবেদন করে। এরপর তারিখ পে তারিখ (DA Case Update).

অবশেষে গত মাসে সরকারী করমচারী পরিষদ এই মামলায় যুক্ত হয়। গত ২৮ তারিখে রাজ্য জানায় রাজ্যের আরথিক অবস্থা ভালো নয়, এই মুহূর্তে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর শুনানিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ জানান, ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। এটা নিয়ে কোনও দ্বিমত থাকতে পারেনা।  DA Case Update

এবং সেইসাথে আদালত রাজ্যের কাছে প্রশ্ন করে, ‘২০১০ পর্যন্ত বছরে দু’বার ডিএ দেওয়া হত, বন্ধ হল কেন? দ্রব্যমূল্যর হিসাবে কর্মীদের অবশ্যই ডিএ দেওয়া উচিত।’ আর এর পরই, রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ডিএ দেওয়ার বিষয়টি বিধানসভা সিধান্ত নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কোর্টের হস্তক্ষেপ করা কার্যত ঠিক নয়। যেহেতু বিষয়টি বিধানসভা সিধান্ত নিয়ে থাকে, তাই বিচার ব্যবস্থা এটাতে হস্তক্ষেপ করতে পারেনা।  DA Case Update

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, “এটা রাজ্যের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়৷ রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও বিচার করার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য সরকার কর্মচারীদের মূল বেতনের সঙ্গে সামর্থ মতো মহার্ঘ ভাতা দিচ্ছে।’’ DA Case Update

তখন বিচারপতি বলেন, ‘‘সেটা রাজ্য কেন করছে? মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে মহার্ঘভাতা ঠিক হওয়া উচিত।’’ এর প্রত্যুত্তরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, “এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রের হারেই বছরে দু’বার ডিএ দিতে হবে আইনে কোথাও একথা বলা নেই।’’ DA Case Update

এরপর সরকারী কর্মীদের পক্ষের আইনজীবী প্রবীর চ্যাটার্জী বলেন স্যাট এবং আদালত একই রায় দিয়েছেন এই মামলায়, সুতরাং ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বঞ্চনার স্বীকার রাজ্য সরকারী কর্মীরা, খুব দ্রুততার সাথে এই মামলার নিস্পত্তি হোক। এর পর শুনানী সমাপ্ত হয়। আশা করা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহে মামলার রায়দান হবে। DA Case Update

Fixed Deposit না Recurring কোনটিতে বেশি সুদ?

এই প্রসঙ্গে সরকারী কর্মচারী পরিষদের সুবীর সাহা বলেন, ২০১৬ সাল থেকে এই মামলা চলছে। প্রথম থেকেই মামলায় সরকারী কর্মচারী পরিষদ থাকলেও মামলায় আলাদাভাবে লড়তে হয়েছে, চলতিমাসেই মূল মামলায় আমাদের অন্তর্ভুক্ত করার পরই দ্রুততার সাথে মামলা নিস্পত্তি হলো। আমরা আশাবাদী এই মামলার রায় আমাদের পক্ষেই যাবে। DA Case Update

এই মুহুর্তে ডিএ মামলা সমাপ্তি হলেও আগামী সপ্তাহে রায়দান হবে। তবে আদালত আবার কর্মীদের পক্ষে রায় দিলেও আদৌ ডিএ মিলবে কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ থাকছে রাজ্য সরকারী কর্মীদের একাংশের।

সব কোম্পানীর রিচার্জ প্ল্যান বদলে গেল, নতুন প্ল্যানের লিস্ট দেখুন

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ও অন্যান্য রাজ্য সরকারী কর্মীরা অনেকাংশেই এগিয়ে। অনেক রাজ্যই ৭ম পে কমিশন অনুজায়ী বেতন পাচ্ছেন, আর পশ্চিমবঙ্গে ৬ষ্ঠ পে কমিশন রয়েছে, আর তার সাথে ৩১% ডিএ কম পাচ্ছেন বলে আক্ষেপ কর্মীদের।

এবার বাড়িতেই পৌঁছে যাবে পোষ্ট অফিস, দেখুন কি কি পরিষেবা পাবেন

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment