কাবুল বিমানবন্দরে ইউক্রেনের উদ্ধারকারী বিমান হাইজ্যাকের নেপথ্য কি তালিবান যোগ? প্রশ্ন উঠছে।গতকালই ফের আগ্রাসী মেজাজে তালিবানেরা।সংবাদ মাধ্যমকে বিবৃতি দিয়ে জানায় আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যেই দেশ ছেড়ে সমস্ত মার্কিন সেনাকে চলে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তাদের তরফে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তালিহান মুখপাত্র। এমতাবস্থায় এবারকাবুল বিমানবন্দরে অপহৃত হয়ে গেল ইউক্রেনের উদ্ধারকারী বিমান। ইউক্রেন সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, এর পেছনে তালিবানি যোগ রয়েছে। যদিও তালিবানি প্রতিক্রিয়া এখন পাওয়া যায়নি।সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আফগানিস্তান থেকে বিমানটি ইউক্রেনের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছিল। রবিবার সেটিকে কিছু অস্ত্রধারী অপহরণ করে ইরানে নিয়ে যায়। এমনটাই দাবি করেছেন ইউক্রেনের উপ বিদেশমন্ত্রী ইভগেনি ইয়েনিন। অন্যদিকে ইউক্রেনের মন্ত্রী রুশ সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, রবিবার কিছু লোক ওই বিমানটি অপহরণ করে। অপহরণকারীদের হাতে অস্ত্র রয়েছে। ইউক্রেনের পরিবর্তী সেটিকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইরানে। কাবুলে থাকা ইউক্রেনের নাগরিকদের আমরা দেশে ফেরাতে পারছি না। কারণ তারা কাবুল বিমান বন্দরে ঢুকতেই পারছেন না। এদিকে, ইরান বলছে তাদের দেশে ওই ধরনের কোনও বিমান নিয়ে যাওয়া হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, বিমানটিকে রবিবার থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মঙ্গলবার কেন সেটির কথা প্রকাশ্য আনল ইউক্রেন! মোট তিন দফায় ইউক্রেনের নাগরিকদের দেশে ফেরানোর কথা। তার মধ্যে একটি বিমান ইউক্রেনে ফিরেছে। এটি ছিল দ্বিতীয় বিমান। খবর আসছে যাদের ওই বিমানে ওঠার কথা ছিল তাদের বিমানে তোলা হয়নি। কিছু অপরিচিত লোকজন ওই বিমানে উঠে পড়ে। এখন তাই যদি হয় তাহলে তা সেদিনই কেন জানানো হল না। কাবুল নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ন্যাটো বাহিনী। তারাও এখনও পর্যন্ত কোনও বিমান অপহরণের কথা বলা হয়নি। ফলে অপহরণ নিয়ে একটা ধন্দ থেকেই যাচ্ছে। পাশাপাশি কাবুলে বিদেশি নাগরিকদের ঘরে ফেরা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।