সাধারণ মানুষের হেলথ স্কীমের জন্য করা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi Card) নিয়ে কোনও সমস্যা হলে, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে স্বাস্থ্য দফতর কিংবা স্বাস্থ্য কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কিন্তু কোনও ভাবেই রোগীকে ফেরানো চলবে না। এমনকি, ভর্তির পরেও যদি কোনও রোগীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে আসেন, সেটি নিতে হবে হাসপাতালকে। প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালকে এমনই পরামর্শ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন।
সংবাদসূত্রে জানা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi Card) নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। স্বাস্থ্য দফতরের তরফেও বিভিন্ন অ্যাডভাইজ়ারি জারি করা হয়েছে। উক্ত কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমবাবু জানান, বৈঠকে তাঁরা জানতে পারেন শহরের তিন চারটি বেসরকারি হাসপাতালে সে রকম ভাবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু হয়নি। ওই সমস্ত হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলেছে কমিশন। হাসপাতালগুলিও দ্রুত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কে কত ভাল পরিষেবা দিতে পারেন, তা নিয়ে সুস্থ প্রতিযোগিতা চলতেই পারে। আসল লক্ষ্য হল এই প্রকল্পে মানুষ যাতে ভাল ভাবে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারেন।
এদিকে কমিশনের পর্যবেক্ষণ, ভর্তির সময় হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi Card) নিতে চায়নি বলে বহু ক্ষেত্রেই রোগীর পরিজনেরা অভিযোগ করছেন। আবার হাসপাতালগুলির দাবি, তারা জানত না রোগীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে। এই বিষয়ে কমিশন জানিয়েছে, সঙ্কটজনক রোগী ভর্তির সময় কার্ডটি জমা নাই করতে পারেন। কিন্তু যে মুহূর্তে তিনি সেটি জমা দেবেন, তখনই সেটি গ্রহণ করতে হবে।
প্রসব ও ছানি অস্ত্রোপচার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় নেই। কিন্তু অন্য স্ত্রী রোগ কিংবা চোখের সমস্যার চিকিৎসাতে যাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা সকলে পান, সে দিকেও জোর দিতে বলেছে কমিশন। তাদের আরও পর্যবেক্ষণ, অনেক সময় আঙুলের ছাপ না মেলার কথা বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে পরিষেবা বন্ধ না রেখে বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতর কিংবা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে অন্য ভাবে কার্ডের বৈধতা খতিয়ে দেখতে হবে।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগী প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে গত দেড় মাসে ১০টি অভিযোগ পেয়েছে কমিশন। তার মধ্যে সাতটিকে বেছে নিয়ে আগামী ৩ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছে কমিশন। আরও পড়ুন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা কবে?