রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জরুরি ঘোষণা। এক নির্দেশিকা জারি করে আগামীকাল রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলি বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। আরো জানানো হয়েছে যে সরকারি অফিস গুলিও এই দিন সম্পূর্ণ ছুটি থাকবে। কি কারণ? বিস্তারিত জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে।
ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যা পরিস্থিতিতে ছুটি ঘোষণা
গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মণিপুর রাজ্যটি বন্যার কবলে পড়েছে। বিশেষ করে ইম্ফল পশ্চিম ও ইম্ফল পূর্ব জেলার বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুটি প্রধান নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে এই পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। ইম্ফল নদীর বাঁধ সিংজামেই ওইনাম থিংগেল এবং কোংবা ইরং এলাকায় ভেঙে পড়েছে, আর ইম্ফল পূর্বের কেইরাও এলাকার কিছু অংশে কংবা নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। এছাড়াও, ইরিল নদী ইম্ফল পূর্বের সাওমবাং এবং খেতেগাওয়ের কিছু অংশে উপচে পড়েছে।
সরকারি নির্দেশিকা
রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মণিপুরের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল বন্ধ থাকবে। সরকারি অফিসগুলোও বুধবার বন্ধ থাকবে। সমস্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সর্বশেষ আপডেটের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্টেট ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলেই ঘরে বসে পেয়ে যান ২০০০০ টাকা।
প্রশাসনিক তৎপরতা
এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, “নদীর বিপুল পরিমাণ জল আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করেছে, এবং ভারত-মিয়ানমার সড়কের তিন কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা বন্যার জলে তলিয়ে গেছে। এই অবস্থায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে।” দুর্গতদের খোঁজে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গের কৃষক বন্ধুদের কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার টাকা দিচ্ছে সরকার। কিভাবে আবেদন করবেন?
উদ্ধার তৎপরতা
মঙ্গলবার বিকেলে সেনাপতি নদীতে পড়ে যাওয়া ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের দেহ স্থানীয়দের সহায়তায় ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটির একটি দল উদ্ধার করেছে। গত কয়েকদিন ধরে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলেছে।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তটি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে যেন তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেন এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকেন।