একের পর এক ব্যাংকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। RBI বা রিজার্ভ ব্যাংক সমস্ত ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ করেছে। বহু ব্যাংকের উপর কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে RBI আর যখনই কোনো ব্যাংকের ওপর RBI এর তরফে লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়, তখনই সমস্যায় পড়ে যান ব্যাংকের গ্রাহকেরা। গ্রাহকদের মনে আশঙ্কা তৈরি হয়ে যায়, ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে তাদের যে গচ্ছিত টাকা রয়েছে তার কি হবে?
কষ্টের টাকা সঞ্চয় করেন সাধারণত ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে (Bank or Post Office). অধিকাংশ মানুষেরই যেকোনো ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যেখানে তিনি মাসের শেষে বা সপ্তাহের শেষে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সঞ্চয় করে রাখেন। যাতে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যায় পড়লে তিনি তা সামাল দিতে পারেন। আর হঠাৎ যদি সেই ব্যাংকের উপরে আর বি আই এরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাহলে সেই গ্রাহকের পরিস্থিতি কি হতে পারে সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।
RBI Rules:
তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার যে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেই ব্যাংক যদি কোনো কারণে ডুবেও যায় তাহলে আপনি ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফেরত পেতে পারেন। নিয়ম অনুযায়ী একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫ লক্ষ টাকা বা তার বেশিও যদি কোনো গ্রাহক জমা রাখেন, ব্যাংকের উপর এরকম নিষেধাজ্ঞা জারি হলে তিনি ৫ লক্ষ টাকা অবধি পাবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, যার ৫ লাখ টাকার বেশি রয়েছে, তাদের বাকি টাকা টা জলে যাবে, অর্থাৎ যারা পেনশন ভোগী কিম্বা অবসরপ্রাপ্ত, তাদের প্রচুর টাকা সঞ্চয় করা থাকে কিম্বা যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা কারেন্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে ব্যবসার লেনদেন করেন তাদের বিষয়টি খুবই চিন্তার।
যদিও দেশের কোনো ব্যাংককে সরকার ডুবতে দেয় না। তাই যে সমস্ত ব্যাংকগুলি একেবারে লোকসানে চলছে, তাদেরকে বড় কোনো ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ করা হচ্ছে। এর পরেও যদি কোনো ব্যাংকের পরিস্থিতি খারাপ হয় বা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে DICGC সেই ব্যাংকের সমস্ত অ্যাকাউন্টধারীদের টাকা দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ থাকে। DICGC Bank থেকে এই গ্যারান্টি দেওয়ার বিনিময়ে প্রিমিয়াম নেয়।
শিল্প সাথী প্রকল্পে ব্যবসা করতে টাকা দিচ্ছে সরকার, নিজের পায়ে নিজে দাড়ান। টাকা কিভাবে পাবেন?
Deposit Insurance and Credit Guarantee Corporation (DICGC) অ্যাক্টের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যাংকে ৫ লক্ষ টাকা জমার পরিমাণ নিশ্চিত করা হয়। আগে এই পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ টাকা। কিন্তু ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার আইনের পরিবর্তন করে পরিমাণ বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করেছে। যদি আপনার ব্যাংক ডুবে যায়, তবুও আপনি অ্যাকাউন্টে জমা থাকার পরিমাণ ৫ লক্ষ টাকার বেশি হলেও ৫ লক্ষ টাকা অবধি ফেরত পাবেন।
গত ১৫ মাসের মধ্যে দেশের ৩৫টি ব্যাংকের ৩ লক্ষ গ্রাহকের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার এই আইনের আওতায় জনগণকে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে।
RBI বা রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়মে বলা আছে, ব্যাংক ডুবে গেলে AID-তে যোগ দেওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে সমস্ত গ্রাহকের আমানত এবং লোনের তথ্য জানিয়ে দিতে হবে। RBI এর নির্দেশে তারপরে DICGC ৯০ দিনের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবে।
নতুন বছরে পশ্চিমবঙ্গের 2 লাখ যুবক যুবতীদের বিনামূল্যে বাইক দিচ্ছে সরকার।
২০২২ সালের নতুন আপডেট অনুযায়ী DICGC জানাচ্ছে, RBI মনোনীত দেশের মোট ২০৩৫ টি ব্যাংকের বীমা আছে। আপনার যে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে, সেটা বীমা করা আছে কিনা যদি জানতে চান তাহলে আপনি এই ওয়েবসাইট https://www.dicgc.org.in/FD_ListofInsuredBanks.html এতে গিয়ে খোঁজ পেয়ে যাবেন।
Written by Rajib Ghosh.
পোস্ট অফিসে কিষান বিকাশ পত্র প্রকল্পে এই নিয়মে টাকা রাখলেই রকেটের গতিতে ডবল হবে।