রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫: পবিত্র রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ

রমজান মাস মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে বছরের সবচেয়ে পবিত্র মাস। ইসলামিক বিশ্বাস অনুযায়ী, Ramadan মাসেই পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়েছিল, যা মুসলিমদের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে। তাই রমজান মাসে সিয়াম সাধনা, ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মূল লক্ষ্য হয়ে ওঠে। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস রেখে রোজা পালন করা হয়, যা আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য এবং সংযমের প্রতীক।

রমজান মাসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব

রমজান মাসের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো রোজা রাখা। এটি শুধু উপবাস নয়, বরং আত্মসংযম ও আত্মশুদ্ধির এক বিশেষ পথ। সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে রোজা শুরু হয় এবং সূর্যাস্তের পর ইফতারের মাধ্যমে তা ভঙ্গ করা হয়। রমজানের রোজা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ফরজ, তবে অসুস্থ, গর্ভবতী, বৃদ্ধ বা যাঁরা ভ্রমণে থাকেন, তাঁদের জন্য বিশেষ ছাড় রয়েছে।

রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা শুধু খাবার বা পানীয় থেকে বিরত থাকেন না, বরং সব ধরনের খারাপ কাজ, অসৎ চিন্তা ও মিথ্যা কথা বলা থেকেও বিরত থাকার চেষ্টা করেন। নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, দান-সদকা ও নফল ইবাদতের মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের আত্মাকে আরও পরিশুদ্ধ করার প্রয়াস চালান।

পশ্চিমবঙ্গে পবিত্র রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি

২০২৫ সালে চাঁদের অবস্থান অনুযায়ী, ধারণা করা হচ্ছে, ভারতে ২ মার্চ থেকে রমজান শুরু হবে এবং ৩০ দিন পর ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হতে পারে। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারিত হবে।
পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী মুসলিমদের জন্য সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি দেওয়া হলো:

২ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:৪২, ইফতার – বিকেল ৫:৪২
৩ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:৪১, ইফতার – বিকেল ৫:৪২
৪ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:৪০, ইফতার – বিকেল ৫:৪২
৫ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:৩৯, ইফতার – বিকেল ৫:৪৩
৬ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:৩৮, ইফতার – বিকেল ৫:৪৩

৭ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:৩৭, ইফতার – বিকেল ৫:৪৪
৮ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:৩৬, ইফতার – বিকেল ৫:৪৪
৯ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:৩৬, ইফতার – বিকেল ৫:৪৪
১০ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:৩৫, ইফতার – বিকেল ৫:৪৫
১১ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:৩৪, ইফতার – বিকেল ৫:৪৫

১২ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:৩৩, ইফতার – বিকেল ৫:৪৬
১৩ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:৩২, ইফতার – বিকেল ৫:৪৬
১৪ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:৩১, ইফতার – বিকেল ৫:৪৬
১৫ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:৩০, ইফতার – বিকেল ৫:৪৭
১৬ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:২৯, ইফতার – বিকেল ৫:৪৭
১৭ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:২৮, ইফতার – বিকেল ৫:৪৮
১৮ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:২৭, ইফতার – বিকেল ৫:৪৮

১৯ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:২৬, ইফতার – বিকেল ৫:৪৮
২০ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:২৫, ইফতার – বিকেল ৫:৪৯
২১ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:২৪, ইফতার – বিকেল ৫:৪৯
২২ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:২৩, ইফতার – বিকেল ৫:৪৯
২৩ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:২২, ইফতার – বিকেল ৫:৫০
২৪ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:২১, ইফতার – বিকেল ৫:৫০

২৫ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:২০, ইফতার – বিকেল ৫:৫০
২৬ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:১৯, ইফতার – বিকেল ৫:৫১
২৭ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:১৮, ইফতার – বিকেল ৫:৫১
২৮ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:১৭, ইফতার – বিকেল ৫:৫১
২৯ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:১৫, ইফতার – বিকেল ৫:৫২
৩০ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:১৪, ইফতার – বিকেল ৫:৫৩
৩১ মার্চ: সেহরি – ভোর ৪:১৪, ইফতার – বিকেল ৫:৫৩

আরও পড়ুন, লক্ষ্মীর ভান্ডার, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, কৃষক বন্ধু টাকা কবে ঢুকবে? নতুন ও পুরাতন সকলের জন্য সুখবর

রমজানের সামাজিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব

রমজান কেবল ধর্মীয় উপবাসের মাস নয়, এটি পারস্পরিক সহানুভূতি ও সংহতির মাসও। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই একই নিয়ম মেনে চলেন, যা সামাজিক সাম্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। অনেক মানুষ এই মাসে দান-সদকা করে দরিদ্রদের সাহায্য করেন, যা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। মাসের শেষ দশদিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই সময়ের মধ্যেই রয়েছে ‘লাইলাতুল কদর’ বা ‘শবে কদর’, যা হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত। এই রাতে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়, তাই মুসলিমরা বেশি করে ইবাদত করে এই পুণ্য অর্জনের চেষ্টা করেন।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!