Primary TET 2014 Case – ভেরিফিকেশনের জন্য অরিজিনাল ডকুমেন্টস দিতে বলায়, চিন্তা বাড়লো।
কি হতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগকে (Primary TET 2014 Case) কেন্দ্র করে? ভবিষ্যতে কোন পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে রয়েছে? প্রশ্নগুলি উঠতে শুরু করেছে। যারা অনেকেই এমন আছেন চাকরি পেয়েছেন, অথচ হয়তো দুর্নীতির কোনো নামগন্ধ তাদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নেই, সেই সমস্ত চাকরিরত শিক্ষকদের কি হবে? এই প্রশ্নগুলো ওঠার মুখ্য কারণ হলো, একের পর এক চমকে দেওয়ার মতো নির্দেশ আসতে শুরু করেছে।
প্রায় ৪২ হাজার নিয়োগ হয়েছে এই সময়ে। তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কঠোর পরিশ্রম করে, নিয়মিত পড়াশোনা করে চাকরী পেয়েছে। তাদেরও প্রমান দিতে হচ্ছে। এদিকে ২০১৪ সালের সমস্ত ডকুমেন্টস এক করতে কালঘাম উঠে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে (Primary TET 2014 Case), টেট পাশের কোনও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি।
তাই সকলের কাছে রেজাল্ট এর স্ক্রিনশট নেই। কিম্বা সেই সময়ে সকলের স্মার্টফোন ছিলো না, কম্পিউটার তো ছিলোই না। যারা সাইবার ক্যাফে থেকে প্রিন্ট আউট করেছিলেন, তাদের চিন্তাটা কম। এদিকে পুরনো সেই ইমেইল ও অনেকেই বন্ধ করে দিয়েছেন, কিম্বা পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন, (Primary TET 2014 Case) এবার সেই ইমেইল পাবেন কোথায়? আর ২০১৫সালের মোবাইল কি ভালো থাকে, যেখানে SMS খুজবেন?
এদিকে, হাইকোর্টে মামলা চলছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির (Primary TET 2014 Case) অভিযোগ ওঠার। তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE) এর কাছে এই বিষয়ে সমস্ত তথ্য তলব করা হয়েছে। এবার পর্ষদ নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে চাকরিতে যোগ দেওয়া 17000 প্রাথমিক শিক্ষকের তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দিচ্ছে।
2014 সালের টেট TET পরীক্ষায় বসে যারা প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন, তাদের সবাইকেই তদন্তের আওতায় (Primary TET 2014 Case) এনে ফেলা হলো বলে মনে করা হচ্ছে। 16 ই জুন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী সব জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলে চিঠি দিয়ে 2014 সালের টেট পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়া সমস্ত প্রার্থীর নথি এর মধ্যে তৈরি করে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন। জানানো হয়েছে, CBI- এর কাছে তদন্তের প্রয়োজনে এসব তথ্য তুলে দেওয়ার জন্যই নির্দেশ।
সিবিআই মামলার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব শিক্ষকদের প্রথম জয়নিং লেটার এর অরিজিনাল কপি (Joining Letter Original Copy) চেয়ে পাঠিয়েছেন একাধিক জেলা বিদ্যালয় সংসদ DPSC- এর কাছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন 2014 সালে বিজ্ঞাপিত এবং 2016 সালের টেট উত্তীর্ণ (Primary TET 2014 Case) হয়ে যাওয়ার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাওয়া প্রার্থীরা। এই নির্দেশ আসার পর প্রাথমিক শিক্ষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তাহলেকি ডাল মে কুচ কালা?
এক শিক্ষক নেতা বলেন, DPSC চেয়ারম্যান এবং অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক SI- দের কাছে অরিজিনাল জয়নিং লেটার থাকে। বিকাশ ভবনের এক আধিকারিকের কথায়, যিনি প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তিনি জয়েনিং লেটার পেয়ে শিক্ষকতায় যোগ দিয়েছেন কিনা বিচারপতি সেটা যাচাই করতে চাইছেন। Primary TET 2014 Case.
পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে অপসারণের পর মানিক ভট্টাচার্যকে কি নির্দেশ হাইকোর্টের?
সরকারের হিসেব অনুযায়ী, 2017 সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই পর্যন্ত ৪0 হাজারের বেশি প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি পেয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, Joining Letter হারিয়ে গেলে তারা বিপাকে পড়বেন। এদিকে দুই দিন ধরে এই ১০ দফা ডকুমেন্ট খুঁজতে হিমসিম খাচ্ছেন, কারন অনেকেই গ্রাজুয়েশনের সব কটি সেমেস্টার এর এডমিট রাখেন নি, কিম্বা Dled এর এডমিট নেই। আর এই মুহূর্তে আবার যদি অরিজিনাল চায়, তবে সেক্ষেত্রে চিন্তার বিষয়, এই বিষয়ে আপনার মতামত নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
Written by Rajib Ghosh.
প্রশ্নের মুখে 42000 প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, কাদের টেনশন নেই, কারা বিপদে পড়তে পারেন।