টাকা বিনিয়োগ করলেই ডবল, জনপ্রিয় এই সঞ্চয়পত্র স্কিমে কিভাবে টাকা রাখবেন।
পরিশ্রম করে উপার্জন করা টাকা বিনিয়োগ করার আগে সকলেই একটু লাভজনক স্কিমের সন্ধান করেন। এই সঞ্চয়পত্র স্কিমে বিনিয়োগ করলে একদিকে যেমন টাকা নিরাপদে সুরক্ষিত থাকবে ঠিক তেমনি পাশাপাশি লাভজনক সুদ পাওয়া যাবে।
এবার কোনো স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করার নির্দিষ্ট মেয়াদের পর সেই টাকা যদি ডবল বা দ্বিগুণ হয়ে যায় তাহলে সেই স্কিমের প্রতি আগ্রহ থাকবে সকলের। সে ব্যাংক বা পোস্ট অফিস যেখানেই হোক না কেন, মানুষ এই ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্কিমের খোঁজ করতেই থাকেন। এরকমই এক ধরনের Scheme রয়েছে পোস্ট অফিসের।
দেশজুড়ে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা সঞ্চয় প্রকল্প রয়েছে পোস্ট অফিসের তরফে। দেশবাসী নিরাপদে টাকা বিনিয়োগ করার জন্য পোস্ট অফিসের (Post Office Scheme) কথা ভাবেন। তবে বর্তমানে যে স্কিমের কথা বলা হচ্ছে সেই স্কিমটি যথেষ্ট জনপ্রিয় একটি প্রকল্প। বহু মানুষ এই স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করতে চান। কারণ একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর টাকা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
এবারে প্যান কার্ড নিয়ে কেন্দ্রের লাল সতর্কতা। গুরুত্ব না দিলে ব্যাংক একাউন্ট ফাঁকা।
পোস্ট অফিসের এই সঞ্চয়পত্র স্কিমটির নাম হল কিষান বিকাশ পত্র Kishan Vikash Patra
প্রকল্পটির নাম শুনলেই বোঝা যায় কৃষকদের উদ্দেশ্যেই এই সঞ্চয়পত্র প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছিল। তবে দেশের যে কোনো ব্যক্তি এই সঞ্চয়পত্র প্রকল্পে টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। এবার এই প্রকল্পটি নিয়ে বিস্তারিত একবার জেনে নেওয়া যাক।
কিষান বিকাশ পত্রে কত টাকা বিনিয়োগ করা যায়:
দেশের যেকোনো ব্যক্তি Kishan Vikash Patra-তে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। নিজের সুবিধা অনুযায়ী সেই টাকার পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে। তবে ৫০০০০ টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে গেলে প্যান কার্ড এর ডিটেলস জমা দিতে হবে।
পোষ্ট অফিস স্কিম, দিওয়ালী অফার, এই সঞ্চয়পত্রে তিন বছরেই পাবেন দশ লাখ টাকা। সুযোগ সীমিত।
কিভাবে কিষান বিকাশ পত্রে বিনিয়োগ করবেন:
নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে গিয়ে কিষান বিকাশ পত্র নেওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। তারপরে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে। সেটা দেওয়া হয়ে গেলেই পোস্ট অফিস থেকে কিষান বিকাশ পত্রের সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হবে। (Post Office Deposit Scheme) এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কিষান বিকাশ পত্রে বিনিয়োগ করা টাকা আয়কর আইনের 80C-র অধীনে আসে না।
ফলে কিষান বিকাশ পত্র থেকে প্রাপ্ত লাভ করের আওতায় আসে। অর্থাৎ ট্যাক্স ছাড় পাবেন না। তবে কিষান বিকাশ পত্র থেকে ঋণ নেওয়া যেতে পারে। এই সার্টিফিকেট জমা দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা লোন নেওয়া সম্ভব। এছাড়াও আপনি চাইলে মেয়াদের আগে ভাঙ্গাতে পারেন। তবে টাকা কাটা জেতে পারে।
কত টাকা সুদ পাওয়া যায়:
কিষান বিকাশ পত্রে ৬.৯ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়। এর নির্দিষ্ট মেয়াদের পরে টাকা ডবল বা দ্বিগুণ হয়ে যায়। সেই সময়সীমা হল ১০ বছর ৪ মাস। এরপরেই এই সার্টিফিকেটে বিনিয়োগ করা টাকা ডবল হয়ে যায়। এই স্কিমে কোনো ঝুঁকি নেই। নিরাপদে নিজের টাকা নির্দিষ্ট মেয়াদে ডবল করে নেওয়া যেতে পারে।
Account খোলার জন্য নিয়ম;
১৮ বছর বয়স হলেই যে কেউ কিষান বিকাশ পত্র অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। ১০ বছর উত্তীর্ণ হয়ে গেলে অভিভাবকেরা নাবালকের নামে কিষান বিকাশ পত্র অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। ১৮ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে তিনজন ব্যক্তি একসঙ্গে যৌথ অ্যাকাউন্ট (Joint Account) খুলতে পারেন।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিলছে নভেম্বরেই, রিপোর্ট প্রকাশ হল।
KVP-তে বিনিয়োগ করার জন্য বয়সের কোনো উর্ধ্বসীমা নেই। সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। টাকা দ্বিগুণ করার জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদ হল ১২৪ মাস অর্থাৎ ১০ বছর ৪ মাস। দেশবাসীর কাছে এটি একটি জনপ্রিয় স্কিম।
Written by Rajib Ghosh.