Mid Day Meal – প্রত্যেক স্কুল ভিজিট হবে, পরিদর্শনে এসে কি কি দেখছে, পড়ুয়া শিক্ষকদের 100% উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।

মিড ডে মিল প্রকল্প বা PM Poshan Mid Day Meal Scheme এর নাম পরিবর্তিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী পোষণ স্কীম বা PM Poshan Scheme নাম হওয়ার পর নানা বিতর্কের মাঝে সারা রাজ্য জুড়ে স্কুলে স্কুলে পরিদর্শন করতে ইতিমধ্যেই এসে গেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আর তারপরই সারা রাজ্য জুড়ে শিক্ষা দপ্তর ও মিড ডে মিল সেকশন থেকে হাই এলার্ট জারি করা হয়েছে। DI থেকে SI সকলকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি স্কুলে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানোর জন্য।

সুতরাং সব মিলিয়ে, এই Mid Day Meal Inspection নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষা দপ্তরের মধ্যে এক বিশেষ তৎপরতা শুরু হয়েছে। অনেক শিক্ষকদেরই প্রশ্ন কিভাবে তারা প্রস্তুত হবেন, কি কি ডকুমেন্ট রেডি রাখবেন। তাই এই প্রতিবেদনে সেই বিষয়েই বিশেষ তথ্য দেওয়া হলো। এই লিংকটি সকলকে শেয়ার করে সকলকে প্রস্তুত হতে সাহায্য করবেন।

কেন্দ্রের বিশেষ প্রতিনিধি দল গতকাল কোলকাতায় আসার পর, সফরের প্রথম দিনই কোলকাতা ছেড়ে বিভিন্ন জেলায় Mid Day Meal প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও গতি প্রকৃতি দেখতে বেরিয়ে পড়লেন। গতকাল সকালে পরিদর্শনে বেরোনোর আগে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন তাঁরা। প্রতিনিধিদলের প্রধান অনুরাধা গুপ্তা/দত্ত জানিয়েছেন, যত বেশি সম্ভব জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ও গ্রামের স্কুলে বেশি করে পরিদর্শনে যাবেন তাঁরা। আর এদিন পরিদর্শনের পর কি কি জানা গেল, জেনে নিন।

Mid Day Meal State Level Special Inspection:

Mid Day Meal এর এই পরিদর্শন সারা রাজ্য ব্যাপী ৩০ জানুয়ারী থেকে ৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত হবে। প্রত্যেক স্কুলে মিড ডে মিল (PM Poshan Mid Day Meal) এর সাপ্তাহিক খাদ্যতালিকা টানাতে হবে। ইতিমধ্যেই এই কদিন প্রত্যেক স্কুলে ১০০% ছাত্র, শিক্ষক ও কুক দের উপস্থিতির নির্দেশ দিয়েছেন একাধিক জেলার DI (জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক) ও SI (অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক).

৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারির এই পরিদর্শনের আগে আরও একদফায় রাজ্যে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সহকারী (AI) ও অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের (SIS). আর এর পরই তৎপরতা বেড়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর ও জেলা শিক্ষা বিভাগে। কুক, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের ১০০% উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে।

এছাড়াও Mid Day meal এর জন্য বরাদ্দ তহবিল, হিসাব বহি, ব্যবস্থাপনা, খাদ্যশস্য সরবরাহ, কিচেন ও স্টোর রুম তৈরি, খাদ্যসুরক্ষার গাইডলাইনে উদ্যোগী জেলা, ব্লক ও স্কুলস্তরের বিজ্ঞপ্তি, ছাত্রছাত্রী, কুক ও সহায়কদের আধার এনরোলমেন্টে অন্তর্ভুক্তিকরণ, কুক এবং হেল্পারদের সাম্মানিক পেমেন্ট ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, খাদ্যশস্যের সংরক্ষণ, প্রকল্পে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা, মিড ডে মিলের টেস্টিং শিক্ষক, অভিভাবক ও সমাজের নানা স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ, প্রতিমাসের শিক্ষক অবিভাবক মিটিং। এই সমস্ত নথি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন, এবার সত্যি সত্যি কমছে রান্নার গ্যাসের দাম, সাধারনের হেঁসেলে ফিরলো স্বস্তি।

সেই সাথে প্রতিদিন যে সংখ্যক পড়ুয়ার উপস্থিতি রিপোর্ট করা হয়, সেই সংখ্যক পড়ুয়া বাংলার শিক্ষা পোর্টালে নথিভুক্ত আছে কিনা, এবং তারা আদৌ স্কুলে আসছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এমনকি প্রতিদিনের রিপোর্ট করা সংখ্যার সাথে ছাত্রদের উপস্থিতির রেজিস্টার ও মিলিয়ে দেখতে পারে। এছাড়া গত এক বছরে কতবার স্কুল পরিদর্শন হয়েছে, কে বা কারা করেছেন, ভিজিটর বুকে তা তোলা আছে কিনা।

স্কুল ভবনের ধরন, পানীয় জল আছে কি না, ফিল্টার আছে কিনা, কিচেনে অগ্নি নির্বাপক আছে কিনা, আর থাকলেও তা চালু আছে কিনা, রান্নাঘর পাকা কি না, কিচেন গার্ডেন, রান্নার খরচ কত, ব্যালান্স কত টাকা আছে, চাল মজুতের রেজিস্টার, রান্নার মাধ্যম, সাপ্তাহিক পিএম পোষণ মেনু বোর্ড, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দেখতে পারেন তাঁদের পর্যবেক্ষক টিমও। তাই এই সমস্ত বিষয়গুলো রেডি রাখার কথা বলা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে ডিএ না মেলায়, স্কুল কলেজ, সরকারি অফিস, হাসপাতালের কর্মীরা একযোগে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত, কবে?

গতকাল পরিদর্শনে সবচেয়ে বেশি দেখা হয়েছে খাবারের মান, কিচেন, হিসাব বহি ও পানীয় জল। কিন্তু কোন স্কুলে গিয়ে কি জিজ্ঞেস করবে তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। তাই সমস্তটাই প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও গতকাল প্রথম দিনের পরিদর্শনের পর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের নেত্রী অনুরাধা গুপ্তা/দত্ত সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “খুব ভালো দেখলাম।”
আপডেট আসছে। আপনার প্রশ্ন ও মন্তব্য নিচে কমেন্ট করবেন।

বিনামূল্যে মোবাইল ফোন ও 1 বছরের ভ্যালিডিটি দিচ্ছে Jio, কিভাবে পাবেন জেনে নিন।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment