PM Awas Yojana – আরো 3 কোটি মানুষ পাবেন আবাস যোজনার টাকা। আপনিও কি পাবেন? এইভাবে করতে হবে আবেদন।

যাদের নিজের পাকা বাড়ি নেই তাদের জন্য সুখবর। পিএম আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (प्रधानमंत्री आवास योजना), PM Awas Yojana বা বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে এবার প্রচুর মানুষ বাড়ি বানানোর টাকা পাবে। আবেদন শুরু হচ্ছে, কিভাবে এই টাকা পাবেন, জেনে নিন।

PM Awas Yojana New Application

১৮ তম লোকসভা ভোটে জিতে তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi). আর ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের মানুষের জন্য একাধিক নতুন উদ্যোগ নিয়েছে তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা। যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas Yojna) নামও উঠে এসেছে। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দিল্লির বাসভবনে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর তাতেই আবাস যোজনা নিয়ে বড়সড় ঘোষণা শোনা গেছে, যা দেশের কোটি কোটি মানুষের আনন্দের কারণ।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে আরো ৩ কোটি মানুষকে সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যারা এখনো এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাদেরকে এবারে টাকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কারা কারা প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন সে বিষয়েও বলা হয়েছে। দেখে নেব কি যোগ্যতা লাগবে? কিভাবে আবেদন করতে হবে? আপনিও কি আবেদন করতে পারবেন?

Pradhan Mantri Awas Yojana

নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হবার পর ২০১৫ সালে এই যোজনাটি শুরু করেন। এই প্রকল্পের (प्रधानमंत्री आवास योजना) মূল উদ্দেশ্য হলো বাস্তহীনদের মাথার ওপর পাকা ছাদ নির্মাণ করে দেওয়া। পিএম আবাসের আওতায় দুই ধরনের এলাকায় টাকা দেওয়া হয়, একটি পিএম আবাস যোজনা রুরাল, আর একটি প্রধানমন্ত্রী আবাস প্রকল্প (শহর). উভয় এলাকাতেই উপযুক্ত ব্যক্তিরা সুবিধা পান।।

এর দায়িত্ব রাজ্যভিত্তিকভাবে বিভিন্ন রাজ্যের সরকারের ওপর দেওয়া হয়েছে। তাদের তরফে আবেদনকারীদের যোগ্যতা বিচার করে প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয় একাউন্টে। চালু হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত মোট 4.23 কোটি বাড়ি বানানোর পরিসংখ্যান মিলেছে পিএম আবাসের আওতায়। এবারে সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে আরও ৩ কোটি মানুষের নাম। কারা এবারের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য?

আবেদনের যোগ্যতা

১. অবশ্যই ভারতের একজন নাগরিক হতে হবে।
২. ব্যক্তির বয়স হতে হবে ১৮ বছর বা তার বেশি।
৩. প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ এর সুবিধা পেতে গেলে বার্ষিক আয় হতে হবে ৩ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মধ্যে। শহরে এই যোজনার টাকা ১৮ লক্ষ পর্যন্ত বার্ষিক আয়তেও প্রদান করা হয়।

৪. তবে যার পরিবারের কোন সদস্য রাজ্য অথবা কেন্দ্রের অধীনে সরকারি চাকরি করেন, তিনি এখানে আবেদন করতে পারবেন না।
৫. আবেদনকারীর বর্তমানে কোন পাকা বাড়ি থাকা চলবে না।
৬. যারা পূর্বে এই প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা পেয়েছেন তারা আর আবেদন করতে পারবেন না।
৭. আবেদনকারীদের কোন নিজস্ব গাড়ি বা বাইক থাকা চলবে না।

পিএম আবাস যোজনার সুবিধা

গ্রামীন এলাকায়,
এই প্রকল্পে উপযুক্ত ব্যক্তিরা মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পান বাড়ি বানানোর জন্য। তবে পাহাড়ি অঞ্চলে যারা এই প্রকল্পের সুবিধা পান তারা সমতল অঞ্চলের মানুষদের থেকে আরও ১০ হাজার টাকা বেশি পান অর্থাৎ মন ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।

শহর এলাকায়,
আবাস প্রকল্পের আওতায় হোম লোন পাওয়া যায় প্রায় 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত। দেশের নির্বাচিত পাবলিক সেক্টর ব্যাংকগুলো কম সুদে আবাস যোজনার লোন প্রদান করে। লোনের টাকা শোধ দিতে হয় ২০ বছরের মধ্যে। সময়মতো লোন শোধ করলে ঋণের ওপর নির্দিষ্ট ভর্তুকি দেয় সরকার।

আরও পড়ুন, প্রতিমাসে 30 হাজার টাকা আয় করতে এই ব্যবসা করুন। 

আবেদন প্রক্রিয়া

পিএম আবাস যোজনা গ্রামীনের জন্য,
নিজের এলাকার ব্লক বা পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে এবং প্রয়োজনে ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।
পিএম আবাস আরবানের ক্ষেত্রে অনলাইনেও আবেদন করা যায়।
১. প্রথমেই চলে যেতে হবে বিএম আবাস যোজনা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে
২. এরপর PM Awas Yojana অপশনে ক্লিক করলে প্রকল্পের আবেদন পত্র লোড হবে।
৩. আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করে নিন। হয়ে গেলে Next করে পরে পেজে চলে আসুন।
৪. কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস (নিচে উল্লেখ করা আছে) স্ক্যান করে আপলোড করে দিন।
৫. সব হয়ে গেলে ক্লিক করুন Submit বাটনে। আবেদন শেষ।

আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গের নতুন প্রকল্প। বছরে ২ বার ৫০০০ টাকা করে পাবেন। কারা যোগ্য, কিভাবে আবেদন করবেন?

প্রয়োজনীয় নথি

১. পাসপোর্ট সাইজের দু কপি ফটো।
২. আধার কার্ড (Aadhaar Card), ভোটার কার্ড (Voter Card) ও রেশন কার্ড (Ration Card)।
৩. ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাসবুকের (Bank Account Passbook) প্রথম পাতা জেরক্স।
৪. আবেদনকারী ব্যক্তির নিজস্ব বা পরিবারের কোন সদস্যের জব কার্ড (Job Card)।

এইভাবে আবেদন করে, কিছুদিন পর pm awas yojana status check করলে আপনার আবেদনের স্থিতি জানতে পারবেন। এবং যোগ্য হলে তিন কিস্তিতে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা অথবা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে।
Written by Nabadip Saha.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment