বর্তমান কালে যে কোন সরকারি, বেসরকারি ব্যাংক পোস্ট অফিসের কাজে KYC Verification প্রক্রিয়া করা গুরুত্বপূর্ণ বা এককথায় বাধ্যতামূলক। ব্যাংক একাউন্ট খোলা থেকে থেকে শুরু করে মোবাইলের সিম কেনা, সব ক্ষেত্রেই আগে KYC নথি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয় আমরা স্মার্টফোনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি। এর মধ্যে বেশ কিছু অ্যাপেও রেজিস্ট্রেশন করার আগে Online eKYC সম্পন্ন করতে হয়। আর KYC Update and KYC Verification এই দুটি প্রক্রিয়া নিয়মিত না করলে নির্দিষ্ট সময় পর পরিষেবা সাময়িকভাবে নিস্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। KYC Form জমা দিলেই সেগুলো পুনরায় চালু হয়। তাই ব্যাংক ও পোস্ট অফিসের ক্ষেত্রে KYC Verification প্রক্রিয়া বা KYC Update করে রাখা জরুরী।
Online Digital KYC Verification is mandatory.
সম্প্রতি KYC Update প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। যাতে আমূল বদলে যেতে চলেছে KYC Verification বা Know Your Customer প্রক্রিয়ার নিয়ম। যে কোনো ক্ষেত্রে কেওয়াইসি করতে গেলে এরপর এই নিয়মই মানতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন নিয়ম বদলাল কেওয়াইসির? এর দ্বারা সুবিধা না অসুবিধা হবে মানুষের? বুধবার ফাইনানশিয়াল স্টেবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের পক্ষ থেকে দেশে কেওয়াইসি প্রক্রিয়ার (KYC Rule) ব্যবহার নিয়ে একটি বৈঠকের কথা জানা গেছে। যেখানে আরও কটা পদক্ষেপ দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।
KYC Full Form
যেকোনো ধরনের অর্থনৈতিক ও পরিষেবা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে গ্রাহক বা উপভোক্তার সমস্ত তথ্য থাকা জরুরী। তাই কোনও পরিষেবা নেওয়ার আগে KYC Form Fill up করে KYC Registration করা বাধ্যতামূলক। কোনও গ্রাহক চাইলে অনলাইনে e Kyc ও করতে পারেন। KYC Full form বা Long Form of KYC হলো Know Your Customer বা Know your client. অর্থাৎ সহজ কথায় KYC হলো গ্রাহক বা উপভোক্তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য। যেমন, তার ফটো, সিগনেচার, বায়োমেট্রিক তথ্য, স্থায়ী ঠিকানা, যোগাযোগের তথ্য, ও সরকারের দেওয়া বিভিন্ন ডকুমেন্ট যেমন ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ড প্রভৃতি।
KYC Verification Process
সম্প্রতি KYC প্রক্রিয়া নিয়ে একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্যানেলের পরামর্শেই KYC Verification প্রক্রিয়ার নিয়ম বদলটি ঘোষণা করা হয়। ভারতের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া এই প্যানেলের (KYC Panel) মূল কাজ। অনলাইনে বেআইনি ভাবে যাতে অর্থ তছরুপ রোখা যায়, সেই লক্ষ্যেই এই ভাবনা। কি বলা হয় সেই প্যানেলে? উল্লেখিত সংস্থা দেশে এক এবং অভিন্ন কেওয়াইসি প্রক্রিয়া চালু করার নির্দেশ দিয়েছে।
KYC Update Status
বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, এতদিন পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থা গুলি তাদের গ্ৰাহকদের কেওয়াইসি আলাদা আলাদা উপায়ে সম্পন্ন করতো। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী গোটা দেশে যেকোনো ক্ষেত্রেই হোক না কেন, এক নিয়মেই কেওয়াইসি হবে এবার থেকে। এক্ষেত্রে কেওয়াইসি ডিজিটালাইজেশন এর কথা বলেছে সেই সংস্থা অর্থাৎ ডিজিটাল পদ্ধতিতে যে কোনো কাজের জন্য একবারই KYC করতে হবে গ্রাহকদের।
সেই কেওয়াইসি দেখিয়েই অন্য যেকোনো কাজে অনুমতি পাওয়া যাবে। সংস্থা জানিয়েছে, KYC Verification প্রক্রিয়ার সিকিউরিটি বৃদ্ধি করে দেশের আর্থিক লেনদেন স্বচ্ছ রাখার উদ্দেশ্যেই এই নিয়ম। তবে বলা ভালো এর মাধ্যমে সুবিধাই হতে চলেছে দেশের মানুষের। বারবার বিভিন্ন জায়গায় KYC Verification জন্য নথি জমা দেওয়ার ঝক্কি আর পোহাতে হবে না এতে।
তবে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, ফাইনানশিয়াল স্টেবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল কিন্তু সরাসরি তাদের প্রকাশ করা প্যানেলে বিষয়টি জানায়নি। গত ৩১ শে জানুয়ারি পেটিএম পেমেন্ট ব্যাংককে নিয়ে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI) নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। তারপর থেকেই সকলের ধারণা হয় যে এরপর থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এক এবং অভিন্ন Digital KYC Verification চালু করা হতে পারে।
ফাইনানশিয়াল স্টেবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল এই বিষয়টিকেই আভাস দিয়েছে তাদের প্যানেলে। তবে এই নিয়ম আদৌ কবে থেকে লাগু হতে চলেছে, সে বিষয়ে কিছু বলেনি ওই সংস্থা। তবে আশা করে যাচ্ছে, অতি শীঘ্রই এই নিয়ম চালু হতে পারে। আর তা চালু হলে আখের লাভই হবে জনগণের। কারন এতে একবার Digital KYC সম্পন্ন করলে বার বার KYC Update করতে হবে না। কিন্তু এই নতুন নিয়মে ফলে ফের সকলকে কি আবার লাইনে দাঁড়াতে হবে? সেই নিয়ে চিন্তায় অনেকে। এই বিষয়ে আপনার মতামত নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Written by Nabadip Saha.
টাকার প্রয়োজন হলেই 5 মিনিটে পাবেন। বাজাজ ফাইন্যান্স পার্সোনাল লোনে আবেদন করুন।