ভোট শেষ হতে না হতেই বেড়ে গেল মধ্যবিত্তের খরচ। আগের মতো আর সস্তায় মিলবে না দুধ। লিটার প্রতি দুধের দাম সম্প্রতি বাড়ানোর (milk price hike) ঘোষণা করেছে উৎপাদনকারী সংস্থা গুলো। আজ থেকেই এই নতুন দাম কার্যকর হবার কথা সারা দেশে। স্বাভাবিকভাবেই এতে মাথায় হাত পড়ার জোগাড় হয়েছে মধ্যবিত্ত মানুষের। এমনিতেই বর্তমানে সব জিনিসের মূল্যস্ফীতি ঘটেছে।
Mother Dairy and Amul Milk Price Hike upto Rs 2
আর দুধ হল এমন একটি খাদ্য দ্রব্য যা অনেকেরই নিত্যদিনের ডায়েট চার্টে থাকে। তাই আচমকা এভাবে দুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ জোগানো মুশকিল হয়ে পড়বে অনেক মানুষের। চলুন দেখে নেওয়া যাক লিটার প্রতি Milk Price Hike কত বাড়ল, আগের দাম কত ছিল, এরপর থেকে কত টাকা লাগবে? ইত্যাদি।
কবে থেকে দাম বাড়লো
সম্প্রতি দুধের নতুন দাম কার্যকর করার বার্তা দিয়ে নোটিশ জারি করেছে দেশের বৃহত্তম দুগ্ধ উৎপাদনকারী সংস্থা আমুল। গতকাল ২ জুন মিটেছে লোকসভা ভোট। আর ঠিক তারপর দিন অর্থাৎ ৩ জুন থেকেই এই নতুন দাম সারা দেশে লাগু করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বর্তমানে সকল জিনিসেরই মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়েনি দুধের দাম। এখনো অনেক কম দামেই দুধ কিনতে পারেন মানুষ। কিন্তু এতে জনগণের লাভ হলেও উৎপাদনকারীদের লোকসান হচ্ছে বলে মনে করেছে সংস্থা।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গের অজস্র রেশন কার্ড বাতিল! তালিকা দেখুন ও Ration Card বাঁচাতে চাইলে আজই এই কাজ করুন।
আসলে সব জিনিসের উৎপাদনের পেছনেই একটা মোটা টাকা খরচা করতে হয়। যেখানে অন্যান্য পণ্য বিক্রেতারা তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়ে লাভ উঠাচ্ছেন সেখানে দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা কেন বঞ্চিত হবেন। সেই কারণেই বর্তমানে Milk Price Hike বা বাড়ানোর কথা চিন্তা করেছে আমুল বা গুজরাত কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন লিমিটেড।
দুধের দাম কত বাড়লো?
সংস্থার নোটিশে জানানো হয়েছে প্রতি লিটার দুধ এর দাম ২ টাকা করে বাড়তে চলেছে এরপর থেকে। যার ফলে এমআরপিতে ৩ থেকে ৪ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাবে। এরপর আমুলের ৫০০ এমএল এর মহিষের দুধ মিলবে ৩৬ টাকা দরে। আমুল গোল্ড দুধ পাওয়া যাবে ৩৩ টাকা এবং আমুল শক্তি ৩০ টাকা দামে। যা অন্যান্য জিনিসের দামের তুলনায় এখনো অনেকটাই কম বলে মনে করেছে সংস্থা।
আরও পড়ুন, SBI SWP স্কীমে বিনিয়োগ করলে প্রতিমাসে পাবেন 10000 টাকা। এর সুবিধা জেনে নিন।
দুধের দাম বৃদ্ধির কারন
২০২৩ এর ফেব্রুয়ারি মাসে শেষবার করেছিল আমুল এর দুধের দাম। তারপর থেকে আর এক টাকাও বাড়ানো হয়নি। এদিকে দিনকে দিন মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে চলেছে। আগে দুধ উৎপাদন করতে যে খরচ হতো তার ডবল হচ্ছে এখন। তাই এতে কোম্পানির কোন লাভ হচ্ছে না। গুজরাটের ওই দুগ্ধ সংস্থা জানিয়েছে, দুধ বিক্রির জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নেওয়া প্রতি ১ টাকার মধ্যে ৮০ পয়সা টাকা দেওয়া হয় উৎপাদনকারীদের। তাই তারা যদি লাভ না পান তবে দুধ উৎপাদনও করতে চাইবেন না। এই কারণে সংস্থার এমডি জয়েন মেহতা বলেছেন,”দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।”
Written by Nabadip Saha.