Madhyamik HS Exam : বোর্ড পরীক্ষা নিয়ে সুপ্রীম কোর্টে মামলা দায়ের।
অতিমারি পরিস্থিতিতে ঠিকমতো ক্লাস হয়নি। অন্যদিকে বোর্ড পরীক্ষার (Madhyamik HS Exam) দিনক্ষণ ঘোষনা হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা হলে রেজাল্ট খারাপ হলে কিম্বা কোনো পরীক্ষার্থীর সংক্রমন হলে দায় নেবে কে? এই মর্মে মামলা দায়ের হলো দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রীম কোর্টে!
সংবাদ সুত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র CBSE, CISCE সহ কেন্দ্রীয় বোর্ডই নয়। অভিযোগ জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় এবং অন্যান্য রাজ্য বোর্ড পরীক্ষা (Madhyamik HS Exam) নিয়েও। অর্থাৎ সারা দেশের সমস্ত বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেনীর পরীক্ষা নিয়ে। নির্ধারিত সূচী মেনে, পরীক্ষা অফলাইনে হবে কি না, কিম্বা পিছিয়ে যাবে কিনা, এবার তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের শীর্ষ আদালত।
CBSE, CISCE এবং অন্যান্য রাজ্য বোর্ড পরীক্ষা (Madhyamik HS Exam) এবার অফলাইনে হওয়ার ঘোসনা করেছে সমস্ত শিক্ষা বোর্ড। তবে অফলাইন পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সরব পরীক্ষার্থীদের একাংশ। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। গতকাল তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই আবেদন গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট জানাল, আগামীকাল এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হবে।
সূপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএম খানউইলকরের নেতৃত্বে এদিন সুপ্রিম কোর্টের সংস্লিস্ট বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে আবেদনের প্রতিলিপি সিবিএসই এবং মামলায় যুক্ত অন্যান্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারী বোর্ডকে (Madhyamik HS Exam) পাঠাতে হবে আজকের মধ্যে। আর সেই অনুযায়ী বিভিন্ন বোর্ড হলফনামা দেবে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও সিবিডিইআর, সিআইএসসিই, এনআইওএস এবং অন্যান্য রাজ্য বোর্ড দ্বারা পরিচালিত বোর্ড পরীক্ষার (Madhyamik HS Exam) বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ চেয়ে পরীক্ষার্থীরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রশান্ত পদ্মনাভন বলেন, ‘অতিমারীর দরুন শারীরিকভাবে উপস্থিত থেকে পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। পরীক্ষা অফলাইনে হোক’.
এছাড়াও অ্যাডভোকেট প্রশান্ত পদ্মনাভনের আবেদনে বলা হয়েছে, ‘অধিকাংশ রাজ্যে লকডাউন চলাকালীন ২০২০ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও ক্লাস নেওয়া হয়নি৷ সমস্ত রাজ্যের প্রায় ৯৮% পড়ুয়ারা কোনও অনলাইন ক্লাস করেনি। আর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করলেও সমস্ত পড়ুয়ার অনলাইনে ক্লাস করার মতো পরিকাঠামো বা স্মার্টফোন নেই। এই মুহূর্তে পরীক্ষা (Madhyamik HS Exam) হলে তারা বঞ্চিত হবে। এটি শিক্ষার অধিকার আইনের পরিপন্থী।’
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালে যখন অফলাইন পরীক্ষার বিরোধিতা করে মামলা করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে, সেই মামলার শুনানিও হয়েছিল বিচারপতি এএম খানউইলকরের বেঞ্চে। তাই এই মামলা যে সাথে সাথে খারিজ হবে না, তা মনে করছেন শিক্ষা মহলের একাংশ।
অন্যদিকে সেন্ট্রাল বোর্ড সহ একাধিক বোর্ড মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের চূড়ান্ত সুচি প্রকাশ করেছে। এই মুহূর্তে কি হবে সেটাই এখন দেখার। এই মামলা দায়ের হওয়ার পর গতকাল ও পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে মিটিং করেছে। এবার কি সিদ্ধান্ত হয় সেটিই দেখার।
বিনামূল্যে সিম আর দুই মাসের আনলিমিটেড দিচ্ছে বিএসএনএল, এখুনি পোর্ট করুন
আপনার কি মনে হয়, পরীক্ষা কি নিরধারিত সময়ে হওয়া উচিত নাকি পিছিয়ে যাওয়া উচিত। নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। পরীক্ষার্থীরা কি চাইছে, সেটাও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরবর্তী আপডেট আসছে, সঙ্গে থাকুন।
অবশেষে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হল শিক্ষা দফতর।