Krishak Bandhu: নাবালকদের একাউন্টে টাকা ঢুকছে। বিরাট পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি

শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির পর এবার জালিয়াতির প্রমাণ মিলল কৃষক বন্ধু প্রকল্পেও (Krishak Bandhu Prakalpa). দরিদ্র চাষীদের উন্নতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই প্রকল্প চালু করেন। যার মাধ্যমে প্রতি বছর তাদের ৪০০০ থেকে ১০০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু এতদিন সেই টাকা সকলে ঠিকঠাক পেলেও এবার শতাধিক কৃষক সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

Krishak Bandhu Prakalpa Status Check

সবচেয়ে বড় চাঞ্চল্যকর খবর হল টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে ঢুকছে নাবালকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। কিন্তু কেন? এর পেছনে কোনো বড়সড় দুর্নীতির সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকরা। এছাড়া কৃষক বন্ধুরা টাকা পাবেন কিনা, অনলাইনে কিভাবে দেখবেন, সমস্ত কিছুই বিস্তারিত জেনে নিন।

ঠিক কি ঘটেছে?

পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের তেলজান্না সুইস গেট এলাকায় কৃষকবন্ধু প্রকল্পে (Krishak Bandhu Scheme) জালিয়াতির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মালদার কৃষকদের টাকা বিহারের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে। অভিযোগ, Krishak Bandhu Prakalpa তে নাবালকদের নামে আইডি তৈরি করে এবং তাদের অ্যাকাউন্টে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা ঢোকানো হচ্ছে। এর ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন শতাধিক উপযুক্ত কৃষক।

দুর্নীতির নেপথ্যে কারা?

এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার কৃষকরা। অনেকদিন ধরেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা ঢুকছে না তাদের অ্যাকাউন্টে। স্থানীয় সিএসপি তে সেই অভিযোগ জানাতে গিয়ে তারা এমন দুর্নীতির কথা জানতে পারেন। কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় দালাল চক্র এই জালিয়াতির নেপথ্যে সক্রিয়। টাকা পাওয়া কৃষকদের মতে, তাদের নামে আইডি সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে আসছে না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, একজন ব্যক্তির নামে ১০০-১৫০ টি নাবালকের অ্যাকাউন্ট তৈরি করে টাকা পাঠানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, একটি পরিবারের ৫-৬ জন নাবালকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে বলে শোনা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন, বাংলা আবাস যোজনায় আবেদন শুরু হলো। বাড়ি বানানোর টাকা পেতে এইভাবে আবেদন করুন

কী বলছে প্রশাসন?

এই দুর্নীতির অভিযোগে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তাদের দাবি, প্রশাসনে বিজেপির (BJP) লোকজন থাকায় এই দুর্নীতি সম্ভব হচ্ছে। অন্যদিকে, বিজেপি পাল্টা করেছে যে, TMC-ই এই সমস্ত দুর্নীতিতে যুক্ত।

এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন। তিনি বলেছেন, একজন সিএসপি কর্মীর ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এই গুজব ছড়িয়েছে। তিনি জেলা প্রশাসনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন, মহিলাদের ২ লাখ টাকা পর্যন্ত দিচ্ছে সরকার। এই প্রকল্পে কিভাবে আবেদন করবেন?

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কৃষক বন্ধু প্রকল্প নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মালদা জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, অভিযোগগুলি যাচাই করা হচ্ছে। প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনা কৃষকবন্ধু প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। সরকার দ্রুত তদন্ত করে এই দুর্নীতির জাল ধরে ফেলে কৃষকদের পাওনা টাকা তাদের হাতে তুলে দিতে পারবে বলে আশা করছেন সচেতন মহল।
Written by Nabadip Saha.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment