ট্রাক্টর, হারভেস্টার পাওয়ার টিলার, বীজ বপন যন্ত্র ইত্যাদি কৃষি কাজকে আরো সুবিধা জনক করে তোলে। এই জন্য Agriculture Subsidy Loan বা কৃষিকাজের জন্য ভর্তুকিযুক্ত ঋণ প্রদান করা হয় সরকারের তরফে। কিন্তু ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যেই এখনো কৃষি শ্রম নির্ভর। আধুনিকতা আসেনি এই সব জায়গায়। যার কারণে পরিশ্রম বেশি কিন্তু ফসল কম। ফলে কৃষকদের (Farmers) আয় ও কম। তাই এই সমস্যার সমাধানের জন্য রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal) ঘোষণা করেছে নতুন এক প্রকল্প।
Get Instant Agriculture Subsidy Government Loan.
যেখানে কৃষিক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা, সার ও বীজ কেনা ও আরো নানা কারণে টাকা দেওয়া হবে কৃষকদের। সর্বোচ্চ ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুবিধা মিলবে। এছাড়াও এই সব জিনিস ক্রয়ের উপর ১৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত Agriculture Subsidy দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সকল কৃষকদের (Indian Farmers). যে কোন দরিদ্র চাষী হোক কিংবা ভাগ চাষী সকলেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা লাভ করতে পারবেন।
১ এপ্রিল ২০২৪ থেকে নতুন এই উদ্যোগ শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার এই রাজ্যের কৃষক শ্রেণীর মানুষদের জন্য। কৃষি দপ্তরের তত্ত্বাবধানে ৫০০টি কাস্টম হেয়ারিং সেন্টার এবং ১৫০০টি ফার্ম মেশিনারি হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে চারাগাছ রোপন, সার, কীটনাশক ছড়ানো, কৃষি যন্ত্রপাতির সরবরাহ সবই করা হবে। কাস্টম হেয়ারিং ও ফার্ম মেশিনারি হাব গড়ে তুলতে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা খরচ (Agriculture Subsidy) হবে বলে জানা যাচ্ছে।
গত ২০১৪ সালেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যে বেশ কিছু কাস্টম হায়ারিং সেন্টার এবং ফার্ম মেশিনারি হাব তৈরি করার। যার মধ্যে ২২৮ টি কাস্টমার হায়ারিং সেন্টার গঠন করা হয় তখন। নতুন সব প্রযুক্তি (Agriculture Subsidy) ব্যবহার করে ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক ছড়ানো থেকে শুরু করে মেশিন দিয়ে চারা রোপন করা, ধান বা গম ঝাড়ানো ইত্যাদির কাজে সাহায্য করে এই গুলি।
কৃষকরা সহজেই এই সমস্ত সেন্টার গুলি থেকে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, সোলার পাম্প, মিনি ডাল মিল, তেল মিল, বীজ ড্রিল, থ্রেশার, স্প্রেয়ার, কম্বাইন হারভেস্টর, রোটাভেটর ইত্যাদি ন্যায্য মূল্যে ভাড়া নিতে পারতেন। এই কাস্টম হায়ারিং সেন্টার গুলি তৈরি করতে প্রচুর খরচ হচ্ছিল রাজ্য সরকারের। এই কারণেই এরপর আর এই Agriculture Subsidy প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন একে আবার নতুনভাবে শুরু করার।
যেখানে রাজ্য সরকার নয় বরং কোন কৃষক বা কৃষক সংগঠনের তরফ থেকে এই হায়ারিং সেন্টার গুলি তৈরি করা হবে। রাজ্য সরকার অবশ্যই কৃষকদের এজন্য ঋণ প্রদান করবে। কিন্তু পুরো খরচা বহন করবে না। ওয়ার হাউস তৈরি, যন্ত্রপাতি কেনা এবং অন্যান্য জিনিস ক্রয় করার জন্য সর্বোচ্চ ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ (Agriculture Subsidy Loan) পাবেন তারা রাজ্যের তরফ থেকে।
টাকার দরকার হলে কোথায় পাবেন? জেনে নিন কোন ব্যাংকে পার্সোনাল লোনের সুদের হার কতো। কোথায় বেশি লাভ?
এই দিন সঠিক সময় মত শোধ করে দিলে 16 লক্ষ টাকা পর্যন্ত Agriculture Subsidy পাবেন তারা। আর এই ঘোষণা অনেকদিন আগেই করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত অনেক মানুষই এই সম্পর্কে সঠিক করে অবগত নন। আর এই কারণের জন্য এই ঋণ সম্পর্কে আগের থেকে সমস্ত কিছু ভালো করে জেনে নিলে আপনাদের খুবই সুবিধা হতে চলেছে।
Written by Nabadip Saha.
50 হাজার টাকা ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে। সরকারি ব্যাংকে একাউন্ট থাকলেই আবেদন করুন।