দেশে চাকরির বাজার যা পড়েছে তাতে চাকরি মেলা এখন আর আগের মতো সহজ নয়। এই জন্য অনেকেই MSME Loan বা ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের ব্যবসা (Business) শুরু করে। কিন্তু ব্যবসা শুরু করতেও তো বিরাট পুঁজির দরকার। কোথা থেকে আসবে এত টাকা? চিন্তা নেই। সহায় রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government). দেশের যে কোনো ব্যক্তি যদি বর্তমানে কোন মাইক্রো, স্মল বা মিডিয়াম বিজনেস শুরু করার কথা চিন্তা করেন তাহলে MSME Loan দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
Get Instant MSME Loan Online Apply.
এই MSME Loan বিশেষতভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্যই তৈরি হয়েছে। তাই এখান থেকে আপনি সহজ শর্তে লোন (Loan) নিয়ে নিজের ব্যবসাকে বড় করতে পারবেন এবং ক্যারিয়ারেও উন্নতি করতে পারবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক এম এস এম ই লোনের সুবিধা গুলি কি কি? কিভাবে আবেদন করতে হবে এই লোন (Business Loan) পেতে গেলে?
What Is MSME And MSME Loan?
এম এস এম ই যার পুরো নাম হলো মাইক্রো, স্মল, মিডিয়াম। এম এস এম ই সেক্টর প্রধানত দেশের সমস্ত ধরনের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের শিল্প গুলিকে কভার করে থাকে। ভারত সরকার ২০০৬ সালে MSME Act পাস করে সমস্ত এই ধরনের শিল্প গুলিকে এক সারিতে নিয়ে আসে। ভারতের মতো শ্রমনিবিড় দেশ গুলিতে অর্থনীতির শিরদাঁড়া কিন্তু এমএসএমই। প্রত্যেক বছর আমাদের দেশে যত তরুণ তরুণী কাজের বাজারে পা রাখছেন, তাঁদের চাকরি দিতে হলে ছোট শিল্প ছাড়া গতি নেই।
ভারতে নথিভুক্ত MSME Unit সংখ্যা ৬.৩৪ কোটি। উৎপাদন ক্ষেত্রের GDP তে যাদের অবদান ৬.১১%। আর পরিষেবা ক্ষেত্রের জিডিপিতে ২৪.৬৩%। এই দেশ থেকে যা রফতানি হয় তার মধ্যে ৪৫ শতাংশই করে ছোট মাঝারি সংস্থা। এই ক্ষেত্রে প্রায় ১২ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। তাদেরকে ব্যবসায় আর্থিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্যই শুরু করা হয়েছে MSME Loan.
MSME Loan Types In India
১. মাইক্রো – MSME এর সংজ্ঞা অনুযায়ী, যে সকল শিল্প গুলিতে ১ কোটির বেশি বিনিয়োগ করা হয় না এবং ৫ কোটির বেশি টার্নওভার আসে না সে গুলিকে মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রি বলা হয়।
২. স্মল – যে সকল শিল্প গুলিতে বছরে ১০ কোটির বেশি বিনিয়োগ হয় না এবং ৫০ কোটির বেশি রিটার্ন আসে না সে গুলিকে বলা হয় স্মল ইন্ডাস্ট্রি।
৩. মিডিয়াম – বার্ষিক ৫০ কোটি পর্যন্ত বিনিয়োগ এবং ২৫০ কোটি পর্যন্ত টার্নওভার ওলা যে কোম্পানি গুলি সে গুলিকে মিডিয়াম ইন্ডাস্ট্রির তালিকা ভুক্ত করেছে দপ্তর।
Advantage Of MSME Loan
১. এমএসএমই লোনের মেয়াদ একেবারে নমনীয়, ১২ থেকে ৬০ মাসের মেয়াদে এই লোন আপনি পরিশোধ করতে পারবেন।
২. MSME Loan নিতে গেলে আপনাকে কোন জামানত বা সম্পত্তি কোল্যাটেরাল হিসেবে রাখার প্রয়োজন পড়ে না।
৩. এক্ষেত্রে সুদের হার অন্যান্য লোনের তুলনায় অনেক কম।
৪. এম এস এম ই লোন আপনি অনলাইনে পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।
৫. এখানে Quick Loan দেওয়ার ব্যবস্থা আছে অর্থাৎ Instant Loan পাওয়া যায় আবেদন করলেই।
৬. তেমন কোনো নথিপত্র দেখাতে হয় না এখানে।
৭. কোনো স্বীকৃত অভিজাত প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগপতিরা এখানে আবেদন করলে লোনের উপর আরো বিশেষ কিছু অফার দেওয়া হয়।
MSME Loan Application Criteria
১. এই লোন পাওয়ার জন্য আবেদনের ন্যূনতম বয়সসীমা ১৮ এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২২।
২. আবেদনকারীকে অবশ্যই নিজের একটি কোম্পানি চালাতে হবে। সেটা ট্রেডিং, ম্যানুফ্যাকচারিং বা কোনো সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানি হতে পারে।
৩. নূন্যতম পাঁচ বছরের যে কোনো ব্যবসার অভিজ্ঞতা এবং তিন বছরের সংশ্লিষ্ট ব্যবসার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৪. আবেদনকারীর বার্ষিক টার্ন ওভার বা লাভ অন্তত পক্ষে ২ লক্ষ টাকা হতে হবে।
৫. Udayam পোর্টালে অবশ্যই আবেদনকারীর ব্যবসার নাম এমএসএমই শংসাপত্র নথিভুক্ত থাকতে হবে।
MSME Loan Application Process
১. প্রথমে MSME এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।
২. MSME Loan তালিকা থেকে নির্বাচন করে নিন।
৩. লোনের জন্য আবেদন পত্র স্ক্রিনে লোড হবে। এরপর তা পূরণ করুন।
৪. আবেদনপত্র ফিলাপ হলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস স্ক্যান করে আপলোড করুন।
40 কোটি দেশবাসীকে স্বপ্নপূরণের জন্য 10 লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। বড় ঘোষণা মোদী সরকারের।
৫. এরপর MSME আপনার সঙ্গে লোনের চুক্তি করবে। চুক্তিতে একবার ভালোভাবে চোখ বুলিয়ে সমস্ত Terms And Conditions এ Agree করুন।
৬. তারপর চুক্তিতে সাইন করুন।
৭. আবেদনের কাজ শেষ। MSME Loan পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনার একাউন্টে লোনের টাকা ট্রান্সফার (Loan Money Transfer) করে দেওয়া হবে।
Written by Nabadip Saha.
প্রত্যেক পরিবারকে 15 লাখ টাকা দেবে কেন্দ্র সরকার। আধার কার্ড থাকলে এইভাবে আবেদন করুন।